নেইমার ৪০ কোটি ইউরো, লুকাকু ৩৬ কোটি...সম্মিলিত ট্রান্সফার ফিতে রাজত্ব যাঁদের
আধুনিক ফুটবলে দলবদল মানেই অর্থের ঝনঝনানি। প্রতি মৌসুমে দলবদলে পছন্দের খেলোয়াড়দের কিনতে টাকার থলে নিয়ে হাজির হয় ক্লাবগুলো। এখন পর্যন্ত অবশ্য বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়ের রেকর্ড নেইমারের দখলেই আছে।
২০১৭ সালে ফুটবল দুনিয়ায় আলোড়ন তুলে ২২ কোটি ২০ লাখ ইউরোতে বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে যান নেইমার। এমনকি দলবদলের সম্মিলিত হিসাবেও সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় ব্রাজিলিয়ান এই তারকা। দলবদলে তাঁর পেছনে ক্লাবগুলো খরচ করেছে ৪০ কোটি ইউরো।
নেইমারের পরের নামটি অবশ্য বেশ চমকপ্রদ, রোমেলু লুকাকু। একের পর এক দলবদল করেছেন এই বেলজিয়ান স্ট্রাইকার। যেখানে দলগুলো সব মিলিয়ে তাঁর পেছনে খরচ করেছে ৩৬ কোটি ৯২ লাখ ২০ হাজার ইউরো। সর্বশেষ এবারের দলবদলে চেলসি থেকে ৩ কোটি ইউরোয় নাপোলিতে গেছেন লুকাকু। বারবার দলবদলের এই ধারা অব্যাহত রাখলে সামনে লুকাকু হয়তো নেইমারকেও ছাড়িয়ে যাবেন। এর আগেও অবশ্য নেইমারের ওপরে ছিলেন লুকাকু। তবে নেইমারের সৌদি যাত্রার কারণে পিছিয়ে পড়েছেন বেলজিয়ান তারকা।
এই তালিকার তিনে থাকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পেছনে এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে ২৪ কোটি ৭০ লাখ ইউরো। লম্বা সময় রিয়াল মাদ্রিদে কাটিয়ে দেওয়া রোনালদোর অবশ্য খুব বেশি ক্লাব বদলানো হয়নি। আর ক্যারিয়ারের সেরা সময়ও মাদ্রিদের ক্লাবটিতে কাটানোয় দলবদলে নেইমারের মতো মূল্য পাননি তিনি। যে কারণে তিন নম্বরে থেকেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে ‘সিআর সেভেন’কে।
দলবদলের সম্মিলিত খরচের তালিকায় চারে আছেন উসমান দেম্বেলে। ফরাসি এই ফরোয়ার্ডের পেছনে খরচ হয়েছে ২২ কোটি ইউরো। এর মধ্যে অবশ্য বরুসিয়া থেকে তাঁকে আনতে বার্সেলোনা একাই খরচ করেছিল ১৩ কোটি ৫০ লাখ ইউরো, যা তাঁকে তুলে নিয়ে এসেছে চতুর্থ স্থানে।
পাঁচ নম্বরে আছেন স্প্যানিশ তারকা আলভারো মোরাতা। যাঁর পেছনে খরচ হয়েছে ২০ কোটি ২ লাখ ইউরো। সর্বশেষ এ বছরে আতলেতিকো থেকে এসি মিলানে গেছেন ১ কোটি ৩০ লাখ ইউরোতে। তালিকার ছয় নম্বর থেকে দশে আছেন মাথিয়াস ডি লিখট, জোয়াও ফেলিক্স, আতোয়াঁন গ্রিজমান, ফিলিপে কুতিনিও ও কিলিয়ান এমবাপ্পে।
নেইমার—৪০ কোটি ইউরো
সান্তোস থেকে বার্সেলোনা (২০১৩)—৮ কোটি ৮০ লাখ
বার্সেলোনা থেকে পিএসজি (২০১৭)—২২ কোটি ২০ লাখ
পিএসজি থেকে আল হিলাল (২০২৩)—৯ কোটি
রোমেলু লুকাকু—৩৬ কোটি ৯২ লাখ ২০ হাজার ইউরো
আন্ডারলেখট থেকে চেলসি (২০১১)—১ কোটি ৫০ লাখ
চেলসি থেকে এভারটন (২০১৩)—৩০ লাখ ৫০ হাজার (ধার)
চেলসি থেকে এভারটন (২০১৪)—৩ কোটি ৫৩ লাখ ৬০ হাজার
এভারটন থেকে ম্যানচেস্টার ইউ. (২০১৭)—৮ কোটি ৪৭ লাখ
ইউনাইটেড থেকে ইন্টার (২০১৯)—৭ কোটি ৪০ লাখ
ইন্টার থেকে চেলসি (২০২১)—১১ কোটি ৩০ লাখ
চেলসি থেকে ইন্টার (২০২২)—৭৮ লাখ ৬০ হাজার
চেলসি থেকে রোমা (২০২৩)—৫০ লাখ ৮০ হাজার
চেলসি থেকে নাপোলি (২০২৪)—৩ কোটি
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো—২৪ কোটি ৭০ লাখ ইউরো
লিসবন থেকে ইউনাইটেড (২০০৩)—১ কোটি ৯০ লাখ
ইউনাইটেড থেকে রিয়াল মাদ্রিদ (২০০৯)—৯ কোটি ৪০
রিয়াল থেকে জুভেন্টাস (২০১৮)—১১ কোটি ৭০ লাখ
জুভেন্টাস থেকে ইউনাইটেড (২০২১)—১ কোটি ৭০ লাখ
উসমান দেম্বেলে—২২ কোটি ইউরো
রেঁনে থেকে বরুসিয়া (২০১৬)—৩ কোটি ৫০ লাখ
বরুসিয়া থেকে বার্সেলোনা (২০১৭)—১৩ কোটি ৫০ লাখ
বার্সেলোনা থেকে পিএসজি (২০২৩)—৫ কোটি
আলভারো মোরাতা—২০ কোটি ২ লাখ ইউরো
রিয়াল মাদ্রিদ থেকে জুভেন্টাস (২০১৪)—২ কোটি
জুভেন্টাস থেকে রিয়াল (২০১৬)—৩ কোটি
রিয়াল থেকে চেলসি (২০১৭)—৬ কোটি ৬০ লাখ
চেলসি থেকে আতলেতিকো (২০১৯)—১ কোটি ৮০ লাখ (ধার)
চেলসি থেকে আতলেতিকো (২০২০)—৩ কোটি ৫০ লাখ
আতলেতিকো থেকে জুভেন্টাস (২০২০)—২ কোটি (ধার)
আতলেতিকো থেকে মিলান (২০২৪)— ১ কোটি ৩০ লাখ