মারতে এলেন প্রতিপক্ষের সমর্থক, চেপে ধরে শুইয়ে দিলেন গোলরক্ষক
নিজের পছন্দের দল হারলে কেমন লাগে? ভালো লাগার কথা নয় নিশ্চয়ই। রাগ, ক্ষোভ, অভিমান—হারের প্রতিক্রিয়ায় এমন অনুভূতি হওয়াটাই তো স্বাভাবিক। যার বহিঃপ্রকাশ অবশ্য সব সময় যে খুব স্বাভাবিকভাবে হয়, তা নয়। অনেক সময় বাজে ফলের জন্য নিজের দল ও দলের খেলোয়াড়দের উদ্দেশে দুয়ো দিতে দেখা যায়। আবার ক্ষিপ্ত দর্শকদের গ্যালারিতে ভাঙচুরের দৃশ্যও নতুন নয়।
কিন্তু ইউরোপা লিগে সেভিয়া-পিএসভি ম্যাচে যা হলো, তা সম্ভবত সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছে। শেষ ৩২ প্রথম লেগ ৩-০ গোলে জিতে এগিয়ে থেকে পিএসভির মাঠে খেলতে যায় সেভিয়া। ঘরের মাঠে সেভিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়েও অবশ্য শেষ রক্ষা হয়নি পিএসভির। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে ডাচ ক্লাবটিকে।
পছন্দের ক্লাবের এমন বিদায় মানতে পারেনি পিএসভির এক সমর্থক।
আবেগ সামলাতে না পেরে মাঠে নেমে সেভিয়ার গোলরক্ষককে মারার জন্য তেড়ে যান সেই পিএসভি সমর্থক। কিন্তু বিধিবাম। উল্টো গোলরক্ষক মার্কো দিমিত্রোভিচের হাতে নিজেই নাকাল হয়েছেন সেই সমর্থক। তাঁকে চেপে ধরে মাটিতে শুইয়ে দেন সেভিয়া গোলরক্ষক। পরে অন্য খেলোয়াড়েরা ও নিরাপত্তারক্ষীরা এসে গোলরক্ষকের হাত থেকে সেই সমর্থককে উদ্ধার করেন।
এরপর সেই সমর্থককে নিয়ে যায় নিরাপত্তারক্ষীরা। এই ম্যাচে অবশ্য দিমিত্রোভিচের খেলার কথাই ছিল না। ম্যাচের আগে নিয়মিত গোলরক্ষক ইয়াসিন বুনো অসুস্থ হয়ে যাওয়ার কারণে মূলত খেলার সুযোগ পান সার্বিয়ান গোলরক্ষক।
ম্যাচ শেষে পিএসভির দিমিত্রোভিচ বলেছেন, ‘ফুটবলে এমন কিছু দেখা মোটেই ভালো ব্যাপার নয়। এটা হওয়া উচিত নয়। আমি আশা করি, এসব ঘটনার উপযুক্ত শাস্তি হবে। সে এসে আমাকে ধাক্কা দেয়। সে সম্ভবত ফল নিয়ে খুশি ছিল না। সে আমাকে আঘাত করার চেষ্টা করে। আমি তাকে পাকড়াও করতে সমর্থ হই এবং নিরপত্তারক্ষীদের জন্য অপেক্ষা করতে থাকি।’
সেভিয়ার কোচ হোর্হে সাম্পাওলিও এ ঘটনায় নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি বলেছেন, ‘যা ঘটেছে, তা খুবই দুঃখজনক। এসব বন্ধ করা দরকার।’