রোনালদোকে ‘বিশেষ উপহার’ দিয়েছেন রেফারি
বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ৫টি ভিন্ন আসরে গোলের রেকর্ড গড়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ঘানার বিপক্ষে তাঁর দল পর্তুগালও পেয়েছে ৩-২ ব্যবধানের জয়। তবে রোনালদোর গোল এবং পর্তুগালের জয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ঘানা কোচ অটো আদো। তাঁর মতে রোনালদোর গোলটি ছিল রেফারির দেওয়া ‘উপহার’।
বৃহস্পতিবার রাতে ‘স্টেডিয়াম ৯৭৪’-এর ম্যাচটিতে ৬৫ মিনিটে পেনাল্টি পায় পর্তুগাল। আক্রমণে যাওয়া রোনালদোকে ডি–বক্সে ফেলে দেন ঘানা ডিফেন্ডার মোহাম্মদ সালিসু। সঙ্গে সঙ্গেই পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি ইসমাইল ইলফাথ।
ঘানার খেলোয়াড়েরা প্রতিবাদ জানালেও ভিএআর দেখার প্রয়োজন মনে করেননি মার্কিন এই রেফারি। পেনাল্টি থেকে ঠান্ডা মাথায় গোল করে দলকে এগিয়ে দেন রোনালদো। এরপর পর্তুগালকে আরও দুটি গোল এনে দেন জোয়াও ফেলিক্স এবং রাফায়েল লিয়াও। আন্দ্রে আইয়ু ও উসমান বুকারির গোলে ম্যাচে লড়াই জমিয়ে তুলেছিল ঘানাও। শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলে হেরে মাঠ ছাড়ে আফ্রিকান দেশটি।
ম্যাচ শেষে ঘানার হারের কারণ জিজ্ঞেস করা হলে রাখঢাক না রেখেই রেফারিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান ঘানা কোচ, ‘রেফারির কারণে হেরেছি।’
রোনালদোর ওই গোলের পর ঘানার জন্য ম্যাচটি কঠিন হয়ে যায় জানিয়ে আদো বলেন, ‘রেফারি আমাদের অনুকূলে ছিল না। পেনাল্টির সিদ্ধান্তটা ছিল ভুল। আমি জানি না ভিএআর কেন কার্যকর করা হলো না। আমার কাছে কোনো ব্যাখ্যা নেই। আর বিশ্বমানের একটি দল এভাবে এগিয়ে যাওয়ার পর খেলাটা কিন্তু কঠিন।’
২০০৬ সালে ঘানার হয়ে বিশ্বকাপ খেলেছিলেন আদো। ঘানা জাতীয় দলের কোচ হওয়ার আগে জার্মানির ম’গ্লাডবাখ ও ডর্টমুন্ডে কোচিং স্টাফের বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করার অভিজ্ঞতাও আছে।
৪৭ বছর বয়সী এই কোচ মনে করেন, ম্যাচে তাঁর দলই বরং বেশি ফাউলের শিকার হয়েছে, ‘রেফারিরা কেন ভিএআরে মনোযোগ দেননি আমি জানি না। আপনারা রিপ্লেতে খেয়াল করলে দেখবেন, আমরা বল খেলছিলাম। বরং আমাদের বিরুদ্ধেই ফাউল হয়েছে।’
পেনাল্টির সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোল করেন রোনালদো। খেলোয়াড়টি রোনালদো বলেই পেনাল্টির সিদ্ধান্ত এসেছে বলে মনে করেন কি না, প্রশ্নে আদো বলেন, ‘রেফারিকেই জিজ্ঞেস করুন। আমার কাছে কোনো প্রমাণ নেই। এখন কেউ যদি গোল করে, তাকে অভিনন্দন। তবে ওটা ছিল একটা উপহার। সত্যিই উপহার। এর চেয়ে বেশি আর কী বলব? রেফারির বিশেষ উপহার ছিল এটি।’
ম্যাচ শেষে খেলা পরিচালনা নিয়ে রেফারির সঙ্গে কথাও বলতে চেয়েছিলেন আদো।
সেটি সম্ভব না হলেও কোচ-রেফারি আলাপের একটি সুযোগ থাকা উচিত বলে মনে করেন ঘানা কোচ, ‘খুব শান্ত এবং ভদ্রোচিতভাবে ফিফার কিছু লোককে আমি রেফারির সঙ্গে কথা বলিয়ে দেওয়ার জন্য বলেছি। তারা বলেছেন উনি মিটিংয়ে, কথা বলা সম্ভব নয়। আমার মনে হয় তারা ম্যাচ নিয়ে বিশ্লেষণ করছিলেন। তবে কোচদের সঙ্গেও রেফারির কিছুটা সময় দেওয়া উচিত।’