তেতো অতীতটা ফেরাতে চাননি মেসি, তাই বার্সায় ফেরাও হয়নি
ক্যাম্প ন্যুর প্রিয় আঙিনায় ফিরতে চেয়েছিলেন, সমর্থকেরাও প্রস্তুত ছিল। সে কারণেই তো এই মৌসুমে ক্যাম্প ন্যুতে ম্যাচের ১০ মিনিটে শোনা গেছে ‘মেসি মেসি’ স্লোগান। শেষ পর্যন্ত কিছুই হয়নি, লিওনেল মেসি ফিরতে পারেননি তাঁর প্রিয় বার্সেলোনাতে। কারণটা মেসি নিজেই খোলাসা করেছেন। আর্জেন্টাইন অধিনায়ক এবার ভবিষ্যৎটা রাখতে চান নিজের হাতে।
২০২১ সালের আগস্টে বার্সেলোনার আর্থিক দুরবস্থার মধ্যে একেবারে বাধ্য হয়ে ক্লাব ছাড়তে হয়েছিল মেসিকে। দলবদলের মৌসুম শেষের এক সপ্তাহ আগে বার্সা মেসিকে জানায় তারা মেসির নিবন্ধন করতে পারছে না। এরপর নতুন দল নিয়ে খুব তাড়াহুড়ো করেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল মেসিকে।
এবারও বার্সা তাঁকে ফেরানোর কথা বললেও কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছিল না। গতবারের মতো এবারও শেষ মুহূর্তে বার্সেলোনা অপারগতা প্রকাশ করতে পারে, এমন শঙ্কা ছিল বলেই মেসি আর বার্সায় ফেরেননি, ‘আমি বার্সেলোনাতেই ফিরতে চেয়েছিলাম। তবে এই ভয়ও ছিল, আগের ব্যাপারটা আবারও ঘটতে পারে। সেখান থেকে বিদায়ের সময় যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে আমাকে যেতে হয়েছিল, সেই অবস্থার মধ্যে আবার পড়তে চাইনি। অন্যের হাতে নিজের ভবিষ্যৎ তুলে দিতে চাইনি।’
মেসিকে বার্সায় ফেরাতে বড় বাধা ছিল লা লিগার বেতনকাঠামো ও উয়েফার আর্থিক সংগতি নীতি। মেসিকে প্রস্তাব দেওয়ার আগেই বার্সেলোনার বেতন লা লিগার নির্ধারণ করে দেওয়া সীমা অতিক্রম করে গেছে। তবে কয়েক দিন ধরেই গণমাধ্যমে শোনা যায়, বেতন সীমা নিয়ে বার্সার দেওয়া প্রস্তাবে সন্তুষ্ট লা লিগা।
মেসি নিজেও গণমাধ্যমে এই খবর পেয়েছেন, তবে মেসির দাবি অনেক কিছুই ঠিকঠাক ছিল না, ‘গণমাধ্যমে শুনেছি লা লিগা বেতনসীমা নিয়ে বার্সার দেওয়া প্রস্তাব গ্রহণ করেছে, সবকিছুই আমার ফেরার জন্য সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। আসলে অনেক কিছু ঠিকঠাক ছিল না। শুনেছিলাম আমাকে আনার জন্য বার্সেলোনাকে খেলোয়াড় বিক্রি করতে হবে বা খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক কমাতে হবে। সত্যি বলতে, আমি এই বিষয়গুলোর মধ্য দিয়ে যেতে চাইনি, কিংবা এসব কিছুর দায় নিতে চাইনি। আমি ভয়ে ছিলাম আমার সঙ্গে আবার তেতো সেই ঘটনা না ঘটে, আবারও আমাকে তাড়াহুড়ো সিদ্ধান্ত নিতে না হয়।’