জোড়া গোলে সন্তুষ্ট থাকতে হলো হলান্ডকে

পরিচিত দৃশ্য। এবার হলান্ডের জোড়া গোলছবি: উয়েফা

বেচারা কোল পালমার! দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরুর মিনিটখানেক পর বদলি নামলেন এই ম্যানচেস্টার সিটি মিডফিল্ডার। ইতিহাদের গ্যালারির কোলহলে যেন ভাটা পড়ল। আর্লিং হলান্ডের যে হ্যাটট্রিক হচ্ছে না!

ঠিকই ধরেছেন। হলান্ডকে তুলে ২০ বছর বয়সী পালমারকে নামান সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা। কোপেনহেগেনের বিপক্ষে সিটির ৫-০ গোলের জয়ে হলান্ডকে তাই সন্তুষ্ট থাকতে হলো জোড়া গোল করে। নরওয়েজীয় স্ট্রাইকার আসলে এভাবে লিখতে বাধ্য করছেন।

এই মৌসুমে ১২ ম্যাচ খেলে  হলান্ড যে একটি ম্যাচে গোল করতে পারেননি, সেটিতেও গোল বানিয়েছেন। একাধিক হ্যাটট্রিক তো আছেই। চ্যাম্পিয়নস লিগে মাত্র ২২ ম্যাচেই ২৮ গোল, রিভালদো-লুইস সুয়ারেজরা এই প্রতিযোগিতায় গো্লসংখ্যায় এরই মধ্যে তাঁঁর পেছনে। হলান্ড গোল করার সামর্থ্যকে অজানা এক উচ্চতায়ই নিয়ে যাচ্ছেন।

নিজের প্রথম টাচ থেকেই গোলের পর সতীর্থদের সঙ্গে হলান্ডের উদ্‌যাপন
ছবি: উয়েফা

আর প্রায় ১০ মিনিট মাঠে থাকলেই হলান্ড হয়তো হ্যাটট্রিকও পেয়ে যেতেন। ৫৫ মিনিটে সিটি ডিফেন্ডার আয়মেরিক লাপোর্তোকে বক্সে রাগবি কায়দায় ফেলে দেন ডেনিশ ক্লাবটির নিউজিল্যান্ডের ডিফেন্ডার মার্কো স্টামেনিচ। পেনাল্টি থেকে সিটিকে চতুর্থ গোলটি এনে দেন আলজেরিয়ান তারকা রিয়াদ মাহরেজ। মৌসুমে তাঁর প্রথম গোল। কিন্তু হলান্ড মাঠে থাকলে পেনাল্টিটি হয়তো তাঁকেই নিতে দেওয়া হতো। আরেকটি হ্যাটট্রিকের সুযোগ বলে কথা!

পুরো ম্যাচে দাপিয়ে খেলা সিটি পঞ্চম গোলটি পেয়েছে ৭৬ মিনিটে। মাহরেজের দুর্দান্ত পাস থেকে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড জুলিয়ান আলভারেজের পায়ের টোকায় গোল। পরে আরও গোলের সুযোগ পেয়েছে সিটি। জ্যাক গ্রিলিশ সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। আর প্রথমার্ধটুকু হলান্ড এবং আত্মঘাতী গোলের গল্প।

ম্যাচের ৭ মিনিটে বলে নিজের প্রথম টাচ থেকে গোল করেন হলান্ড। কোপেনহেগেন বলের দখল সেভাবে পেতে না পেতেই হোয়াও ক্যানসেলোর পাস থেকে গোল। একদম ঠিক জায়গায় ঠিক সময়ে ওত পেতে ছিলেন হলান্ড। ৩২ মিনিটে পরের গোলটিও যেন একই কায়দায়! কোপেনহেগেন গোলকিপার জনসন গারবারার ঠেকানো দুরপাল্লার শট থেকে অরক্ষিত জায়গায় বল পেয়ে যান হলান্ড। গারবারার কিছু করার ছিল না।

৩৯ মিনিটে আত্মঘাতী গোল করে কোপেনহেগেনের ভোগান্তি বাড়ান ডিফেন্ডার সের্জিও গোমেজ। দুরপাল্লার শট ‘ক্লিয়ার’ করতে গিয়ে বল জালে জড়ান। বিরতির আগে প্রতিপক্ষের গোলপোস্টে ১০টি শট নিয়েছে সিটি।

চারটি ভালো সেভ করেন গারবারা। প্রথমার্ধে কোপেনহেগেন সিটির গোলপোস্টে একটি শটও নিতে পারেন। নিজের জায়গায় মোটামুটি শান্তিতেই সময় কেটেছে সিটি গোলকিপার এদেরসনের।

৩ ম্যাচের সবগুলো জিতে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ‘জি’ গ্রুপের শীর্ষে ম্যানচেস্টার সিটি। এই গ্রুপের অন্য ম্যাচে সেভিয়াকে ৪-১ গোলে হারায় বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ডর্টমুন্ড। সমান ম্যাচে এক ড্রয়ে ১ পয়েন্ট পাওয়া সেভিয়া তিনে। ১ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে কোপেনহেগেন।