সুয়ারেজকে ডাকছে তাঁর প্রথম পেশাদার ক্লাবের সমর্থকেরা
দরজায় কড়া নাড়ছে বিশ্বকাপ। কাতার বিশ্বকাপ শুরু হতে আর মাত্র তিন মাস বাকি। এমন সময়েই কি না ক্লাবহীন লুইস সুয়ারেজ। আতলেতিকো মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই তিনি ফ্রি এজেন্ট। উরুগুয়ের হয়ে বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে নামার জন্য একটি ক্লাব খুঁজে বেড়াচ্ছেন এই তারকা।
উরুগুয়ের অন্যতম সেরা তারকার এমন দিনে পেশাদার ফুটবলে তাঁর প্রথম ক্লাব নাসিওনাল থেকে কেউ কোনো খবর নেয়নি—এটা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে সুয়ারেজের। এ কারণেই খুব হতাশা নিয়ে বলেছিলেন, ‘আমি খুব বিস্মিত হয়েছি যে আমার অবস্থা জানার জন্য নাসিওনালের নেতৃস্থানীয় কেউ আমাকে একটা ফোন পর্যন্ত করেনি।’
সুয়ারেজের এই আক্ষেপের কথা শোনার পর তাঁকে তাঁর শৈশবের ক্লাবে ফেরানোর দায়িত্বটা যেন নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছে নাসিওনালের সমর্থকেরা। তাঁকে দলে ভেড়ানোর জন্য টুইটারে ‘সুয়ারেজ হ্যাশট্যাগ নাসিওনাল’ লিখে একটি অভিযান শুরু করেছেন তাঁর ভক্তরা।
নাসিওনাল সমর্থকদের এই অভিযানে এরই মধ্যে পাঁচ কোটি অ্যাকাউন্ট যুক্ত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে উরুগুয়ের ক্লাবটি থেকে। সমর্থকদের এ উদ্যোগে সাড়া দিয়েছেন নাসিওনালের সভাপতি হোসে ফুয়েন্তেস। তিনি নাকি এরই মধ্যে ক্লাবের অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন।
সুয়ারেজ নাসিওনালে ফিরে আসুক, এটা চাইছে উরুগুয়ের ক্রীড়ামন্ত্রীসহ আরও অনেক নেতা। তাঁদের অনেকেই ক্লাবটির সমর্থকদের টুইটার-অভিযানে অংশ নিয়েছেন। উরুগুয়ের ক্রীড়া সাংবাদিক রদ্রিগো ভাসকেজ বলেন, সুয়ারেজের নাসিওনালে ফেরার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে গেছে।
নাসিওনালের সাবেক মিডফিল্ডার মাতিয়াস কারডাসিও বলেন, ‘সুয়ারেজ আমার বন্ধু। আমাদের প্রায় প্রতিদিনই কথা হয়। ক্লাবের সমর্থকেরা যা যা করছে, তার সবই সে জানে। যতই দিন যাচ্ছে, তার নাসিওনালে ফেরার সম্ভাবনাও ততই বাড়ছে।’
কয়েক দিন আগে অবশ্য সুয়ারেজ বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের কয়েকটি দল থেকে প্রস্তাব আছে। তিনি সেসব প্রস্তাবে এখনো হ্যাঁ বলেননি, তবে কাউকে না–ও বলে দেননি। কোথায় গেলে সুবিধা হবে, বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে পারবেন ভালোভাবে; এসব বিবেচনা করে দেখছেন।
সুয়ারেজের ঘনিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, ৩৫ বছর বয়সী সুয়ারেজ এখনই ইউরোপ ছাড়তে চান না। তিনি মূলত ইউরোপের কোনো লিগের ক্লাব থেকে ডাক পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কী হয়—সুয়ারেজ তাঁর প্রথম পেশাদার ক্লাব নাসিওনালের সমর্থকদের ডাকে সাড়া দেন, নাকি ইউরোপেই কোনো দলে থেকে যান!