‘অবশেষে অসভ্য মেসি–নেইমারের হাত থেকে মুক্তি’র আনন্দ পিএসজিতে
মাত্র দুই মৌসুম, এতেই পিএসজিতে হাঁপিয়ে উঠেছিলেন লিওনেল মেসি। ঘরের মাঠে নিজেদের সমর্থকদের কাছে দুয়ো শোনা, প্যারিসের রাস্তায় তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, বাড়ির সামনে হাঙ্গামা করা—কারইবা আর ভালো লাগে! মেসি হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছেন ইন্টার মায়ামিতে নাম লিখিয়ে।
হাঁপিয়ে উঠতে নেইমারের অবশ্য একটু বেশি সময় লেগেছে। ২০১৭ সালে বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে নাম লিখিয়েছিলেন ট্রান্সফার বিশ্ব রেকর্ড গড়ে। ছয় মৌসুম পর এবার প্যারিস ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন সৌদি আরবে। নাম লিখিয়েছেন আল হিলালে।
মেসি-নেইমারের এই হাঁপিয়ে ওঠার বিষয় শুধুই এক দিকের ছিল না। মেসি-নেইমারকে নিয়েও হাঁপিয়ে উঠেছিল পিএসজির সমর্থকেরা! সময়ের অন্যতম সেরা দুই তারকা প্যারিস ছাড়ার পরও নিজেদের কর্মকাণ্ডে সেটাই বুঝিয়ে দিয়েছে তারা।
চুক্তি নবায়ন না করা ও দলবদলের নাটকের পর পার্ক দে প্রিন্সেসে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে পিএসজির কট্টর সমর্থকগোষ্ঠী কীভাবে নেবে—গতকাল লাসের বিপক্ষে দলটির ম্যাচের আগে আলোচনা হচ্ছিল এ নিয়ে। এমবাপ্পেকে নিয়ে কোনো ঝামেলা করেনি তারা। বরং ক্লাব ছেড়ে যাওয়া নেইমারকে একহাত নিয়েছে পিএসজির কট্টর সমর্থকগোষ্ঠী।
নেইমার চলে যাওয়ায় তারা যে খুশিই হয়েছে, সেটা বোঝাতে বিশাল একটি ব্যানার নিয়ে এসেছিল পিএসজির সমর্থকদের একটা অংশ। ব্যানারে লেখা ছিল, ‘নেইমার: অবশেষে অসভ্যর হাত থেকে মুক্তি মিলেছে।’
এখানেই শেষ নয়, মায়ামিতে পিএসজির সমর্থকেরা ইন্টার মায়ামির ডিএনভি পিএনকে স্টেডিয়ামের বাইরে ব্যানার নিয়ে হাজির হয়েছিল। সেখানে লেখা ছিল, ‘মেসি: অবশেষে অসভ্যর হাত থেকে মুক্তি মিলেছে’।
নেইমার ৬ মৌসুমে ৫টি ফ্রেঞ্চ লিগ ‘আঁ’সহ পিএসজির হয়ে মোট ১৩টি শিরোপা জিতেছেন। মেসি ২ মৌসুমে জিতেছেন ২টি লিগ শিরোপা। এরপরও কেন এ দুজনের ওপরে খেপে আছে পিএসজির সমর্থকেরা? কারণ একটাই—তারা স্বপ্ন দেখছিল, এ দুজন মিলে তাদের চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতাবেন। সেই স্বপ্ন যে পূরণ হয়নি তাদের।
মেসি-নেইমারের প্রতি পিএসজি সমর্থকদের ঘৃণা প্রদর্শনের রাতে এমবাপ্পে খেলেছেন দুর্দান্ত। লাসের বিপক্ষে পিএসজির ৩-১ ব্যবধানের জয়ে জোড়া গোল করেছেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।