ধারের খেলোয়াড়ের কাছে ম্লান নেইমারের গোল
বিশ্বকাপের পর কালই প্রথম পিএসজির শুরুর একাদশে একসঙ্গে খেললেন লিওনেল মেসি, নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপ্পে। কিন্তু এই মুহূর্তে তর্ক সাপেক্ষে বিশ্বের সেরা আক্রমণ ত্রয়ীও জেতাতে পারেনি পিএসজিকে। মেসি ও এমবাপ্পে কিছুটা নিষ্প্রভই ছিলেন রেঁসের বিপক্ষে ফ্রেঞ্চ লিগ ‘আঁ’–এর ম্যাচটিতে।
নেইমার অবশ্য অসাধারণ এক গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর গোল ম্লান হয়ে গেছে যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে আর্সেনাল থেকে ধারে রেঁসে খেলতে আসা ফ্লোরেইন বালোগানের গোলে। ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব–২১ দলের এই স্ট্রাইকারের গোলে পিএসজির মাঠ থেকে নাটকীয় ড্র নিয়ে ফিরেছে রেঁস।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর নেইমার পিএসজিকে এগিয়ে দেন ৫১ মিনিটে। বক্সের মধ্যে হুয়ান বের্নাতের পাস পেয়ে গোলকিপারকে বোকা বানাতে বাঁ দিকে চলে যান নেইমার। নেইমারের শরীরের প্রথম ঝাঁকিতেই বোকা বনে গিয়ে পড়ে যান রেঁসের গোলকিপার দিউফ। এরপরও অবশ্য নেইমারকে ঠেকানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু নেইমার আরেকটু বাঁয়ে সরে বাঁ পায়ের শটে বল জালে জড়ান।
এগিয়ে যাওয়ার ৮ মিনিট পর লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন পিএসজির মার্কো ভেরাত্তি। পিএসজির একজন খেলোয়াড় কম নিয়ে খেলার সুযোগ কাজে লাগিয়ে আক্রমণের ধার বাড়ায় রেঁস। অবশেষে তারা গোলের দেখা পায় শেষ বাঁশি বাজার ঠিক আগে।
মাঝমাঠের কাছাকাছি জায়গায় বল পেয়ে গতিতে পিএসজির দুই ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যান বালোগান। বক্সের কাছে গিয়ে একা পেয়ে যান পিএসজির গোলকিপার জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মাকে। তাঁকে কাটিয়ে বল জালে জড়ান বালোগান। তাঁর গোলে পাওয়া ড্রয়ের ফলে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ১৪ ম্যাচ অপরাজিত রইল রেঁস।
অন্যদিকে পিএসজি এই নিয়ে নতুন বছরে খেলা লিগের চার ম্যাচের তিনটিতেই পয়েন্ট হারাল। এরপরও অবশ্য শীর্ষেই আছে ক্রিস্তফ গালতিয়েরের দল। ২০ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৪৮। সমান ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে লাস। তৃতীয় স্থানে থাকা মার্শেইয়ের পয়েন্ট ৪৩।
লিগে শীর্ষে থাকলেও নতুন বছরে দলের এমন পারফরম্যান্স কোচ গালতিয়েরের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজই ফেলার কথা। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি যে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচ খেলবে পিএসজি। সেই ম্যাচের আগে সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যাবে তো—এটাই এখন গালতিয়ের আর পিএসজি সমর্থকদের সবচেয়ে বড় চিন্তা।