মেসির সেই গোলটাই চ্যাম্পিয়নস লিগের মৌসুম সেরা

আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসিছবি: রয়টার্স

লিওনেল মেসির চ্যাম্পিয়নস লিগ অধ্যায় অনানুষ্ঠানিকভাবে শেষই ধরে নেওয়া যায়। দলবদলে এবার পিএসজি ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যাচ্ছেন মেসি। যার ফলে ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের আসরে আর অংশ নেওয়া হচ্ছে না মেসির। ভবিষ্যতে দল বদলে ইউরোপে ফিরে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার সম্ভাবনাও নেই বললে চলে। বয়স ও পরিস্থিতিই এখানে মূলত বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তবে যাওয়ার বেলায়ও আরেকটি স্বীকৃতি নিজের করে নিয়েছেন মেসি। গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেরা গোল নির্বাচিত হয়েছে তাঁরটাই। সেই গোলে সহায়তা করেছিলেন নেইমার।

চ্যাম্পিয়নস লিগে মেসির সর্বশেষ কয়েক মৌসুম খুব একটা ভালো কাটেনি। ২০১৪-১৫ মৌসুমের পর আর কোনো চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা হয়নি আর্জেন্টাইন মহাতারকার। ২০২১ সালে বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যাওয়ার পরও ভাগ্য বদলায়নি। প্যারিসের ক্লাবটির হয়ে দুই মৌসুম খেলেও ফিরতে হয়েছে ব্যর্থতা নিয়ে। গত মৌসুমে পিএসজির দৌড় থেমেছে দ্বিতীয় রাউন্ডে; বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে।

আরও পড়ুন

তবে এমন ব্যর্থতার পরও মৌসুমের সেরা গোলের স্বীকৃতিটা পেলেন মেসিই। বেনফিকার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ফিরতি লেগের ম্যাচে ২২ মিনিটে করা মেসির গোলটিকেই মৌসুমের সেরা গোল নির্বাচন করেছেন সমর্থকেরা। দ্বিতীয় সেরা গোলের স্বীকৃতি পেয়েছে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রেরটা। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে গোলটি করেছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ উইঙ্গার। আর সাবেক ক্লাব বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে অ্যাক্রোবেটিক ভঙ্গিতে করা আর্লিং হলান্ডের গোলটি পেয়েছে তৃতীয় সেরার স্বীকৃতি। ফুটবল বিশ্লেষকেরা অবশ্য হলান্ডের গোলটিকেই নিজেদের সেরা নির্বাচিত করেছেন।  

গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বরের সেই ম্যাচে প্রথমার্ধের ২২ মিনিটে আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টায় ছিল বেনফিকা। তবে পর্তুগিজ ক্লাবটির এক আগুয়ান খেলোয়াড়ের কাছ থেকে বল নিজের দখলে নেন সের্হিও রামোস। সাবেক স্প্যানিশ অধিনায়ক বল বাড়ান আশরাফ হাকিমিকে। বেনফিকার দুই খেলোয়াড়ের ফাঁদ এড়িয়ে হাকিমি বল বাড়ান ভিতিনিয়াকে। পর্তুগিজ মিডফিল্ডার আলতো করে বল বাড়ান সামনে থাকা মেসিকে। বল পেয়ে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক একটু এগিয়ে গিয়ে পাস বাড়ান বেনফিকা ডিফেন্সের কাছাকাছি থাকা কিলিয়ান এমবাপ্পেকে। ফরাসি তারকার পায়ে বল পৌঁছানোর আগেই গতি বাড়ান মেসি।

আরও পড়ুন

এরপর এমবাপ্পে দেন তাঁর পাশে থাকা নেইমারকে। বল যখন নেইমারের পায়ে, অরক্ষিত মেসিও তখন ডি-বক্সের কাছাকাছি জায়গায় চলে আসেন। সঙ্গে সঙ্গে নেইমার বল বাড়ান মেসিকে। দুই ডিফেন্ডারের ফাঁদ এড়িয়ে দুর্দান্ত এক বাঁকানো শটে বাঁ পাশের ওপরের কিনার দিয়ে জালে জড়ান মেসি। বলা যায়, ‘এমএনএম’ ত্রিফলার সমন্বয়ে দুর্দান্ত এক গোল পেয়েছিল পিএসজি। যদিও সেই ম্যাচে শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি পিএসজি। প্রথমার্ধের ৪১ মিনিটে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে ড্র করে বেনফিকা।