উলভসের কাছে চেলসির হারে ফিরল ২৩ বছর আগের স্মৃতি
উলভারহ্যাম্পটন ২ : ১ চেলসি
এক ম্যাচে জয় তো পরের ম্যাচেই ড্র বা হার—চেলসির এলোমেলো লিগ-যাত্রা চলছেই। গত সপ্তাহে শেফিল্ড ইউনাইটেডকে হারানো দলটি এবার উলভারহ্যাম্পটনের মাঠে হেরে গেছে। বড়দিনের আগে প্রিমিয়ার লিগের সর্বশেষ ম্যাচে উলভসের মাঠে ২-১ ব্যবধানে হেরেছে মরিসিও পচেত্তিনোর দল।
এবারের লিগে এটি চেলসির অষ্টম হার, প্রতিপক্ষের মাঠে টানা চতুর্থ। ২০০০ সালের পর এই প্রথম লিগে প্রতিপক্ষের মাঠে টানা চার ম্যাচ হারল চেলসি। উলভারহ্যাম্পটনের আগে এভারটন, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও নিউক্যাসলের মাঠে হেরেছিল তারা।
এবারের লিগে মাত্র একবারই টানা দুই ম্যাচ জিতেছে চেলসি, অক্টোবরের শুরুতে ফুলহাম ও বার্নলির বিপক্ষে। এর পর থেকে চলছে জয়ের পরের ম্যাচে ড্র বা হারের ধারা, যা বজায় থাকল ১৬ ডিসেম্বর শেফিল্ডকে ২-০ ব্যবধানে হারানোর পরও।
মলিনু স্টেডিয়ামের ম্যাচটিতে প্রথমার্ধে গোলের সবচেয়ে ভালো সুযোগটি পেয়েছিল চেলসিই। ৩২তম মিনিটে উলভস গোলকিপার হোসে সা তাঁর দলের মিডফিল্ডার গোমেজকে বাড়ালে সেটি দখলে নেন রাহিম স্টার্লিং। ইংলিশ ফরোয়ার্ড একাই পেয়ে যায় সা-কে। পাশে থাকা নিকোলাস জ্যাকসনকে বাড়ালে যা বিনা বাধায় জালে যাওয়ার কথা। কিন্তু স্টার্লিং নিজেই শট নিলে সেটি আটকে দেন উলভস গোলকিপার।
ম্যাচের তিনটি গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। ম্যাচের ৫১তম মিনিটে পাবলো সারাবিয়ার কর্নার কাজে লাগিয়ে বল জালে পাঠান মারিও লেমিনা। উলভসকে দ্বিতীয় গোলটি এনে দেন ম্যাট ডোহার্টি। বদলি নামা আইরিশ ডিফেন্ডার ‘সাইড-ফুটেড ফিনিশিং’ বল জালে জড়ান ৯২তম মিনিটে।
এর তিন মিনিট পরই এক গোল শোধ দেয় চেলসি। অরক্ষিত থাকা ক্রিস্টোফার এনকুকু হেডে ব্যবধান ২-১-এ কমিয়ে আনেন। এরপরও খেলা বাকি ছিল আরও পাঁচ মিনিট। তবে সমতার গোলটি চেলসি দিতে পারেনি।
১৮ ম্যাচ শেষে ২২ পয়েন্ট নিয়ে চেলসির অবস্থান ১০ নম্বরে, সমান ম্যাচ আর সমান পয়েন্টে গোল ব্যবধানের কারণে ১১ নম্বরে উলভস। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ চারটি স্থানে আছে যথাক্রমে আর্সেনাল (৪০), লিভারপুল (৩৯), অ্যাস্টন ভিলা (৩৯) ও টটেনহাম (৩৬)।