রোনালদিনিওর ছেলের সঙ্গে চুক্তি বার্সেলোনার
বাবা একসময় খেলেছেন বার্সেলোনার হয়ে। ছিলেন অন্যতম সেরা তারকা। বাবার পথ ধরে সেই বার্সেলোনাতেই ট্রায়াল দিতে এসেছিলেন জোয়াও মেন্দেস দা আসিস মোরেইরা। কাল ক্লাবের বয়সভিত্তিক একাডেমিতে জোয়াও মেন্দেসকে সই করিয়েছে বার্সা। সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, অনূর্ধ্ব-১৯ দলে তাঁকে সই করিয়েছে কাতালান ক্লাবটি। অর্থাৎ বাবা রোনালদিনিওর পথ ধরে জোয়াও মেন্দেস এখন আনুষ্ঠানিকভাবে বার্সেলোনার খেলোয়াড়।
ব্রাজিলের হয়ে ২০০২ সালে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন রোনালদিনিও। মেসি-রোনালদোর আধিপত্য শুরুর আগে বিশ্ব ফুটবলে অন্যতম সেরা এই তারকা ক্যারিয়ারের ১৭ বছরের ৫ বছরই কাটিয়েছেন ক্যাম্প ন্যুতে। বার্সেলোনার হয়ে জিতেছেন দুটি লা লিগা ও একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ। একবার ব্যালন ডি’অর আর দুবার ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারও হয়েছিলেন রোনালদিনিও। বার্সেলোনার জার্সিতে ২০৭ ম্যাচে রোনালদিনিওর গোলসংখ্যা ৯৪। বার্সেলোনা ছাড়াও রোনালদিনিও খেলেছেন এসি মিলান ও পিএসজিতে। ব্রাজিলে খেলেছেন গ্রেমিও, আতলেতিকো মিনেইরো, ফ্ল্যামেঙ্গো ও ফ্লুমিনসের হয়ে। মেক্সিকোতে খেলেছেন কোয়েরেতারোর হয়ে।
ছেলে জোয়াও মেন্দেস যে বাবাকেই অনুসরণ করতে যাচ্ছে, সেই খবর আগেই বেরিয়েছে। গত জানুয়ারি মাস থেকেই মেন্দেস বার্সেলোনায় ট্রায়ালে ছিলেন। প্রতিভা সম্পর্কে নিশ্চিন্ত হয়েই অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সঙ্গে চুক্তি হচ্ছে জোয়াও মেন্দেসের। বাঁ পায়ের খেলোয়াড় মেন্দেস ফরোয়ার্ড লাইনে যেকোনো পজিশনেই খেলতে পারেন। তাঁকে ফুটবলে এনেছেন ‘চাচা’ রবার্তো দা আসিস মোরোইরা। তিনি মেন্দেসের বাবা রোনালদিনিওকেও ফুটবলে এনেছিলেন। রোনালদিনিওর ক্যারিয়ারে বড় ভূমিকা ছিল রবার্তো দা আসিসের।
মেন্দেস ১৪ বছর বয়স থেকে খেলা শুরু করেন। প্রথমে ফ্ল্যামেঙ্গো এরপর ভাস্কো দা গামা হয়ে নাম লেখান বোয়া ভিস্তার যুব দলে। ২০১৯ সালে আরেক ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ক্রুজেইরোর স্কাউটদের নজরে পড়েন নিজের প্রতিভার গুণে। এর পর থেকে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ক্রুজেইরোর যুব দলেই ছিলেন। এ বছরই সে চুক্তি বাতিল করে স্পেনে পা রেখে বার্সায় যোগ দিলেন মেন্দেস।
মেন্দেসের ট্রায়ালে বার্সেলোনা সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা চোখ রেখেছেন। বর্তমানে বার্সেলোনার দূত হিসেবে কাজ করা রোনালদিনিওর সঙ্গে এ নিয়ে কথাও বলেছেন বেশ কয়েকবার। লাপোর্তা মনে করেছিলেন রোনালদিনিওর মতো বিশাল মাপের তারকা ফুটবলারের সন্তান হওয়ার কারণে মেন্দেসের ওপর প্রচ্ছন্ন চাপ আছে। তাঁর শঙ্কা ছিল, সেই চাপ না আবার উল্টো ফল দেয়। লাপোর্তা অবশ্য আশা করছেন, সেই চাপ থেকে বের করে এনে রোনালদিনিওর ছেলেকে দারুণ এক ফুটবলার হিসেবে গড়ে তোলার কাজটাই করবে বার্সেলোনা।