২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

‘প্রিমিয়ার লিগে খেললেও সবার সেরাই হতেন মেসি’

আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসিছবি: রয়টার্স

বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার শিরোপা জয়ের পথে যেসব খেলোয়াড় তারকা হয়ে উঠেছেন, আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার তাঁদের অন্যতম। আর্জেন্টিনার হয়ে টুর্নামেন্টজুড়ে দারুণ খেলেছিলেন ২৪ বছর বয়সী এই ফুটবলার। বিশ্বকাপ ফাইনালে দি মারিয়ার করা দ্বিতীয় গোলটিতেও ছিল ব্রাইটনের হয়ে খেলা এই মিডফিল্ডারের দারুণ অবদান।

বিশ্বকাপ শেষে ব্রাইটনে ফিরেও সতীর্থ আর ক্লাবের কাছ থেকে পেয়েছিলেন সংবর্ধনা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিশ্বকাপ জয়ের পর নিজের জীবনে আসা পরিবর্তনসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন ম্যাক অ্যালিস্টার এবং খুব স্বাভাবিকভাবে মেসিকে নিয়েও। তিনি বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত প্রিমিয়ার লিগে খেললেও সবার সেরাই হতেন মেসি।

আরও পড়ুন

প্রিমিয়ার লিগে খেললে মেসি কেমন করতেন, তা জানাতে গিয়ে ম্যাক অ্যালিস্টার বলেছেন, ‘যদি মেসি প্রিমিয়ার লিগে খেলত, তবে কোনো সন্দেহ নেই যে সে সেরা হতো। এটা কি তার জন্য খুব কঠিন হতো? আমার মনে হয় না। সে সেটা বিশ্বকাপেই করে দেখিয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন টুর্নামেন্টে। সে কতটা দুর্দান্ত সেখানে, তা দেখিয়েছে। এ ছাড়া দলের জন্য সে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটাও প্রমাণ করেছে।’

মেসির জন্য আর্জেন্টিনা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে উল্লেখ করে ম্যাক অ্যালিস্টার আরও বলেছেন, ‘আর্জেন্টিনায়, আমরা সবাই তার কাছে কৃতজ্ঞ এবং তাকে নিয়ে গর্বিত। কারণ, এটা জানি যে তার জন্যই আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছি।’

ফাইনালে গোলের পর মেসি ও ম্যাক অ্যালিস্টারের উদ্‌যাপন
ছবি: রয়ার্স

বিশ্বকাপের আগে ও পরে ম্যাক অ্যালিস্টারের জীবন নিশ্চিত বদলেছে। যদিও নিজের দৈনন্দিন জীবনে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি বলে জানিয়েছেন ম্যাক অ্যালিস্টার, ‘আমার জীবনটা আগের মতোই একঘেয়ে। অনুশীলনে যাই, সেখান থেকে বাসায় ফিরি, সোফায় বসে থাকি, চা পান করি, ফুটবল দেখি—একই রকম জীবন।’

আরও পড়ুন

তবে কিছু বদলায়নি তা নয়। ম্যাক অ্যালিস্টার বলে চলেন, ‘এটা সত্যি যে আগের চেয়ে বেশি মানুষ আমাকে চেনে। আমি লা পামপা নামের একটি শহর থেকে এসেছি। বিশ্বকাপের ছয় মাস আগে আমি যখন বিমানবন্দরে দাঁড়িয়েছিলাম, তখন একজন মানুষ শুধু আমাকে চিনতে পেরেছিল। সেটা ছিল আমার শহর। আর বিশ্বকাপ শেষে আমি যখন লা পামপায় ফিরে গেলাম, তখন বিমানবন্দরে ২০ হাজার মানুষ আমার জন্য অপেক্ষা করছিল। এভাবেই জীবন বদলেছে।’