ফাইনালে হেরে যাওয়া এমবাপ্পে অবশেষে মুখ খুললেন
কিলিয়ান এমবাপ্পে কাতারে পা রেখেছিলেন তারা থেকে মহাতারা হতে। সেটা তিনি হয়েছেন, তা বলাই যায়। ৮ গোল করে কাতার বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার জিতেছেন ফরাসি স্ট্রাইকার। এরপরও তিনি ‘ট্র্যাজিক হিরো’। বিশ্বকাপের ফাইনালে দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে হ্যাটট্রিক করার পরও যে বিশ্বকাপ জেতা হয়নি এমবাপ্পের।
আর্জেন্টিনার কাছে ফাইনালে টাইব্রেকারে হেরে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে ভেসে যাওয়া হয়নি ফ্রান্সের। ফাইনালের পর সংবাদমাধ্যম খুঁজে ফিরেছে এমবাপ্পেকে। মহানাটকীয় এক ফাইনালের পর ট্র্যাজিক হিরো হয়ে থাকা সময়ের অন্যতম সেরা তারকার অনুভূতি জানার চেষ্টা করেছে সবাই।
কিন্তু এমবাপ্পে নিজেকে একটু আড়াল করেই রেখেছেন। হয়তো তিনি কষ্টটা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছেন। ফাইনালের পর পুরস্কার মঞ্চে সেরা খেলোয়াড়ের ট্রফি জেতা লিওনেল মেসি, সেরা গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ আর সেরা উদীয়মান খেলোয়াড় এনজো ফার্নান্দেজের সঙ্গে ছবি তুলেছেন, নিয়েছে রুপার পদক। এরপর আর সংবাদমাধ্যমের সামনে আসেননি এমবাপ্পে।
মহানাটকীয় ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে মেসির পেনাল্টি গোলে ২৩ মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে ফ্রান্স। ৩৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আনহেল দি মারিয়া। এরপর অনেকেই ভেবেছিল একপেশে ফাইনাল জিতে ট্রফি হাতে নেবে আর্জেন্টিনা। ৮০ মিনিট পর্যন্ত যে ২–০ গোলে এগিয়ে ছিল তারা।
কিন্তু এমবাপ্পের ৯৭ সেকেন্ডের ঝড়ে ম্যাচে ফেরে ফ্রান্স। ৮০ ও ৮১ মিনিটে জোড়া গোল করে তিনি ম্যাচ নিয়ে যান অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও আবার মেসির ১০৮ মিনিটের গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু আবার এগিয়ে আসেন এমবাপ্পে। ১১৮ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে ম্যাচ নিয়ে যান তিনি টাইব্রেকারে। সেখানে ৪–২ ব্যবধানে হেরে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন ভাঙে ফ্রান্সের।
এভাবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে বারবার ম্যাচে ফিরিয়েও কিছুই না পাওয়ার হতাশা নিয়ে ফিরতে হয়েছে। এই কষ্ট হজম করতে একটু সময় তো লাগবেই। তবে ফাইনাল শেষের প্রায় এক দিন পর নীরবতা ভেঙেছেন এমবাপ্পে, নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দিয়ে। সেখানেও বেশি কিছু বলেননি এমবাপ্পে। শুধু লিখেছেন, ‘আমরা ফিরে আসব।’