পিএসজি মিডফিল্ডারের বাসায় ডাকাতি করতে গিয়ে আটক ৭
পিএসজি গোলকিপার জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা গত জুলাইয়ে ডাকাতির শিকার হয়েছিলেন। এবার পিএসজির আরেক খেলোয়াড়ও ডাকাতের খপ্পরে পড়তে যাচ্ছিলেন। ভাগ্যিস, ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সেই সাতজন দুষ্কৃতকারীকে ধরেছে প্যারিসের সেন্ট ক্লাউড অঞ্চলের পুলিশ। ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যম ‘লা পারিসিয়ান’ খবরটি জানানোর পর তা নিশ্চিত করেছে দেশটির আরেকটি সংবাদমাধ্যম ‘আরএমসি স্পোর্ট’।
পিএসজির এই জার্মান অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের বাসার আশপাশে নজরদারি দল বসিয়েছিল পুলিশ। ড্রাক্সলারের কাছের লোকজনের তরফ থেকে পুলিশকে জানানো হয়েছিল, বাসার আশপাশে দুটি গাড়ি সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছে। ঘটনার আগের দিন একটি ভক্সওয়াগন গলফ গাড়িতে দুজন লোকের সন্দেহজনক গতিবিধি নজরদারিতে আনা হয় বলে জানিয়েছে আরএমসি স্পোর্ট।
গতকাল মাঝরাতের দিকে পুলিশ ড্রাক্সলারের বাড়ির কাছাকাছি একটি গাড়ি থামিয়ে দুজনকে আটক করে। সেই গাড়ি থেকে পুলিশ দস্তানা, মুখোশ ও প্লাস্টিকের দড়ি উদ্ধার করে। সেখান থেকে একটু দূরে আরেকটি গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। পুলিশ সেই গাড়ি থেকেও পাঁচজনকে আটক করেছে। আর দস্তানা, মুখোশ ও প্লাস্টিকের দড়িও উদ্ধার করা হয়েছে সেই গাড়ি থেকে। সেন্ট ক্লাউড অঞ্চলের পুলিশ জানিয়েছে, দ্রুতই তাদের আদালতে বিচারের সম্মুখীন করা হবে। আটক করা সাতজনের মধ্যে একজন বাদে বাকি সবাইকে চেনে সেন্ট ক্লাউডের পুলিশ। তাঁদের বয়স ১৭ থেকে ২১ বছরের মধ্যে।
পিএসজি থেকে গত মৌসুমে ধারে বেনফিকায় গিয়ে পর্তুগিজ লিগ জিতেছেন ড্রাক্সলার। এ মৌসুমে ফরাসি ক্লাবটিতে ফিরলেও শালকের সাবেক এই খেলোয়াড় পিএসজিতে অপাঙ্ক্তেয়দের দলে আছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম। প্যারিসে প্রেমিকা সেথানি তাইং ও সন্তান নিয়ে বসবাস করেন ড্রাক্সলার। এর আগে পিএসজির আরও কয়েকজন খেলোয়াড় চুরি-ডাকাতির শিকার হয়েছেন। থিয়াগো সিলভা, আনহেল দি মারিয়া, মাউরো ইকার্দি, দানি আলভেস, প্রেসনেল কিম্পেম্বে, এরিক ম্যাক্সিম চুপো-মোটিং, মারকিনিওসদের বাসায় চুরি হয়েছে। গত জুলাইয়ে একই ঘটনার শিকার হন দোন্নারুম্মা।
প্রাক্-মৌসুম প্রস্তুতি নিতে পিএসজির জাপান যাত্রার আগের দিন দোন্নারুম্মার সঙ্গে ঘটেছিল এ ঘটনা। প্রেমিকাসহ পিএসজি গোলরক্ষক দোন্নারুম্মাকে বেঁধে রেখে ভয়াবহ এক ডাকাতি সংঘটিত হয় তাঁর বাসায়। সেদিন ডাকাতেরা গয়না, ঘড়ি ও চামড়ার তৈরি বিলাসবহুল পণ্য নিয়ে যায়। সব মিলিয়ে দোন্নারুম্মা পরিবারের ক্ষতি হয়েছে পাঁচ লাখ ইউরোর মতো, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ছয় কোটি চার লাখ টাকা।