সাবিনাদের নিয়ে ‘ভিন্ন রকম’ প্রস্তুতির ভাবনা কোচের
কঠিন চ্যালেঞ্জ সামনে। এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের মেয়েরা জাপানের বিপক্ষে খেলবে। খেলবে ভিয়েতনামের বিপক্ষে। গ্রুপে থাকা অন্য দল নেপালের বিপক্ষেও কাজটা সহজ নয়। প্রস্তুতিতে তাই কোনো ঘাটতি রাখতে চান না জাতীয় নারী দলের কোচ সাইফুল বারী টিটু।
জাপান বিশ্বের ১১ নম্বর দল, সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। গুণে-মানে, ফুটবল-শৈলীতে বাংলাদেশের চেয়ে তারা এগিয়ে যোজন ব্যবধানে। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ভিয়েতনামের স্থানও ৩২।
অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে চলমান বিশ্বকাপ ফুটবলে খেলা এই দুই দলের বিপক্ষে সাবিনা-কৃষ্ণা-সানজিদারা যদি ন্যূনতম প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে চান, তাহলে তাদের প্রস্তুতিও হতে হবে সর্বোচ্চ মানের। কোচ সাইফুল বারী সেটি করতে চান অন্য রকম এক পদ্ধতিতে। ছেলেদের বয়সভিত্তিক দলের সঙ্গে নারী দলকে একাধিক অনুশীলন ম্যাচ খেলাতে চান তিনি।
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের মাঠে জাতীয় দলের অনুশীলন চলছে ১ আগস্ট থেকে। প্রতিদিনই খেলোয়াড়দের স্কিল ট্রেনিং করাচ্ছেন কোচ সাইফুল বারী। চলছে রানিংও।
কিন্তু শুধু রানিং আর স্কিল ট্রেনিং দিয়ে জাপান আর ভিয়েতনামের মতো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে লড়াইয়ের জন্য মেয়েদের যে পুরোপুরি প্রস্তুত করা যাবে না, সেটি খুব ভালোভাবেই জানেন তিনি।
ছেলেদের বয়সভিত্তিক দলের সঙ্গে খেলাটাকে খুব ব্যতিক্রমী কিছু অবশ্য মনে করেন না কোচ, ‘এটা তো সব জায়গাতেই হয়। ছেলেদের কোনো বয়সভিত্তিক দলের সঙ্গে খেলে মেয়েদের দল অনুশীলন করে। মূলত ফিটনেস ও সহ্যক্ষমতা বাড়াতে এমনটা করা হয়। সবচেয়ে ভালো হতো যদি শক্তিশালী কোনো বিদেশি দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পেতাম। তবে ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৬ দলের সঙ্গে খেলাও যেতে পারে। তবে ওদের পাব কি না, সেটা বলতে পারছি না।’
এশিয়ান গেমসে এই প্রথমবারের মতো খেলছে বাংলাদেশ নারী দল। চীনের হাংজুতে সেপ্টেম্বরে হবে এশিয়ান গেমস। গ্রুপ চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকেই জাপান, ভিয়েতনামের মতো দলের বিপক্ষে খেলার রোমাঞ্চ কাজ করছে বাংলাদেশের নারী দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে। লড়াইটা কঠিন হলেও এই দুই শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলাটাকে তারা শেখার উপলক্ষ হিসেবেই দেখছেন।