নেইমারদের ‘আলাদা ভাষা’ বোঝার চেষ্টা করেন তিতে
একেকটি গোল, মাঠের কোনায় গিয়ে গোল হয়ে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারদের নাচ—ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, নেইমার, রিচার্লিসন, পাকেতাদের এই গোল উদ্যাপন বেশ নজর কেড়েছে ফুটবলপ্রেমীদের। রিচার্লিসন তো আরও এক ধাপ এগিয়ে ছিলেন। দলের তৃতীয় গোলটি করেছেন ব্রাজিলের এ স্ট্রাইকার। রোনালদো নাজারিওকে মনে করিয়ে দেওয়া অসাধারণ সেই গোলের পর নেইমার-ভিনিসিয়ুসদের সঙ্গে নাচের পালা শেষ করে ডাগআউটে চলে গেলেন রিচার্লিসন। সেখানে তিনি নাচলেন কোচ তিতের সঙ্গে।
ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে নেইমার-রিচার্লিসনদের এই নাচ এবং শিষ্যের সঙ্গে তাঁর নাচার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল তিতেকে। ৬১ বছর বয়সী ব্রাজিল কোচ একটু যেন লজ্জাই পেলেন বিষয়টিতে। তবে শিষ্যদের এমন উদ্যাপন তিনি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন।
শেষ ষোলোতে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দেওয়া ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে তিতে বলেছেন, ‘ওরা খুব তরুণ। আমি সব সময় ওদের ভাষার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি। ওদের আলাদা একটি ভাষা আছে। সেই ভাষা হচ্ছে নাচ।’
রিচার্লিসন গোল উদ্যাপন করতে কোচ তিতেকে নিয়ে ডাগআউটে নেচেছেন। তবে নাচটিতে রিচার্লিসন আর তাঁর সতীর্থদের যতটা সাবলীল মনে হয়েছে, তিতেকে ততটা নয়। এই ৬১ বছর বয়সে আসলে তরুণদের মতো নাচ পারার কথাও নয় তিতের।
তবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি যা বললেন, তাঁর অর্থ দাঁড়ায় এ রকম—এভাবে গোল উদ্যাপনের পরিকল্পনা নেইমার-রিচার্লিসনরা ম্যাচের আগেই করেছেন। সবাই মিলে নাচের অনুশীলনও করেছেন। নাচ অনুশীলন করাদের দলে ছিলেন তিতেও।
তিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে বলেন, ‘আপনাকে নাচের মুদ্রাগুলো শিখতে হবে। মুদ্রাগুলো খুব কঠিন।’ ডাগআউটে উদ্যাপনের সময় ঠিকভাবে মুদ্রাগুলো প্রদর্শন করতে পারবেন কি না, এ নিয়ে ভয়েও ছিলেন ব্রাজিলের কোচ, ‘আমাকে সতর্ক থাকতে হবে। খারাপ লোকও তো আছে। (সবকিছু ঠিকঠাকভাবে না হলে) তারা হয়তো বলবে এটা অপমানকর।’
দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে দল ভালো খেলায় এবং শিষ্যদের কল্যাণে এভাবে নাচতে পারায় খুশি তিতে বলেছেন, ‘গোলগুলোর জন্য আনন্দ। আনন্দ হচ্ছে দলের জন্য, দলের পারফরম্যান্স আর ফলের জন্য।’