মেসির বাড়ানো বলে এমবাপ্পের অবিশ্বাস্য মিস, পিএসজির হার
চার সপ্তাহ আগে কাতারে বিশ্বকাপ ফাইনাল মাতিয়েছিলেন লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপ্পে। আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স, কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালের দুই প্রতিপক্ষের সেরা দুজন খেলোয়াড় কাল রাতে পিএসজির হয়ে খেললেন। সঙ্গে ছিলেন নেইমারও। কিন্তু সময়ের অন্যতম সেরা আক্রমণভাগ নিয়েও রেঁনের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে পিএসজি।
এ নিয়ে ফ্রেঞ্চ লিগ ‘আঁ’তে সর্বশেষ তিন ম্যাচের দুটিতেই হারল ক্রিস্তফ গালতিয়েরের দল। এই হারে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থানে নড়চড় না হলেও দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাঁসের সঙ্গে পিএসজির ব্যবধান কমে এসেছে তিন পয়েন্টে।
লিগে দাপট দেখালেও সাম্প্রতিক সময়ে রেঁনের মাঠে সাফল্য ছিল না পিএসজির। গতকালের আগেও তিন ম্যাচের দুটিতে হার আর একটিতে ছিল ড্র। সেই একই ধারাতে গত রাতের ম্যাচেও শুরু থেকেই ভুগেছে পিএসজি। মেসি যখন বক্সের সামনে থেকে ম্যাচের প্রথম শটটি নেন, ততক্ষণে ১৯ মিনিট পেরিয়ে গেছে।
শুরুর একাদশে আক্রমণভাগে মেসি, নেইমারের সঙ্গে ছিলেন উগো একিতিকে। তবে প্রথমার্ধে তিনজনে মিলে সুযোগ তৈরি করতে পেরেছেন কমই। উল্টো মাঝমাঠে মার্কো ভেরাত্তির অভাব ফুটে উঠেছিল বারবার। আক্রমণে বলের জোগান যেমন পর্যাপ্ত ছিল না, রেঁনেও রক্ষণে হানা দিচ্ছিল বারবার। প্রথমার্ধেই পিএসজি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মাকে দুটি দারুণ সেভ করতে হয়েছে।
বছরের শুরুর দিকে বন্ধু আশরাফ হাকিমিকে নিয়ে ছুটি কাটাতে বের হয়েছিলেন এমবাপ্পে। ফেরার পর এটিই ছিল দুজনের প্রথম ম্যাচ। ম্যাচের ৫৬ মিনিটে এমবাপ্পে ও হাকিমিকে একসঙ্গে বদলি হিসেবে মাঠে নামান পিএসজি কোচ। আক্রমণে ধার বাড়বে কী, এর নয় মিনিট পর উল্টো গোল খেয়ে বসে পিএসজি। সতীর্থের কাট-ব্যাক থেকে পাওয়া বলে রেঁনেকে এগিয়ে নেন হামারি ত্রাওরে।
পাঁচ মিনিট পরই গোলটি শোধ দেওয়ার সুযোগ ছিল এমবাপ্পের সামনে। মাঝমাঠ থেকে উঁচু করে বল বাড়িয়েছিলেন মেসি। ক্ষিপ্র গতিতে বল ধরে ডি বক্সেও ঢুকে পড়েন এমবাপ্পে। কিন্তু রেঁনের গোলরক্ষককে এক পেয়েও অবিশ্বাস্যভাবে বল আকাশে তুলে মারেন বিশ্বকাপ ফাইনালের ইতিহাসে দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করা ফরাসি তারকা। ক্লাব ক্যারিয়ারের ৩০০তম ম্যাচটিতে মুখ ঢাকেন হতাশায়।
ম্যাচের বাকি সময়ে আর বড় কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি পিএসজি। মেসি-নেইমার-এমবাপ্পে ত্রয়ী মাঠ ছাড়েন হার নিয়ে।
লিগ আঁ-তে ১৯ ম্যাচ শেষে পিএসজির পয়েন্ট এখন ৪৭। সমান ম্যাচে লাঁসের পয়েন্ট ৪৪। ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে আছে রেঁনে।