শেখ জামাল ক্লাবের খেলোয়াড় নিবন্ধনে ফিফার নিষেধাজ্ঞা
বেতন-ভাতা নিয়ে বিদেশি খেলোয়াড়ের অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশের ক্লাবগুলো অনেকবারই শাস্তি পেয়েছে। এবার শাস্তি পেল প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম শীর্ষ দল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।
উজবেকিস্তানের ফুটবলার ওতাবেক ভালিজোনভের অভিযোগের ভিত্তিতে আপাতত তারা বিদেশি খেলোয়াড় নিবন্ধন করাতে পারবে না। গত ১১ ডিসেম্বর শেখ জামাল ক্লাবকে চিঠি পাঠিয়ে নিষেধাজ্ঞার কথা জানায় ফিফা।
ফিফা চিঠিতে বলেছে, বিষয়টা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দেশীয় ফুটবলে কোনো বিদেশি নিবন্ধন করাতে পারবে না শেখ জামাল। ফিফা ক্লাবটিকে ৪৫ দিন সময় দিয়েছে নিষ্পত্তির জন্য। এর মধ্যে নিষ্পত্তি না হলে দেশি ও বিদেশি দুই ধরনের খেলোয়াড় নিবন্ধনের ওপরই নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। তবে সেটা কার্যকর হবে অভিযোগকারী যদি আবার আবেদন করেন। আবেদন না করলে আগের শাস্তিই সাধারণত বহাল থাকে। নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে অবশ্য এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ফিফার কাছে পাঠিয়েছে শেখ জামাল।
ওতাবেক গত মৌসুমে ছিলেন শেখ জামালে। তাঁর বেতন ছিল সাড়ে ৮ হাজার ডলার। এ মৌসুমে ব্রাদার্স ইউনিয়নে খেলা ওতাবেক ফিফার কাছে অভিযোগ করেন, শেখ জামালের কাছে তিনি ২ মাসের বেতন হিসেবে ১৭ হাজার ডলার পাবেন। কিন্তু শেখ জামালের দাবি, ওতাবেক কোনো বেতনই পাবেন না। ওতাবেক এক মাসের অগ্রিম চেয়েছিলেন, সেটা ক্লাব দেয়নি, কারণ তিনি আর ক্লাবে ফিরে আসেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শেখ জামালের এক কর্মকর্তা ঘটনার পূর্বাপর ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে, ‘ওতাবেক গত বছরের জুন মাসের শুরুর দিকে মায়ের অসুস্থতার কারণে ছুটি নিয়েছিলেন। তখন লিগের তিনটি ম্যাচ বাকি ছিল। মানবিক কারণে আমরা তাঁকে ছুটি দিই। তখন তিনি এক মাসের বেতন অগ্রিম চেয়েছিলেন। তার আগপর্যন্ত তাঁকে মে মাস পর্যন্ত পুরো বেতন পরিশোধ করে দিই। কিন্তু তিনি ১০ দিনে ছুটি শেষে ক্লাবে ফেরত আসেননি, আমরা তাঁকে ফেরত আনার চেষ্টা করেছিলাম নানাভাবে। তিনি আর না ফেরায় আমরা তাঁকে কেন টাকা দেব?’
শেখ জামাল তাই মনে করছে, ফিফার সিদ্ধান্তটা একপেশে। নিষেধাজ্ঞার আগে ক্লাব কোনো কারণ দর্শানো নোটিশ পায়নি বলে জানিয়েছেন ক্লাবটির এক কর্মকর্তা। বিষয়টা নিয়ে তারা এখন যোগাযোগ করেছে ফিফায়। সমস্যার সমাধানে চেষ্টা চলছে।