পাকিস্তানকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

টাইব্রেকারে জয়ের পর বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের উচ্ছ্বাস

২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশের ফাইনালে ওঠার স্বপ্নটা ফিকে হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ের শেষ মুহূর্তের গোলে নাটকীয়ভাবে স্কোরলাইন হয় ২-২। এরপর সরাসরি টাইব্রেকার। টাইব্রেকারে পাকিস্তানকে ৮-৭ গোলে হারিয়ে আজ সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। ৩০ সেপ্টেম্বর ফাইনালে ভারতের সামনে বাংলাদেশ। ভারত আজ প্রথম সেমিফাইনালে নেপালকে হারিয়েছে ৪-২ গোলে।

থিম্পুর চাংলিমিথান স্টেডিয়ামে শেষ বাঁশির ঠিক আগে বাংলাদেশ কোচ সাইফুল বারী গোলকিপার নাহিদুল ইসলামকে তুলে মাঠে পাঠান আলিফ রহমান ইমতিয়াজকে। টাইব্রেকারে পাকিস্তানের আবদুল গনির নেওয়া অষ্টম শটটি আটকে দেন বাংলাদেশ গোলকিপার। এরপর অষ্টম শটে আশিকুর রহমান গোল করে বাংলাদেশকে নিয়ে যান ফাইনালে। বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরানো গোল দুটিও দুই বদলি খেলোয়াড়ের। কোচ সাইফুল বারীর খেলোয়াড় বদলির সিদ্ধান্তগুলো দারুণভাবে কাজে এসেছে।

দুই গোলে এগিয়েও শেষ পর্যন্ত হেরে যাওয়া পাকিস্তানের জন্য হতাশার। গ্রুপ পর্ব তিন ম্যাচে তারা ৯ গোল করেছিল। আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩২ মিনিটে ১-০ করেছে পাকিস্তান। কর্নার থেকে হেডে পাকিস্তানের গোলটি করেন শাহাব আহমেদ। ৬০ মিনিটে বক্সে বাংলাদেশের এক ডিফেন্ডারের হাতে বল লাগলে পেনাল্টি থেকে সহজে ২-০ করেন পাকিস্তানের লেফট ব্যাক আবদুল রেহমান। ৭৫ মিনিটে ২-১ করেন বাংলাদেশের বদলি নামা মোহাম্মদ মানিক। যোগ করা ৭ মিনিট সময়ের চতুর্থ মিনিটে নাটকীয়ভাবে বাংলাদেশ ম্যাচে ফেরে সেই মানিকের গোলেই। বক্সে সতীর্থের বাড়ানোর বলে আলতোভাবে বল ঠেলতে কোনো সমস্যাই হয়নি তাঁর।

পাকিস্তানের আরেকটি আক্রমণ ঠেকিয়ে দিল বাংলাদেশ দল
বাফুফে

গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ দুই ম্যাচের কোনোটিতেই জেতেনি। ভারতের কাছে হেরেছিল ১-০ গোলে, এরপর মালদ্বীপের সঙ্গে ১-১ ড্র। এই ড্রয়ের পর বাংলাদেশের সেমিফাইনালে ওঠাই ছিল অনিশ্চিত। কিন্তু ভারতের কাছে মালদ্বীপ বড় ব্যবধানে (৩-০) হেরে যাওয়ায় ভাগ্য খুলে যায় বাংলাদেশের। আর আজ সেমিফাইনালে দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও প্রত্যাবর্তনের দারুণ গল্প লিখেছে বাংলাদেশ। টাইব্রেকারে হেসেছে জয়ের হাসি।