কুয়েত রওনা দেওয়ার আগে প্রস্তুতিতে সন্তুষ্ট কাবরেরা
সৌদি আরবে অনুশীলন ক্যাম্প করে দারুণ সন্তুষ্ট কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। ২ থেকে ১৬ মার্চ তাইফ শহরের কিং ফাহাদ স্পোর্টস কমপ্লেক্সে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রস্তুতিটা মন্দ হয়নি।
দুর্দান্ত সুযোগ-সুবিধার মধ্যে অনুশীলন, ফিলিস্তিনের বিপক্ষে দুটি ম্যাচের জন্য ২৮ জন ফুটবলারকে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করার ব্যাপারটি তো ছিলই, সৌদি আরবের অনুশীলন ক্যাম্পটাকে গোটা বছরের পারফরম্যান্সের ভিত্তি রচনার মঞ্চ হিসেবেও দেখেছিলেন বাংলাদেশের স্প্যানিশ কোচ। র্যাঙ্কিংয়ের ১২৭তম স্থানে থাকা সুদান জাতীয় দলের সঙ্গে দুটি ম্যাচও বাড়তি কিছুই যোগ করেছে প্রস্তুতিতে। সব মিলিয়ে কুয়েত রওনা হওয়ার সময় বেশ ফুরফুরেই জাতীয় ফুটবল দল।
২১ মার্চ ফিলিস্তিনের বিপক্ষে কুয়েতে অ্যাওয়ে ম্যাচ। সেই ফিলিস্তিনের বিপক্ষেই হোম ম্যাচটি ২৬ মার্চ ঢাকায়। আজ দুপুর (বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায়) কুয়েত রওনা হয়েছে বাংলাদেশ দল। কাবরেরা এখনো চূড়ান্ত দল ঘোষণা করেননি। সূত্র জানাচ্ছে, সেটি ঘোষণা হতে পারে ম্যাচের আগের দিন, ২০ মার্চ।
সুদানের বিপক্ষে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচটা গোলশূন্য ড্র করেছিল বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে হেরেছে ৩-০ গোলে। কোচ কাবরেরা খুশি সুদানের মতো শক্তিমত্তায় এগিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগটা মিলেছে বাংলাদেশ দলের। যেটি ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ম্যাচে দারুণ কাজে আসবে।
ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সৌদি আরবে অনুশীলন ক্যাম্প কাবরেরার ভাষায়, ‘দারুণ এক অভিজ্ঞতা’, ‘আমরা সৌদি আরবে যা যা করার জন্য এসেছিলাম, সেগুলো করতে পেরে দারুণ সন্তুষ্ট। এখানে দারুণ সুযোগ-সুবিধার মধ্যে আমাদের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে পেরেছি।’
সৌদি আরবের ক্যাম্পে আরও বেশ কয়েকজন নতুন খেলোয়াড় নিয়ে গিয়েছিলেন কাবরেরা। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে পারফরম্যান্স দেখিয়েই নির্বাচিত এই তরুণ-তুর্কিদের জন্য সৌদি আরবের ক্যাম্প ছিল আগামীর পথে হাঁটার প্রথম পদক্ষেপ, ‘নতুনেরা আমাদের ধ্যানধারণার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। তারা নিজেদের ঝালিয়ে নিতে পেরেছে। চূড়ান্ত স্কোয়াডে সুযোগ করে নেওয়ার কাজটাও নিবিড়ভাবে করতে পেরেছে।’
সুদানের বিপক্ষে ম্যাচ দুটি খুবই কাজে আসবে বলে মত কাবরেরার, ‘সুদান আর ফিলিস্তিন একই ধরনের দল। সুদান দুটি ম্যাচেই যথেষ্ট আগ্রাসী ফুটবল খেলেছে। আমি খুশি, আমাদের খেলোয়াড়েরা যথেষ্ট লড়াই করেছে। সব মিলিয়ে এ ম্যাচে ইতিবাচক অনেক কিছুই আছে।’
প্রস্তুতি ম্যাচে ক্যাম্পে থাকা ২৮ জনের দলে ২৪ জনকেই সুযোগ দিয়েছেন কাবরেরা। ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ম্যাচে চূড়ান্ত দল কেমন হবে, এমনকি একাদশ কেমন হবে, সেসব নিয়ে নিশ্চিত নন কেউই। সৌদি আরবে অনুশীলন ক্যাম্পে খেলোয়াড়দের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব ছিল যথেষ্টই।
সহকারী কোচ হাসান আল মামুন তো আগেই বলেছিলেন, চূড়ান্ত স্কোয়াডে জায়গা পাওয়ার জন্য খেলোয়াড়দের মধ্যে যে প্রতিযোগিতা, এমনটি আগে খুব একটা দেখেননি তিনি। প্রত্যেক খেলোয়াড়ই চেষ্টা করছে নিজেদের পারফরম্যান্সের শতভাগ দিয়ে কোচের চূড়ান্ত দলে জায়গা করে নিতে।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আই গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, লেবানন ও ফিলিস্তিন। গত নভেম্বরে দুটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। মেলবোর্নে খেলেছে অস্ট্রেলিয়া ও ঢাকায় লেবাননের বিপক্ষে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৭-০ গোলে হারলেও ঢাকায় লেবাননের সঙ্গে ড্র করেছে ১-১ গোলে। একটু সতর্ক হলে লেবাননের বিপক্ষে ম্যাচটি জিততেও পারত বাংলাদেশ।