হলান্ডের শক্তি আর গোলের রহস্য গরুর কলিজা
গোল, গোল আর গোল—প্রিমিয়ার লিগ বা চ্যাম্পিয়নস লিগ, যে প্রতিযোগিতায়ই খেলতে নামুন না কেন, আর্লিং হলান্ড গোল পাওয়া যেন নিয়তি নির্ধারিত। চলতি মৌসুমে ম্যান সিটির হয়ে ১৩ ম্যাচ খেলে ২০টি গোল করেছেন হলান্ড। এটা কোনো সাধারণ ব্যাপার নয়। তাই তো নরওয়েজিয়ান এই স্ট্রাইকারকে নিয়ে রীতিমতো যেন গবেষণাই শুরু হয়ে গেছে।
হলান্ডের এত গোলের রহস্য কী, এত শারীরিক আর মানসিক শক্তিই বা–কীভাবে পেলেন হলান্ড, এমন অনেক প্রশ্নই করছেন অনেকে। হলান্ড কী খান, কতটা ঘুমান—আলোচনা হচ্ছে এসব নিয়েও। এসবের উত্তর খুঁজতে গিয়েই জানা যায় হলান্ডের শক্তি ও গোলের রহস্য।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে হলান্ডকে নিয়ে বানানো তথ্যচিত্র ‘দ্য বিগ ডিসিশন’। সেখানে হলান্ড নিজেই জানিয়েছেন তাঁর শক্তি ও গোলের রহস্য। রহস্য আসলে লুকিয়ে আছে হলান্ডের প্রতিদিনকার খাদ্যতালিকা আর দৈনন্দিন রুটিনে।
অনেকেই বলে থাকেন, মাংসের মতো ভারী খাবার সাধারণত এড়িয়ে চলেন বিভিন্ন খেলার অ্যাথলেট বা খেলোয়াড়েরা। কিন্তু হলান্ড যে এ ক্ষেত্রে উল্টো। প্রতিদিন ৬০০০ হাজার ক্যালরির খাবার খান তিনি। আর এই ক্যালরির চাহিদা মেটাতে তাঁর খাবারের বড় একটা অংশজুড়ে আছে গরুর কলিজা ও গুর্দা।
তথ্যচিত্রে দেখা যায়, হলান্ডকে একজন প্রশ্ন করছেন। সেই সময় কিছু খাবারের প্যাকেট নিয়ে আসেন। এটা দেখে প্রশ্নকর্তা জিজ্ঞাসা করেন, ‘এটা কি (গরুর) গুর্দা?’–এর উত্তরে হলান্ড হেসে বলেছেন, ‘হ্যাঁ, এটা গুর্দাই।’
গরুর গুর্দা খাওয়া যে তাঁর জন্য খারাপ কিছু নয়, তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে হলান্ড এরপর বলেন, ‘আপনারা তো এটা খান না। কিন্তু আমি আমার শরীর নিয়ে সচেতন। আমি মনে করি স্থানীয় মানসম্পন্ন খাবার খাওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
মানসম্পন্ন স্থানীয় খাবার বলতে হলান্ড কী বুঝিয়েছেন, সেই ব্যাখাও দিয়েছেন, ‘মানুষ বলে, মাংস খাওয়া খারাপ। কিন্তু...কোন মাংস খাওয়া খারাপ? আপনি যেটা ম্যাকডোনাল্ড থেকে কিনে আনেন, সেটা নাকি স্থানীয় ঘাস খেয়ে বেড়ে ওঠা গরুর মাংস? আমি আসলে গুর্দা আর কলিজা খাই।’
আর এই কলিজা আর গুর্দা খাওয়ার কারণেই ফুটবলে এতটা দূর আসতে পেরেছেন বলে মনে করেন হলান্ড।
এ ছাড়া প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে রৌদ্রস্নানও করেন হলান্ড। এটা তাঁর শরীরের জন্য ভালো বলে উল্লেখ করেছেন ম্যানচেস্টার সিটির গোলমেশিন।