২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

অবিশ্বাস্য গোলে ‘পুনর্মিলনী’ রাঙালেন হলান্ড

উড়াল দিয়ে গোল করছেন হলান্ডছবি: টুইটার

ফুটবলের পেশাদার জগত কী নির্মম! যে ক্লাবে খেলছেন, ম্যাচে সেই ক্লাব পিছিয়ে পড়ে সমতায় ফিরেছে সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে। এমন এক সময় দুর্দান্ত গোলে হারল সাবেক ক্লাব, সেটাও প্রথম পুনর্মিলনীতে!

ইতিহাদে এমনই এক ম্যাচ খেললেন ম্যানচেস্টার সিটি তারকা আর্লিং হলান্ড। বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ছাড়ার পর ম্যাট হামেলস, মার্কো রয়েসদের সঙ্গে এই ম্যাচটা তাঁর জন্য ছিল পুর্নমিলনীর। ছেড়ে যাওয়ার পর প্রথম সাক্ষাৎ। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে কী আর খোশগল্প চলে!

নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার ৭ মিনিট আগ পর্যন্তও ১-১ গোলে সমতায় ছিল সিটি। জিততে হলে কাউকে বিশেষ কিছু করতে হতো। হলান্ড সেটাই করলেন ৮৪ মিনিটে। তাঁর অ্যাক্রোবেটিক গোলটি মনে করিয়ে দেবে ইব্রাহিমোভিচের কিছু গোলকে।

বাবাকে গ্যালারিতে সাক্ষী রেখে গোলটি করেন হলান্ড
ছিবি: উয়েফা

ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে সিটির ২-১ গোলের এ জয়ে শুরুটা ছিল মন্থর। প্রথমার্ধে ম্যাড়ম্যাড়ে ফুটবল খেলেছে দুই দলই। এ সময় গোলপোস্টে আক্রমণ মাত্র একটি। ম্যাচটা জীবন্ত হয়ে উঠেছে ৫৬ মিনিটে জুড বেলিংহামের গোলে ডর্টমুন্ড এগিয়ে যাওয়ার পর। মার্কো রয়েসের ক্রস থেকে গোল করেন ইংরেজ মিডফিল্ডার। এর ৩ মিনিট পরই ডর্টমুন্ডের পোস্টে বল মারেন হলান্ড। বোঝা যাচ্ছিল, পিছিয়ে পড়ে জেগে উঠছে পেপ গার্দিওলার দল।

সমতাসূচক গোল পেতে প্রায় ২৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হয় ম্যানচেস্টার সিটিকে। ৮০ মিনিটে দুরপাল্লার চোখ ধাঁধানো শটে গোল করেন সিটি ডিফেন্ডার জন স্টোনস। ডর্টমুন্ডের গোলপোস্টে সেটা সিটির প্রথম শট! ইংলিশ ক্লাবটি ম্যাচে সমতায় ফেরায় পর শুধু একটি ব্যাপারই বাকি ছিল। হলান্ড গোল পাবেন কি না?

সিটিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই অবিশ্বাস্য ফর্মে নরওয়ে তারকা। ‘রক্তমাংসের মানুষ নয়, গোলমেশিন’--এসব তকমা নিয়ে সিটিতে এসে নামের প্রতি সুবিচারও করছেন হলান্ড। আজও তাই ঘটল।

সমতাসূচক গোলের পর সিটির জন স্টোনস
ছবি: উয়েফা

৮৪ মিনিটে হোয়াও ক্যানসেলো বাঁ প্রান্ত থেকে বাতাসে ভাসানো বাঁকানো পাস দেন হলান্ডকে। বলটা সামনে দিয়ে যাওয়ার আগেই হলান্ড লাফ দেন দুই ডিফেন্ডারের মাঝ থেকে। শূন্যে থাকতেই বাঁ পায়ের বুটের বাইরের অংশ দিয়ে টোকায় বল জালে। অবিশ্বাস্য চোখে তাকিয়ে ছিলেন ডর্টমুন্ড গোলকিপার আলেক্সান্দার মেয়ার। আর গ্যালারিতে বসে হেসেছেন হলান্ডের বাবা ও সিটির সাবেক মিডফিল্ডার আলফি হলান্ড। শূন্যে ভেসে ‘রং ফুটে’ গোল প্রতিদিন দেখা যায় না বলেই অ্যালান শিয়েরার টুইট করতে দেরি করেননি, ‘কী দুর্দান্ত ফিনিশ!’

সিটির হয়ে ৯ ম্যাচে ১৩ গোল করলেন হলান্ড। জয়ের পর নরওয়ে স্ট্রাইকার বলেছেন, ‘ডর্টমুন্ডের সবাইকে দেখে ভালো লাগছে। ওরা আমাকে থামাতে পারেনি। গোল করেছি। জানতাম পুরো ম্যাচেই আমার ওপর চোখ রাখা হবে। এডিন (ডর্টমুন্ড কোচ) আমার সবকিছু জানে।’

২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘জি’ গ্রুপের শীর্ষে ম্যানচেস্টার সিটি। সমান ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে জার্মান ক্লাব ডর্টমুন্ড। এই গ্রুপ থেকে অন্য ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করে কোপেনহেগেন ও সেভিয়া।