নিজের ডান পা বদলে ফেলতে চান এই রিয়াল তারকা
রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে গত মৌসুমেই দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে আলোচনায় আসেন এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা। বদলি হিসেবে নেমে একাধিক ম্যাচে নিজের ছাপও রাখেন ১৯ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার।
এখন আন্তর্জাতিক বিরতিতে জাতীয় দল ফ্রান্সের সঙ্গে আছেন কামাভিঙ্গা। যেখানে জিকিউ ম্যাগাজিনের মুখোমুখি হয়ে তুলে ধরেছেন নিজের ব্যক্তিগত জীবনের নানা দিক, পছন্দ-অপছন্দ এবং ফুটবল নিয়ে ভাবনা। কামাভিঙ্গা বলেছেন, নিজের ডান পা নিয়ে তিনি এতটাই বিরক্ত যে পারলে বদলে নিতে চান পা–টাকে!
ফ্রান্স দলে আগামী দিনের তারকা হিসেবে যাঁদের বিবেচনা করা হচ্ছে, কামাভিঙ্গা তাঁদের অন্যতম। নিজেকে মেলে ধরতে বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চকেই বেছে নিতে চাইবেন তিনি। তবে ব্যক্তিগত জীবনে আনন্দপ্রিয় কামাভিঙ্গা চাপ খুব একটা নিতে পছন্দ করেন না।
যদিও ডান পা–টা নিয়ে একটু বিরক্ত বলেই জানালেন তিনি, ‘আমি এমন মানুষ যে জীবনকে ব্যাপকভাবে উপভোগ করি। কে কী বলে, তা নিয়ে একেবারেই ভাবি না। আমি কেবল আমার সতীর্থ এবং পরিবারকেই গুরুত্ব দিই। তিন বছর আগে আমি যেমনটা ছিলাম এখনো তেমন আছি। আমি খুবই মার্জিত একজন মানুষ, যে কিনা সাফল্যে মাথা নষ্ট করে ফেলি না। আমি শান্ত থাকতে পছন্দ করি এবং হাসিখুশি থাকি। আমি কেবল চাই নিজের ডান পা–টা বদলে ফেলতে। এটা কোনো কাজেরই না।’
কামাভিঙ্গা মূলত বাঁ পায়ের সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার। হয়তো ডান পা–টা বাঁ পায়ের মতো কার্যকর নয় বলেই এমন ভাবনা তাঁর। এই দুর্বলতা অবশ্য কামাভিঙ্গার সাফল্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে না। স্বপ্নের ক্লাব রিয়ালে ইতিমধ্যে নিজের জায়গা খুঁজে নিতে শুরু করেছেন তিনি। রিয়ালের হয়ে খেলার ব্যাপারে জানত চাইলে কামাভিঙ্গা বলেছেন, ‘আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন থেকেই এটা আমার স্বপ্ন। এটা বিশ্বের সেরা ক্লাব। যখন তারা আমাকে নিতে এল, আমার সেখানে যাওয়া নিয়ে কোনো সংশয়ই ছিল না।’
রিয়ালে লুকা মদরিচ ও টনি ক্রুসের মতো তারকার সঙ্গে জুটি বেঁধে খেলছেন তিনি। এ দুজনের কাছ থেকে কামাভিঙ্গা শিখছেনও প্রচুর। কামাভিঙ্গা বলেছেন, ‘আমি মদরিচ ও ক্রুসের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখছি। শুধু মাঠে তাদের খেলায় নয়, মাঠের বাইরে তারা যা করে, তা থেকেও শিখছি। অনুশীলনে ও বিশ্রামে তারা কী করে, তা–ও অনুসরণ করি। এগুলো আমি নিজের জীবনের প্রয়োগ করি, কারণ তারা আমার জন্য ভালো।’
গত মৌসুমে রিয়ালের হয়ে লা লিগা, চ্যাম্পিয়নস লিগসহ একাধিক শিরোপা জিতেছেন কামাভিঙ্গা। তবে এখন স্বপ্ন দেখছেন বিশ্বকাপে খেলার, ‘বিশ্বকাপে খেলাটা আমার জন্য স্বপ্নের মতো হবে।’