চ্যাম্পিয়নস লিগের মৌসুমসেরা ভিনিসিয়ুস, তরুণদের সেরা বেলিংহাম
স্বপ্নের মতো এক মৌসুম কাটিয়েছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র এবং জুড বেলিংহাম। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে লা লিগার পাশাপাশি জিতেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগের ট্রফিও। ব্যালন ডি’অর জেতার সম্ভাব্য তালিকাতেও জোরের সঙ্গে শোনা যাচ্ছে দুজনের নাম। তবে ব্যালন ডি’অর এই মুহূর্তে দূরের ব্যাপার হলেও চ্যাম্পিয়নস লিগে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে উয়েফার স্বীকৃতি পেয়েছেন দুই তারকা।
ভিনিসিয়ুস হয়েছেন এবার চ্যাম্পিয়নস লিগে মৌসুমসেরা খেলোয়াড় এবং মৌসুমসেরা তরুণ খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পেয়েছেন বেলিংহাম। পাশাপাশি চ্যাম্পিয়নস লিগের মৌসুমসেরা একাদশেও জায়গা পেয়েছেন রিয়ালের দুই তারকা।
সদ্য শেষ হওয়া চ্যাম্পিয়নস লিগে অবিশ্বাস্য খেলেছেন ভিনিসিয়ুস। ১০ ম্যাচে ৬ গোলের পাশাপাশি করেছেন ৫টি সহায়তা। সেমিফাইনাল ও ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও গোল আছে এ ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারের। তবে গোল করার বাইরে ম্যাচের প্রভাব বিবেচনা করলেও ভিনিসিয়ুস ছিলেন অনন্য।
কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে দুই লেগ মিলিয়ে কোনো গোল না পেলেও দুটি গোলে সহায়তা আছে তাঁর। গ্রুপ পর্বে চোটের কারণে তিন ম্যাচে দলের বাইরে থাকতে না হলে ভিনির গোল ও গোলে সহায়তার পরিসংখ্যান আরও সমৃদ্ধ হতে পারত।
ভিনিসিয়ুসের মতো বেলিংহামের মৌসুমটাও ছিল দুর্দান্ত। চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার পথে রিয়ালের দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়েছেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। এবারের ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের আসরে ১১ ম্যাচে ৪ গোলের সঙ্গে সহায়তা করেছেন আরও ৫ গোলে। পাশাপাশি রিয়ালের মিডফিল্ডকেও দারুণ দৃঢ়তা দিয়েছেন ২০ বছর বয়সী বেলিংহাম। আক্রমণে অবদান রাখার পাশাপাশি রক্ষণেও দলের প্রয়োজনে ভূমিকা রেখেছেন বেলিংহাম।
মৌসুমের সেরার স্বীকৃতি পাওয়ার পাশাপাশি ভিনি-বেলিংহামের জায়গা হয়েছে মৌসুমসেরা একাদশেও। যেখানে রিয়াল থেকে তাঁদের সঙ্গী হয়েছেন দুই ডিফেন্ডার দানি কারভাহাল ও আন্তোনিও রুডিগার। রক্ষণে অন্য দুজন হলেন বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের ম্যাটস হামেলস ও ইয়ান মাতসেন।
বেলিংহামের সঙ্গে জায়গা পাওয়া অন্য দুই মিডফিল্ডার হলেন পিএসজির ভিতিনিয়া ও ডর্টমুন্ডের মার্সেল সাবিতজার। এ ছাড়া ফরোয়ার্ড লাইনে ভিনির সঙ্গে আছেন বায়ার্ন মিউনিখের হ্যারি কেইন ও ম্যানচেস্টার সিটির ফিল ফোডেন। আর গোলরক্ষক হিসেবে জায়গা পেয়েছেন ডর্টমুন্ডের গ্রেগর কোবেল।
চ্যাম্পিয়নস লিগের মৌসুমসেরা একাদশ: গোলরক্ষক: কোবেল (ডর্টমুন্ড)। রক্ষণ: মাতসেন (ডর্টমুন্ড), হামেলস (ডর্টমুন্ড), রুডিগার (রিয়াল), কারভাহাল (রিয়াল)। মাঝমাঠ: বেলিংহাম (রিয়াল), সাবিতজার (ডর্টমুন্ড), ভিতিনিয়া (পিএসজি)। ফরোয়ার্ড: ভিনিসিয়ুস (রিয়াল), কেইন (বায়ার্ন), ফোডেন (ম্যানচেস্টার সিটি)।