রোনালদোর ‘প্রথম’–এর আনন্দ
ম্যাচের তখন ৭৭ মিনিট পেরিয়ে গেছে। নিচের সারির দল আবহার বিপক্ষে আল–নাসর তখনো ১–০ গোলে পিছিয়ে। উঁকি দিচ্ছিল লিগে টানা দ্বিতীয় হারের শঙ্কাও। এই ম্যাচ হারলে শিরোপা দৌড় থেকেও অনেকটা পিছিয়ে যাবে আল–নাসর।
কঠিন পরিস্থিতিতে ৩০ গজ দূর থেকে ফ্রি–কিক পায় তারা। আর শটটি নিতে এগিয়ে আসেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ফ্রি–কিকে গোল করাকে একসময় ট্রেডমার্ক বানিয়ে ফেলেছিলেন রোনালদো। কিন্তু লম্বা সময় ধরে কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিল তাঁর সেই জাদু।
দলের প্রয়োজনে কাল অবশ্য রোনালদোর পায়ে দেখা গেল ফ্রি–কিকের পুরোনো সেই ঝলক। একটু নিচু করে নেওয়া শট বুলেটগতিতে ছুটে গিয়ে গোলরক্ষকের ফাঁদ এড়িয়ে জড়ায় জালে। গোলের পর রোনালদোর উদ্যাপনও ছিল দেখার মতো। রোনালদোর অমন উচ্ছ্বাস আসলে আল–নাসরে নাম লেখানোর পর ঘরের মাঠে প্রথম গোল পাওয়ার।
এই গোলে দর্শক ও সতীর্থদের যেন জাগিয়ে তুললেন ‘সিআর সেভেন’। রোনালদোর গোলে সমতায় ফেরার পর ৮৬ মিনিটে পেনাল্টি গোলে আল–নাসরকে এগিয়ে দেন তালিসকা। ২–১ গোলের এ জয়ে শীর্ষে থাকা আল–ইতিহাদের সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান ১–এর বেশি বাড়তে দিল না আল–নাসর। ২১ ম্যাচে আল ইতিহাদের পয়েন্ট ৫০, সমান ম্যাচে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে আল নাসর আছে দ্বিতীয় স্থানে।
সৌদি প্রো লিগে এর আগে রোনালদো ৮ গোল করেছিলেন। এমনকি এক ম্যাচে করেছিলেন ৪ গোল। কিন্তু সব কটি ছিল প্রতিপক্ষের মাঠে। ঘরের মাঠে এটিই ছিল তাঁর প্রথম গোল। গোলের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের উচ্ছ্বাসও প্রকাশ করেছেন পর্তুগিজ তারকা। তিনি লিখেছেন, ‘জয় পাওয়াটা দারুণ। নিজেদের স্টেডিয়ামে আমাদের দর্শকের সামনে গোল করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।’
রোনালদোর গোল উদ্যাপনের ছবি দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন আল–নাসরের কোচ রুডি গার্সিয়াও। এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘প্রথমার্ধের কিছু ভুল হয়েছে। তবে আমাদের মানসিক শক্তি পরিস্থিতি বদলে দিতে সাহায্য করেছে। কঠিন পথে পাওয়া এই জয় থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।’