ডি ইয়ংকে বার্সার বিরুদ্ধে আদালতে যেতে বললেন সাবেক ইউনাইটেড তারকা
গ্যারি নেভিলের কথা শুনে বার্সেলোনার সমর্থকদের মনে হতেই পারে, ‘যার বিয়ে তার খবর নেই, পাড়াপড়শির ঘুম নেই!’
নেভিল কাজটাই যে করেছেন ও রকম। বার্সেলোনার আর্থিক দুরবস্থা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। তবে এই দুরবস্থার মধ্যেও বার্সেলোনার একের পর এক খেলোয়াড় কেনা দেখে অনেকেরই চোখ কপালে উঠেছে। রবার্ট লেভানডফস্কি থেকে শুরু করে রাফিনিয়া, আন্দ্রেয়া ক্রিস্টেনসেন, ফ্র্যাঙ্ক কেসি—অনেক নতুন তারকাকেই দলে টেনেছে বার্সেলোনা। সেভিয়ার রক্ষণভাগের খেলোয়াড় জুলস কুন্দের পেছনেও খরচ করার ইচ্ছা তাদের। একদিকে নতুন খেলোয়াড় যেমন আসছেন, পুরোনো বেশ কিছু খেলোয়াড়কেও বিক্রি করার চেষ্টায় আছে কাতালানরা। ডাচ্ মিডফিল্ডার ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং তেমনই একজন।
নতুন জাভি হিসেবে এককালে পরিচিতি পাওয়া এই মিডফিল্ডারকে খোদ জাভিই দলে রাখতে চাইছেন না এখন। কুশলী এই মিডফিল্ডারকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী গ্যারি নেভিলের সাবেক ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
কিন্তু ডি ইয়ং বার্সেলোনা ছাড়তে চাইলে তো! বার্সেলোনার কাছ থেকে বেতন বাবদ এখনো ১ কোটি ৭০ লাখ ইউরোর মতো পাওয়া এই মিডফিল্ডারের। বকেয়া বেতন না বুঝে নিয়ে ক্লাব ছাড়ার ইচ্ছা নেই তাঁর। আর ভবিষ্যৎ গন্তব্য হিসেবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকেও তেমন পছন্দ হচ্ছে না ডি ইয়ংয়ের। এরিক টেন হাগের অধীন নতুন রূপে আসার অপেক্ষায় থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নতুন প্রকল্পে ডি ইয়ংকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে ভাবছে দলটা। এমন অবস্থায় ডি ইয়ং ইউনাইটেডে না গেলে ব্যাপারটা ক্লাবের কোচ ও সমর্থকদের জন্য বেশ চিন্তারই বটে।
গ্যারি নেভিলের সেটা ভালো লাগবে কেন? ডি ইয়ংয়ের বার্সেলোনা না ছাড়া নিয়ে তিনিও বিরক্ত। তবে ডি ইয়ং নয়, নেভিল বিরক্তিটা ঝেড়েছেন বার্সেলোনার ওপরেই। যে ক্লাব নিজের খেলোয়াড়দের বেতনই ঠিকভাবে দিতে পারছে না, বকেয়া রাখছে, সে ক্লাব নতুন খেলোয়াড় কীভাবে কেনে, সেটা নিয়েই টুইটারে প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক এই রাইটব্যাক।
তাঁর মতে, ডি ইয়ংয়ের উচিত বার্সেলোনার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া, ‘ডি ইয়ংয়ের উচিত বার্সার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া আর সব খেলোয়াড়ের উচিত ওকে সমর্থন দেওয়া। একটা ক্লাব নতুন খেলোয়াড়দের পেছনে আকাশছোঁয়া খরচ করছে, কিন্তু যারা এখনো ক্লাবের হয়ে চুক্তিবদ্ধ, তাঁদের বেতন দিচ্ছে না। এটা অনৈতিক ও চুক্তিভঙ্গের শামিল। ফিফপ্রোর উচিত এ নিয়ে তদন্ত করা এবং এমন কাজ যেন আর না হয়, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া।’