৫৬ বছর বয়সে ফুটবল খেলতে নেমে রেকর্ড গড়লেন এই জাপানি ফুটবলার
ফেব্রুয়ারির শুরুতে ধারে জে লেগের ক্লাব ইউকোহামা থেকে পর্তুগালের দ্বিতীয় সারির ক্লাব অলিভিয়েরেন্সেতে যোগ দিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন জাপানের কাজুইউশি মিউরা। ফুটবলে ৩০ পেরোতেই খেলোয়াড়দের যেখানে ‘বুড়ো’ বলে ডাকা হয়, সেখানে ৫৫ পেরোনো কারও নতুন ক্লাবে যাওয়াটা বিস্ময়করই বটে।
এখন কাজুকে ঘিরে নতুন খবর হচ্ছে ৫৬ বছর বয়সে অলিভিয়েরেন্সের হয়ে অভিষেকও হয়ে গেছে তাঁর, যা কিনা নতুন এক রেকর্ডও বটে। পর্তুগিজ লিগের ওয়েবসাইট বলছে, মিউরা হচ্ছেন পর্তুগিজ ফুটবলে খেলা সবচেয়ে বেশি বয়সী ফুটবলার।
গতকাল পর্তুগিজ লিগা প্রোর ম্যাচে একাডেমিকো ডি ভিসেয়ুর বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই এ ইতিহাস গড়েছেন মিউরা। অলিভিয়েরেন্সের ৪-১ গোলে জেতা ম্যাচে ৯০ মিনিটের মাথায় নামানো হয় তাঁকে। যখন মিউরার বয়স ছিল ৫৬ বছর ১ মাস ২৪ দিন।
র্তমানে নিজের ক্যারিয়ারে ৩৮তম মৌসুমটি পার করছেন ফেব্রুয়ারিতে ৫৬-তে পা দেওয়া মিউরা। এর মধ্যেই ক্লাব ফুটবল ক্যারিয়ারে নিজের ষষ্ঠ দেশ হিসেবে পর্তুগালকে বেছে নিয়েছিলেন এই ফুটবলার। এর আগে বিভিন্ন মেয়াদে তিনি ব্রাজিল, জাপান, ইতালি, ক্রোয়েশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন ক্লাবে খেলেছেন।
১৯৮২ সালে বয়সভিত্তিক ফুটবল এবং ১৯৮৬ সালে মূল দলের হয়ে ফুটবলের পথে নিজের যাত্রা শুরু করেন মিউরা। তাঁর প্রথম ক্লাব ছিল ফুটবলের রাজাখ্যাত পেলের সান্তোস।
৩৮ বছরে সব মিলিয়ে ১৫টি ক্লাবে খেলেছেন মিউরা। যেখানে দুই মেয়াদে খেলেছেন সান্তোসে। লম্বা ক্যারিয়ারে অনেক ভক্ত-সমর্থকও পেয়েছে মিউরা। জাপানে সবচেয়ে পছন্দের ক্রীড়াবিদ হিসেবেও পরিচিত মিউরা, তাঁকে আদর করে ‘কিং কাজু’ বলে ডাকে।
ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলা মিউরা এর আগে বলেছিলেন, ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি ফুটবল চালিয়ে যেতে চান। জাপানি এই ফুটবলার গত মৌসুমে ধারে খেলেছিলেন জাপানের চতুর্থ সারির ক্লাব সুজুকা পয়েন্ত গেতেরসে, যেখানে ১৮ ম্যাচ খেলে তিনি করেছিলেন ২ গোল। জাপানের পেশাদার লিগে সবচেয়ে বেশি বয়সে গোল করা ফুটবলারও মিউরা।
২০১৭ সালে ৫০ বছর ১৪ দিন বয়সে গোল করে এই কীর্তি নিজের করে নিয়েছেন এই ফুটবলার। জাপান জাতীয় দলের হয়ে তিনি ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত খেলেছেন। জাপানের জার্সিতে ৮৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে করেছেন ৫৫ গোল।