মোনাকোর হারে লিগ চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
ঘরের মাঠে লা হাভরের বিপক্ষে জিতলেই অফিশিয়ালি লিগ চ্যাম্পিয়ন নিশ্চিত হতো পিএসজির। কিন্তু ৩-৩ গোলের ড্রয়ে তাকিয়ে থাকতে হয় পার্ক অলিম্পিকে। প্রত্যাশিত ফলটা সেখানে পেয়ে যাওয়ায় রেকর্ড ১২তম বারের মতো লিঁগ আঁ শিরোপা জয় নিশ্চিত হলো পিএসজির।
লিঁও-র মাঠ পার্ক অলিম্পিকে নেমেছিল মোনাকো। পিএসজির প্রার্থনা ছিল, মোনাকো যেন জিততে না পারে। তাহলেই শিরোপা চলে আসবে পার্ক দে প্রিন্সেসে। কিন্তু ২১ সেকেন্ডে বেন ইয়েদেরের গোলে মোনাকো এগিয়ে যাওয়ার পর পিএসজি সমর্থকদের কেউ কেউ হয়তো আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। লিঁও সেই হতাশা সরিয়ে মোনাকোকে শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলে হারিয়ে পিএসজি সমর্থকদের এনে দিল উৎসবের উপলক্ষ।
তবে লিগটা পিএসজির জন্য অনেকটাই ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ হয়ে গেছে। গত ১২ মৌসুমের মধ্যে এ নিয়ে ১০মবার লিগ জিতল পিএসজি।
৩১ ম্যাচে ৭০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে পিএসজি। সমান ম্যাচ খেলে মোনাকো ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়। ১২ পয়েন্টের ব্যবধান দুই দলের মধ্যে এবং তিনটি করে ম্যাচ বাকি আছে। পিএসজি নিজেদের বাকি ৩ ম্যাচ থেকে কোনো পয়েন্ট না পেলেও সমস্যা নেই। কারণ মোনাকো নিজেদের বাকি ৩ ম্যাচ জিতলেও পিএসজির পয়েন্ট টপকে যেতে পারবে না।
বেন ইয়েদেরের গোলের পর সমতায় ফিরতে ২২ মিনিট সময় লেগেছে লিঁও-র। ২২ মিনিটে গোল করেন আলেক্সান্দার লাকাজেত্তে। চার মিনিট পর সাইদ বেনরাহমার গোলে এগিয়েও যায় লিঁও। ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যাওয়া মোনাকো ২৬ মিনিটের মধ্যে ২-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে।
৬৬ মিনিটে বেন ইয়েদারের গোলে সমতায় ফেরে মোনাকো। কিন্তু নাটকের তখনো বাকি ছিল। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার ৬ মিনিট আগে লিঁও-কে জয়সূচক গোলটি এনে দেন মালিক ফোফানা। গত নভেম্বরের পর লিগে প্রতিপক্ষের মাঠে এটাই প্রথম হার মোনাকোর।
লা হাভরের বিপক্ষে ড্রয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে বেশ নিশ্চিন্তই ছিলেন পিএসজি কোচ লুইস এনরিকে। জানতেন, যা কিছুই ঘটুক না কেন টানা তৃতীয় লিগ শিরোপা আসছে পিএসজির ঘরে। সংবাদ সম্মেলনে তাই বলে গেছেন, ‘আমরা চ্যাম্পিয়ন, সেটা পার্টি হোক বা না হোক। +২৯ গোল ব্যবধানেও এগিয়ে আছি। তাই এখনই নিজেকে চ্যাম্পিয়ন মনে হচ্ছে। এমনকি আমরা যদি আর পয়েন্ট না-ও পাই, তবু চ্যাম্পিয়ন।