কিলিয়ান এমবাপ্পে কি পিএসজি ছাড়ছেন? প্যারিসের এই ক্লাবের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক যদি ছেদই হয়, তাহলে কোন ক্লাবে নাম লেখাবেন ফরাসি তারকা? এখনো কোনো কিছুই নিশ্চিত করে বলার সুযোগ নেই। তবে এমবাপ্পের দলবদলের খবর এলেই রিয়াল মাদ্রিদের নামটা শোনা যায়।
তবে রিয়াল মাদ্রিদ এমবাপ্পেকে এই মৌসুমে কেনার দৌড়ে নামবে কি না, সেটাও এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। অন্তত রিয়ালের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। তবে লা লিগার সভাপতি হাভিয়ের তেবাস মনে করেন, এই মৌসুমেই এমবাপ্পেকে ছেড়ে দেবে পিএসজি। আর এমবাপ্পে পিএসজি ছাড়লে তাঁকে কেনার সামর্থ্য আছে রিয়ালের।
পিএসজির সঙ্গে এমবাপ্পের চুক্তির মেয়াদ আছে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। সে হিসেবে এই মৌসুমে এমবাপ্পের ক্লাব ছাড়ার আলোচনা ওঠার কথা নয়। এই আলোচনাটা উঠেছে এমবাপ্পের পিএসজিকে পাঠানো এক চিঠির কারণে। মূলত পিএসজির সঙ্গে তাঁর চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, এমবাপ্পে চাইলে চুক্তিটা এক বছরের জন্য বাড়াতে পারবেন। তবে সেটি করতে হবে এ বছরের জুলাইয়ের মধ্যেই। কিন্তু এমবাপ্পে আর চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে চান না বলে চিঠি দিয়েছেন প্যারিসের ক্লাবটিকে।
ফরাসি স্ট্রাইকারের চাওয়া, মেয়াদ শেষ করে মুক্ত খেলোয়াড় (ফ্রি এজেন্ট) হিসেবে ক্লাব ছাড়বেন। এই কথা জানিয়েই ক্লাবকে চিঠি দিয়েছিলেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। এর পর থেকেই এমবাপ্পেকে এ মৌসুমেই পিএসজি ছেড়ে দিতে পারে বলে গুঞ্জন ওঠে।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম লেকিপ জানিয়েছিল, রিলিজ ক্লজ হিসেবে ১৫ কোটি ইউরো, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১ হাজার ৭৫৩ কোটি ৬২ লাখ টাকার বেশি, এটা পেলে এই মৌসুমেই এমবাপ্পেকে ছাড়তে পারে পিএসজি।
লা লিগা সভাপতি তেবাসও মনে করছেন, চড়া দাম পেতেই এই মৌসুমে এমবাপ্পেকে ছাড়তে পারে প্যারিসের ক্লাবটি, ‘আশা করছি, এমবাপ্পে লা লিগায় আসবে, একটা পরিবেশও আছে এমন। আমাকে ভক্ত হিসেবে যদি জিজ্ঞাসা করেন, আমার মনে হয় এমবাপ্পে এ মৌসুমেই পিএসজি ছাড়বে। এমবাপ্পে পিএসজি ছাড়লে তাঁকে কেনার সামর্থ্য আছে রিয়ালের।’
এ মৌসুমে এমবাপ্পেকে বিক্রি করতে পারলে আর্থিকভাবে লাভবান হবে পিএসজি। সে কারণেই আগামী মৌসুমে এমবাপ্পেকে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে ছাড়তে নারাজ প্যারিসের ক্লাবটি। লা লিগা সভাপতি তেবাসও ঠিক এই কারণগুলোর কথাই বলেছেন, ‘উয়েফার আর্থিক নীতি আছে, এই মুহূর্তে ফরাসি ক্লাবটির অনেক বেতন দিতে হয়। তাদের বেতনসীমা কমাতে হবে। এমবাপ্পেকে বিক্রি করে তারা দুটি জিনিস পাবে—ট্রান্সফার থেকে ভালো একটা আয় হবে, সঙ্গে বেতনসীমাও কমবে।’