আর্সেনালকে কাছে আসার গল্প লেখার সুযোগ দিল লিভারপুল
অ্যাস্টন ভিলা ২ : ২ লিভারপুল
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে প্রতিটি ম্যাচ এখন মহাগুরুত্বপূর্ণ। তেমনই এক ম্যাচে বুধবার রাতে অ্যাস্টন ভিলার মুখোমুখি হয়েছিল শীর্ষে থাকা লিভারপুল। কিন্তু ভিলা পার্কের ফলে লিভারপুল-সমর্থকদের খুশি হওয়ার কোনো কারণ নেই। প্রতিপক্ষের মাঠে লিভারপুল ড্র করেছে ২-২ গোলে। এই ড্রয়ে আর্সেনালকে আরেকটু কাছে আসার সুযোগও করে দিল অ্যানফিল্ডের ক্লাবটি। সেই সঙ্গে লিগ রেসে নিরঙ্কুশ আধিপত্যও কিছুটা হারিয়ে ফেলল আর্নে স্লটের দল।
ভিলার সঙ্গে ড্রয়ের পর ২৬ ম্যাচে লিভারপুলের পয়েন্ট এখন ৬১। এক ম্যাচ কম খেলে আর্সেনালের পয়েন্ট ৫৩। এখন ৮ পয়েন্টে পিছিয়ে থাকলেও শনিবার ওয়েস্ট হামের বিপেক্ষ আর্সেনাল জিতলে ব্যবধান কমে আসবে ৫ পয়েন্টে।
অ্যাস্টন ভিলার মাঠে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে দুই দল। লিভারপুলের সঙ্গে এ সময় পাল্লা দিয়ে খেলেছে অ্যাস্টন ভিলা। এমনকি শুরুতে গোলও পেয়ে যায় তারা; যদিও সেই গোল বাতিল হয় অফসাইডের কারণে। এরপর দুই দলই চেষ্টা করে গোল করে এগিয়ে যেতে। তবে ম্যাচের ২৯ মিনিটে লিভারপুলকে একরকম গোল উপহার দিয়ে বসে অ্যাস্টন ভিলা।
বক্সের কাছাকাছি জায়গা থেকে অ্যাস্টন ভিলার রাইটব্যাক আন্দ্রেস গার্সিয়া ব্যাক পাস দিতে গিয়ে বল তুলে দেন দিয়োগো জোতাকে। সুবিধাজনক জায়গায় বল পেয়েও জোতা নিজে শট নেননি, বাড়িয়ে দেন সালাহর উদ্দেশে। সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি সালাহ। দারুণ ফিনিশিংয়ে এগিয়ে দেন লিভারপুলকে। এটি চলতি মৌসুমে লিগে সালাহর ২৪তম এবং সব মিলিয়ে ২৯তম গোল।
এই লিড অবশ্য দ্রুতই হারিয়ে ফেলে লিভারপুল। অ্যাস্টন ভিলাকে গোল করে সমতায় ফেরান ইউরি টিলেমানস। এরপর এগিয়ে যাওয়ার সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন জোতা। তবে যোগ করা সময়ে লিভারপুলের হতাশা বাড়িয়ে লিড নেয় অ্যাস্টন ভিলা। দারুণ এক আক্রমণ থেকে দলটির হয়ে গোল করেন ওলি ওয়াটকিনস। এই গোলে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় লিভারপুল।
বিরতির পর দুই দলই চেষ্টা করে গোল আদায়ের। আক্রমণ, প্রতি-আক্রমণে লড়াই জমছিলও দারুণ। তবে এর মধ্যে ম্যাচের ৬১ মিনিটে স্বাগতিকদের হতাশায় ভাসিয়ে লিভারপুলকে সমতায় ফেরান ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার–আরনল্ড। এই গোলে তাঁকে সহায়তা করেন সালাহ।
সমতা ফেরার পর দুই পক্ষই ম্যাচে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করেছিল। তবে অ্যাস্টন ভিলার চেয়ে অপেক্ষাকৃত সহজ সুযোগ পেয়েছে লিভারপুলই। কিন্তু সেই সুযোগগুলো চেষ্টা করেও কাজে লাগাতে পারেনি তারা। শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় লিভারপুলকে।