রিয়াল মাদ্রিদ আর ক্রোয়েশিয়ার ডিএনএ একই, বলছেন মদরিচ
নির্ধারিত ৯০ মিনিটের সঙ্গে যোগ করা সময় তো ছিলই, এরপর অতিরিক্ত ৩০ মিনিট। ব্রাজিলের বিপক্ষে বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালের মতো স্নায়ুচাপের ম্যাচে দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় একই গতিতে, একই প্রাণশক্তি নিয়ে দৌড়েছেন লুকা মদরিচ। ক্রোয়েশিয়ার অধিনায়ককে দেখে মনে হয়েছে বল যেখানে, সেখানেই তিনি।
১২০ মিনিটেও নিষ্পত্তি না হওয়ায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। পেনাল্টি শুট আউটেও হিমশীতল থেকে ব্রাজিলের গোলরক্ষক আলিসন বেকারকে বোকা বানিয়েছেন মদরিচ। ক্রোয়েশিয়াকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েই টানা দ্বিতীয়বার সেমিফাইনালে তুলেছেন।
বয়স ৩৭ পেরিয়ে গেছে। এই বয়সের অনেক আগেই কত নামীদামি ফুটবলার বুটজোড়া তুলে রেখেছেন। কিন্তু মদরিচ যেন বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও শক্তিশালী, আরও ক্লান্তিহীন হয়ে উঠেছেন।
এত শক্তি কোথায় পাচ্ছেন মদরিচ? স্প্যানিশ টেলিভিশন চ্যানেল এসপানোলার ‘এল চিরিঙ্গিতো’ নামের এক অনুষ্ঠানে রিয়াল মাদ্রিদের ‘মিডফিল্ড জেনারেল’ বলেছেন, ‘বলতে পারেন, আমাদের (ক্রোয়েশিয়া) ও রিয়াল মাদ্রিদের ডিএনএ একই। হাল না ছাড়ার মানসিকতা, শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার সক্ষমতা আমাদের এখানে নিয়ে এসেছে।’
রিয়ালের হয়ে সম্ভাব্য সব শিরোপাই জিতেছেন মদরিচ। ক্যারিয়ারে একমাত্র অপূর্ণতা বলতে শুধু বিশ্বকাপ। মদরিচের ক্রোয়েশিয়ার এবারের বাধা লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। লুসাইলে আজ রাতে মেসিদের হারাতে পারলেই আবারও ফাইনালে উঠবে তাঁর দল। সেই ম্যাচের আগে ইতিহাস মদরিচের পক্ষেই কথা বলছে।
২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বেই দেখা হয়েছিল দুই দলের। ওই ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে ৩–০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। দূরপাল্লার বুলেটগতির শটে মদরিচের গোলটা তো এখনো অনেকের চোখে লেগে আছে। সে বছর ব্যালন ডি’অরও জিতেছেন।
এবারও মেসিদের কঠিন পরীক্ষায় ফেলতে প্রস্তুত মদরিচ ও তাঁর সতীর্থরা, ‘আরেকটি বড় দলের সঙ্গে সেমিফাইনাল খেলতে মুখিয়ে আছি। নির্দিষ্ট কোনো খেলোয়াড় নয়, দলের সঙ্গে খেলতে চাই। অবশ্য লিও (মেসি) ওদের সেরা খেলোয়াড়। জানি, ওকে থামাতে আমাদের বেগ পেতে হবে। তবে আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। (কাল) নিজেদের সর্বস্ব নিংড়ে দিতে চলেছি।’