বার্সায় জাভির জার্সি গাভির
স্প্যানিশ ফুটবলে মধ্যবর্তী দলবদলের মৌসুম এখনো শেষ হয়নি। চলবে কাল পর্যন্ত। তবে তার আগেই বড় একটি দুশ্চিন্তার অবসান ঘটাতে পেরেছে বার্সেলোনা। ১৮ বছর বয়সী মিডফিল্ডার গাভিকে মূল দলের খেলোয়াড় হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধিত করেছে কাতালান ক্লাবটি। শেষ পর্যন্ত বার্সার মূল দলের খেলোয়াড় হতে পারলেন জাভি হার্নান্দেজের উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচিত হওয়া গাভি।
রিয়াল বেতিসের বয়সভিত্তিক দলে ৯৫ গোল করা জাভি ২০১৫ সালে ১১ বছর বয়সে বার্সার বয়সভিত্তিক দলে যোগ দেন। ২০২০ সালে প্রথম পেশাদার চুক্তি করেন বার্সার সঙ্গে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে তাঁর সঙ্গে ২০২৬ সাল পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন করেছে ক্যাম্প ন্যুর ক্লাবটি।
অমিত প্রতিভাবান বলেই গাভির ‘রিলিজ ক্লজ’ ধরা হয় ১০০ কোটি ইউরো। তবে এ চুক্তিটা ছিল বার্সার খেলোয়াড় হিসেবে। কাগজে-কলমে হয়ে ছিলেন বার্সার ‘বি’ দলের খেলোয়াড়। এবার মূল দলের খেলোয়াড় হিসেবেও নিবন্ধিত হয়ে গেলেন গাভি।
ইএসপিএন জানিয়েছে, গত সপ্তাহেই গাভিকে মূল দলের খেলোয়াড় হিসেবে নিবন্ধিত করার চেষ্টা করেছিল বার্সা। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় লা লিগার বেঁধে দেওয়া স্কোয়াডের বেতন সীমা নীতি। লা লিগার সভাপতি হাভিয়ের তেবাস গত সোমবার ব্যাখ্যা করেন, চুক্তিটা একাধিক বছরের হওয়ায় বার্সার মূল স্কোয়াডের বেতন সীমার মধ্যে গাভিকে রাখতে পারবে না বার্সা।
২০২২-২৩ মৌসুমে বার্সার স্কোয়াডের যে বাজেট, তা টপকে যাওয়ায় গাভিকে ক্লাবটির মূল দলে নিবন্ধিত করতে দেয়নি লা লিগা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এ নিয়ে স্পেনের আদালতে আপিল করেছিল বার্সা। আদালত গাভিকে মূল দলে নিবন্ধিত করার নির্দেশ দেওয়ার পর পথ পরিষ্কার হয় বার্সার। যদিও লা লিগা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে বলে জানিয়েছে।
বার্সার মূল দলে দুই মৌসুম ৩০ নম্বর জার্সি পরে খেলেছেন গাভি। মূল দলে নিবন্ধিত করার পর তাঁকে ৬ নম্বর জার্সি তুলে দেওয়া হয়। বুধবার রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে ৬ নম্বর জার্সি পরে মাঠে নামতে পারেন গাভি। কাতালান ক্লাবটিতে একসময় এই জার্সি পরে খেলেছেন কিংবদন্তি মিডফিল্ডার ও বর্তমান কোচ জাভি হার্নান্দেজ।
বার্সার আরেক তরুণ পেদ্রি পরেন ক্লাবটির আরেক কিংবদন্তি মিডফিল্ডার আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার ৮ নম্বর জার্সি। দুই তরুণকেই নিজেদের ভবিষ্যত মনে করে বার্সা। সম্ভবত এ কারণেই গাভি ৬ নম্বর জার্সি পাওয়ার পর গোল ডটকম জাভি-ইনিয়েস্তা ও গাভি-পেদ্রির আলাদা দুটি ছবি টুইট করে লিখেছে, ‘অনেকটাই আয়নায় তাকিয়ে থাকার মতো।’