- স্বাগতম!
- সঞ্চালক যাঁরা
- রদ্রি ইন দ্য হাউস
- ইয়ামাল!
- আজ রাতে যা থাকছে এবং এমি
- যার জন্য...
- ‘ব্ল্যাক সোয়ান’ও হাজির!
- বর্ষসেরা তরুণ? ইয়ামাল ছাড়া আর কে!
- মেয়েদের বর্ষসেরা ক্লাব বার্সেলোনা
- কে জানত, বেকেনবাওয়ার গানও গেয়েছেন!
- সর্বোচ্চ গোলদাতায় টাই!
- দুই মার্তিনেজ ও স্ট্রাইকার-গোলকিপার
- সক্রেটিস পুরস্কার হেনি হেরমোসোর
- মেয়েদের বর্ষসেরা কোচ এমা হেইজ
- ছেলেদের বর্ষসেরা কোচ অনুপস্থিত
- বোনমাতিরই ব্যালন ডি’অর
- ছেলেদের ব্যালন ডি’অর রদ্রির
- পুরস্কার জিতলেন যাঁরা
স্বাগতম!
ব্যালন ডি’অরের রাতে স্বাগতম।
প্যারিসের থিয়েটার দু শাতলেতে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হবে ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠান। মোট ১০টি ক্যাটাগরিতে বার্ষিক এ পুরস্কার দেওয়া হবে। ফুটবলে ব্যক্তিগত অর্জন বিচারে এটাই সেরা পুরস্কার হিসেবে বিবেচিত। এবারও সংক্ষিপ্ত তালিকায় মোট ৩০ জুন ফুটবলারকে বেছে নেওয়া হয়েছে। পুরস্কারটি পাওয়ার দৌড়ে শেষ পর্যন্ত এগিয়ে যান দুই তারকা।
ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও রদ্রি।
ভিনিসিয়ুস গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে জিতেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ ও লা লিগা। রদ্রি গত মৌসুমে স্পেনের হয়ে জিতেছেন ইউরো ও ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ।
বাংলাদেশ সময় আজ সন্ধ্যা পর্যন্তও আলোচনায় ভিনিসিয়ুসই এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু পাশার দান ঘুরতে শুরু করে তারপর থেকেই। আসলে থ্রিলার!
জানতে চাইলে পড়তে পারেন:
সঞ্চালক যাঁরা
স্যান্ডি হেরিবার্ট ও দিদিয়ের দ্রগবা!
হেরিবার্ট টিভি সংবাদকর্মী, ফরাসি চ্যানেল ফ্রান্স ২ এবং সংবাদমাধ্যম লেকিপে কাজ করেন। দ্রগবা নিশ্চয়ই চেনা? আফ্রিকান কিংবদন্তি, চেলসির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ ও পাঁচবার লিগজয়ী কিংবদন্তিকে স্যুটে দারুণ লাগছে।
রদ্রি ইন দ্য হাউস
কালো স্যুট, বোট বো-টাইয়ের রদ্রি এলেন ক্রাচে ভর করে। গত মাসে প্রিমিয়ার লিগে আর্সেনালের বিপক্ষে ম্যাচে এসিএল চোটে পড়েন রদ্রি। এবারের ব্যালন ডি’অর রাতের মূল আকর্ষণ স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। বাতাসে গুঞ্জন, ছেলেদের ব্যালন ডি’অর ট্রফিটা নাকি তাঁর হাতেই উঠছে!
সময় হলেই জানা যাবে। রদ্রি নিশ্চয়ই প্রেমিকা লরার সামনে ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরতে চান!
ইয়ামাল!
আজ রাতে যা থাকছে এবং এমি
এর মধ্যে এমিলিয়ানো মার্তিনেজ নিরাপদে হাঁটলেন ফ্রান্সের রাস্তায়। তবে গত বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টাইন গোলকিপারের স্মৃতি অনেক ফরাসিই ভুলতে পারেননি। তাই হয়তো একটু দুয়োও শুনতে হলো।
যার জন্য...
‘ব্ল্যাক সোয়ান’ও হাজির!
হলিউড অভিনেত্রী ও অ্যাঞ্জেল সিটি ক্লাবের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নাটালি পোর্টম্যানও অনুষ্ঠানে।
বর্ষসেরা তরুণ? ইয়ামাল ছাড়া আর কে!
ডাচ কিংবদন্তি রুড খুলিত এলেন মঞ্চে। ঘোষণা করলেন, ১৭ বছর বয়সী বার্সেলোনা তারকা এবারের কোপা ট্রফি বিজয়ী। এটি বর্ষসেরা তরুণ ফুটবলারের পুরস্কার। অনূর্ধ্ব-২১ বছর বয়সীদের জন্য।
ইয়ামাল মঞ্চে এলেন। হেরিবার্ট জানতে চাইলেন, সবচেয়ে কম বয়সে ব্যালন ডি’অরজয়ী কে তিনি জানেন কি না? পেছনে স্ক্রিনে দেখানো হলো ২১ বছর বয়সে এই ট্রফিজয়ী ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদোকে। হেরিবার্ট ও দ্রগবা জানতে চাইলেন, ইয়ামাল চ্যালেঞ্জটা নিচ্ছেন কি না?
ইয়ামাল লাজুক চোখে মাথা নেড়ে বোঝালেন, না।
কিন্তু তাঁর প্রতিভা সে কথা বলে না। স্পেনের হয়ে ইউরো জয়ে দারুণ ভূমিকা রেখেছেন। ফ্রান্সের বিপক্ষে সেই বিষ্ময় গোল! বার্সার হয়ে রেকর্ড ভাঙছেন একের পর এক।
ইয়ামাল এ পুরস্কারজয়ী প্রথম খেলোয়াড়, যাঁর বয়স ১৮ এর নিচে।
মেয়েদের বর্ষসেরা ক্লাব বার্সেলোনা
বার্সেলোনা সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা এবং নারী দলের তারকা অ্যালেক্সিস পুতেয়াস প্রথমে উঠেছিলেন মঞ্চে। এরপর এলেন বাকিরাও...।
গত মৌসুমে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে বার্সেলোনা মেয়েদের দল। গত বছর পুরস্কারটির অভিষেকেও বার্সাই জিতেছিল।
ছেলেদের বর্ষসেরা ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ
গত মৌসুমে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী রিয়াল মাদ্রিদ ছেলেদের বর্ষসেরা ক্লাব। কিন্তু রিয়ালের কেউ অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেই। ভিনিসিয়ুস এবার ছেলেদের বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জিতবেন না বলে মনে করে রিয়াল। তাই অনুষ্ঠানটি বয়কট করেছে মাদ্রিদের ক্লাবটি।
কে জানত, বেকেনবাওয়ার গানও গেয়েছেন!
সম্রাট তিনি! জার্মান ফুটবলের ‘কাইজার’। ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার। গত জানুয়ারিতে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। তাঁকে বিশেষ শ্রদ্ধা জানাতে মঞ্চে ডাকা হয়েছিল সাবেক সতীর্থ ও বন্ধু কার্ল হেইঞ্জ রুমেনিগে এবং বেকেনবাওয়ারের পরিবারকে।
জানা গেল, খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি এ ডিফেন্ডার গানও গেয়েছেন। ষাটের দশকের কিছু মিউজিক ভিডিও দেখানো হলো বেকেনবাওয়ারের!
সর্বোচ্চ গোলদাতায় টাই!
গত মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার। সমান ৫২ গোল করে হ্যারি কেইন ও কিলিয়ান এমবাপ্পের মধ্যে টাই! তবে মঞ্চে শুধু কেইনই উঠেছিলেন। এমবাপ্পে অনুষ্ঠানে কেন আসেননি, এতক্ষণে আপনার জানা।
ইংরেজ কেইন ব্যালন ডি’অরের আয়োজক ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকীকে ধন্যবাদ জানালেন। কৃতজ্ঞতা জানালেন সতীর্থদের প্রতি। জার্মান কিংবদন্তির নামে পুরস্কার (গার্ড মুলার) জিততে ভালোই লাগে, সেটাও জানালেন। বায়ার্ন মিউনিখে খেললে যা হয়!
দুই মার্তিনেজ ও স্ট্রাইকার-গোলকিপার
দুষ্টুমি আর কি! কিন্তু সেটুকু করতে গিয়ে নামেও মিলে গেল! স্ট্রাইকার মার্তিনেজের হাত থেকে ট্রফি নিলেন গোলকিপার মার্তিনেজ। খেলার আদর্শগত অর্থে তাঁরা একে-অপরের ‘শত্রু।’
লেভ ইয়াশিন ট্রফি বিজয়ীর নাম ঘোষণা করতে মঞ্চে উঠেছিলেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার লাওতারো মার্তিনেজ। এবারের বর্ষসেরা গোলকিপার তাঁরই জাতীয় দল সতীর্থ এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। অ্যাস্টন ভিলা তারকা মঞ্চে ওঠার পর বেজে উঠল ওয়েস্টার্ন আবহসঙ্গীত। যেন বুনো পশ্চিমের কোনো আউট ল!
টানা দ্বিতীয়বার ট্রফিটি জিতলেন মার্তিনেজ। সামনের মার্তিনেজ তাঁকে বুকেও টেনে নিলেন। হ্যাঁ, লাওতারোই।
সক্রেটিস পুরস্কার হেনি হেরমোসোর
মাঠের বাইরে ইতিবাচক কর্মকান্ডের জন্য এবারের সক্রেটিস পুরস্কার স্পেনের নারী দলের খেলোয়াড় হেনি হেরমোসোর।
মেয়েদের বর্ষসেরা কোচ এমা হেইজ
চেলসি গত মৌসুমে উইমেন সুপার লিগ (ডব্লিউএসএল) শিরোপা ধরে রেখেছে তাঁর হাত ধরে। যুক্তরাষ্ট্র দলকে জিতিয়েছেন অলিম্পকে সোনার পদকও। অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি এই ইংরেজ নারী কোচ। মেয়েদের ইয়োহান ক্রুইফ ট্রফি জয়ে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন হেইজ।
ছেলেদের বর্ষসেরা কোচ অনুপস্থিত
শিরোনামেই পরিস্কার কে জিতেছেন!
রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি। গত মৌসুমে তাঁর হাত ধরে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে রিয়াল।
রিয়াল ব্যালন ডি’অর পুরস্কার বয়কট করায় পুরস্কারটি নিতে আনচেলত্তিকে দেখা গেল না। কোনো ভিডিওবার্তাও নেই।
বোনমাতিরই ব্যালন ডি’অর
মেয়েদের বর্ষসেরা স্পেন ও বার্সেলোনার মিডফিল্ডার আইতানা বোনমাতি। গত মৌসুমেও তাঁর হাতেই পুরস্কারটি উঠেছিল। গত ১৮ মাসে বিশ্বকাপ ও দুবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের হাসিটা ফুটবলে মঞ্চে বোনমাতির মুখে।
হলিউড অভিনেত্রী নাটালি পোর্টম্যানের কাছ থেকে ব্যালন ডি’অর ট্রফিটি নেন বোনমাতি। জয়ের পর বলেছেন, ‘সব সময় বলেছি এটা এমন কিছু যা একা করা অসম্ভব। দারুণ কিছু খেলোয়াড় আমার আশপাশে থাকায় নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি। সতীর্থদের ধন্যবাদ তাঁদের ছাড়া এখানে আসতে পারতাম না।’
ভোটে দ্বিতীয় বার্সেলোনারই নরওয়ে উইঙ্গার ক্যারোলিন গ্রাহাম হ্যানসেন। তৃতীয়ও বার্সেলোনার। স্প্যানিশ উইঙ্গার সালমা পারালুয়েল্লো।
ছেলেদের ব্যালন ডি’অর রদ্রির
২০২৪ ব্যালন ডি’অর স্পেন ও ম্যানচেস্টার সিটির ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার রদ্রির।
লাইবেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট, এসি মিলান কিংবদন্তি ও ১৯৯৫ ব্যালন ডি’অরজয়ী জর্জ উইয়াহ তাঁর নাম ঘোষণা করেন মঞ্চে।
৬৪ বছর পর এই প্রথম ছেলেদের ব্যালন ডি’অর জিতলেন স্পেনের কোনো খেলোয়াড়। রদ্রির আগে সর্বশেষ এই পুরস্কার কোনো স্প্যানিশ সর্বশেষ জিতেছিলেন ১৯৬০ সালে। গত বছর জুলাইয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমানো লুইস সুয়ারেজের পর দ্বিতীয় স্প্যানিশ হিসেবে ছেলেদের বর্ষসেরার এই ট্রফি জিতলেন রদ্রি।
উইয়াহ সিটিরও সাবেক খেলোয়াড়। তাঁর কাছ থেকে পুরস্কারটি নিতে ভালোই লাগার কথা তাঁর। ক্রাচে ভর দিয়ে মঞ্চে ওঠার সময় বেশ আবেগপ্রবণ মনে হয়েছে রদ্রিকে। অনুষ্ঠান শুরুর আগে রিয়ালের বয়কট-বিতর্ক অনুষ্ঠানের প্রতি মনোযোগ একটু হলেও সরিয়ে দিয়েছিল। তাতে রদ্রির আলোয় এতটুকু আঁধার নামেনি।
গত মৌসুমে স্পেনের হয়ে জিতেছেন ইউরো। হয়েছেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ও। সিটির হয়ে জিতেছেন লিগ, সুপার কাপ ও ক্লাব বিশ্বকাপ। ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে গত মৌসুমে হেরেছেন মাত্র এক ম্যাচ।
দ্বিতীয় ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তৃতীয় জুড বেলিংহাম। দুজনেই রিয়ালের।
স্প্যানিশে যা বললেন, তাঁর বাংলা অর্থ এমন, ‘আমি, আমার পরিবার ও দেশের জন্য খুব খুব বিশেষ একটি দিন।’ প্রেমিকা লরাকেও ধন্যবাদ জানালেন। আজ এই জুটির অষ্টম বার্ষিকী। এমন দিনে ব্যালন ডি’অর জয়! রদ্রি উপহার দিতে জানেন বটে! বলেছেন, ‘আজ আমাদের বার্ষিকী। এই পৃথিবীতে সে-ই আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।’
উপহার পেলেন স্পেন ও ম্যানচেস্টার সিটির সমর্থকেরাও। ২০০৬ সালে ফাবিও কানাভারোর পর প্রথম ডিফেন্সিভ খেলোয়াড় হিসেবে ব্যালন ডি’অর জিতলেন রদ্রি। ম্যানচেস্টার সিটির প্রথম খেলোয়াড় হিসেবেও। ইংলিশ লিগে খেলা সপ্তম খেলোয়াড় হিসেবেও ব্যালন ডি’অর জিতলেন রদ্রি।
পরে ইংরেজিতে বলেছেন, ‘প্রতিদিন উন্নতির চেষ্টা করি, নিজের খেলার মান বাড়ানোর চেষ্টা করি। আধুনিক সময়ের হোল্ডিং মিডফিল্ডারের ভূমিকায়ও আরেকটু বেশি কিছু করার চেষ্টা করি।’
মাঠের বাইরে রদ্রি নিজেকে নিয়ে বলেছেন, ‘সাধারন মানুষ। খেলা ও নিজের পেশা উপভোগ করি। ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করি। মেজাজ হারানোর আগে আমি শান্ত মানুষ। ছোটদের দেখাতে চাই, পাগলাটে হওয়ার দরকার নেই। সাধারন হয়েই পারো, নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করো।’
চোট নিয়ে রদ্রি বলেছেন, ‘আগের চেয়ে ভালো বোধ করছি...এটা জীবনেরই অংশ।’ রদ্রি এখন পরিবারের সঙ্গে কিছুদিন একান্তে কাটিয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরতে চান। আজ রাতে কি ট্রফির সঙ্গে ঘুমোবেন? ‘১০০%’-রদ্রির জবাব।
পুরস্কার জিতলেন যাঁরা
এক নজরে ২০২৪ ব্যালন ডি’অর জিতলেন যাঁরা:
ছেলেদের ব্যালন ডি’অর: রদ্রি (স্পেন, ম্যানচেস্টার সিটি)
মেয়েদের ব্যালন ডি’অর: আইতানা বোনমাতি (স্পেন, বার্সেলোনা)
বর্ষসেরা গোলকিপার (লেভ ইয়াশিন ট্রফি): এমিলিয়ানো মার্তিনেজ (অ্যাস্টন ভিলা, আর্জেন্টিনা)
বর্ষসেরা তরুণ খেলোয়াড় (কোপা ট্রফি): লামিনে ইয়ামাল (স্পেন, বার্সেলোনা)
ছেলেদের বর্ষসেরা কোচ (মেনস ইয়োহান ক্রুইফ ট্রফি): কার্লো আনচেলত্তি (রিয়াল মাদ্রিদ)
মেয়েদের বর্ষসেরা কোচ (উইমেনস ইয়োহান ক্রুইফ ট্রফি): এমা হেইজ (চেলসি, যুক্তরাষ্ট্র নারী ফুটবল দল)
মেয়েদের বর্ষসেরা ক্লাব: বার্সেলোনা
ছেলেদের বর্ষসেরা ক্লাব: রিয়াল মাদ্রিদ
সক্রেটিস পুরস্কার: হেনি হেরমোসো (স্পেন, তাইগ্রেস ইউএএনএল)