টুখেলের বায়ার্ন-অভিষেক রাঙিয়ে দিলেন মুলার
বায়ার্ন মিউনিখ ৪-২ ডর্টমুন্ড
মুখোমুখি বায়ার্ন মিউনিখ-বরুসিয়া ডর্টমুন্ড, ম্যাচে ঝাঁঝ বাড়াতে যথেষ্ট ছিল এটুকুই। কিন্তু অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনার আজকের জার্মান ক্লাসিকোয় বাড়তি জ্বালানি সরবরাহ হিসেবে ছিল লিগ শিরোপার অঙ্ক। আর এমন একটি ম্যাচে সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে বায়ার্ন ডাগআউটে অভিষেক টমাস টুখেলের।
সব উপলক্ষ্যই ষোলো আনা নিজেদের করে নিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। ঘরের মাটিতে ‘ডার ক্লাসিকার’-এ ডর্টমুন্ডকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। টুখেলের অভিষেক বড় জয়ে তো হলোই, সেই সঙ্গে বুন্দেসলিগার শিরোপা দৌড়েও ডর্টমুন্ডকে টপকে সামনে এগিয়ে গেল বায়ার্ন।
২৬ ম্যাচ শেষে টুখেলের দলের পয়েন্ট ৫৫, ডর্টমুন্ডের ৫৩। ৫১ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে ইউনিয়ন বার্লিন।
মৌসুমের দ্বিতীয় জার্মান ক্লাসিকো হিসেবে দুই সপ্তাহ আগেও এই ম্যাচের মূল আলোচনা ছিল শিরোপার হিসাব-নিকাশ। আন্তর্জাতিক ফুটবলের জন্য বিরতির আগে বায়ার্নের চেয়ে এক পয়েন্ট এগিয়ে গিয়েছিল ডর্টমুন্ড। বিরতির মধ্যে হুলিয়ান নাগলসমানের আকস্মিক ছাঁটাইয়ের কারণে বায়ার্নের ভেতরে-বাইরে অস্বস্তি আরও বাড়ে।
নতুন কোচ হয়ে আসেন টুখেল, ২০১৫ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত যিনি ডর্টমুন্ডের ডাগআউটে ছিলেন। কাকতালীয়ভাবে বায়ার্ন কোচ হিসেবে টুখেল প্রথম প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়ে যান সাবেক ক্লাবকে।
বুন্দেসলিগায় ডর্টমুন্ডের সাম্প্রতিক যে ছন্দ, সেটি অবশ্য টুখেলের দলের বিপক্ষে দেখাই যায়নি। ম্যাচের ১৩ মিনিটেই গোলরক্ষক গ্রেগর কোবেলের হাস্যকর এক ভুলে আত্মঘাতি গোল খেয়ে বসে ডর্টমুন্ড।
প্রথম গোল ভাগ্যের সহায়তায় পেলেও দ্রুতই বায়ার্ন নিজেদের শক্তির জানান দিতে শুরু করে। ১৮ মিনিটে ম্যাথিয়াস ডি লিটের পাস ধরে বক্সের ভেতর থেকে নেওয়া শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করনে টমাস মুলার।
৩৩ বছর বয়সী এই জার্মান ফরোয়ার্ড ৫ মিনিট পর গোল এনে দেন আরও একটি। লেরয় সানের শট কোবেল আটকে দিলেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ছুটে গিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন মুলার। ম্যাচের তিন ভাগ সময়ের এক ভাগ যাওয়ার আগেই তিন গোল দিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় বায়ার্ন।
বিরতির পর ডর্টমুন্ড ঘুরে দাঁড়ানোর আগে চতুর্থ গোলটিও পেয়ে যায় বায়ার্ন। সানের পাস থেকে ঠাণ্ডা মাথায় টোকা দিয়ে বল জালে পাঠান কিংসলে কোমান।
হার প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর শেষ দিকে দুটি গোল শোধ দেয় ডর্টমুন্ড। ৭১ মিনিটে জুদে বেলিংহাম ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় সফরকারীরা। সফল কিকে ডর্টমুন্ডকে প্রথম গোল এনে দেন এমরে কান। ৯০ মিনিটে আরেকটি গোল শোধ দেন ডোনেল মালেন।