বিদেশে যেকোনো ম্যাচ খেলার পরপরই কোচের একটি ভিডিও বার্তা পাঠায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। সেখানে ম্যাচ নিয়ে কোচ তাঁর মতামত রাখেন। গতকাল রাতে পাঠানো ভিডিওতে কোচ হাভিয়ের কাবরেরা কী বলেছেন?
চলুন শোনা যাক, ‘এখানে আমরা এসেছিলাম অনেক প্রত্যাশা নিয়ে। কিন্তু সেটি পূরণ করা ছিল কঠিন। এটা হতাশাজনক। অনেক বাংলাদেশি সমর্থক এসেছিলেন। কিন্তু আমরা ভুল করেছি। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই পেনাল্টি হজম করে বসি।’
জাতীয় ফুটবল দলের এই কোচ তারপর যোগ করেন, ‘তারপরও প্রথমার্ধে আমরা ভালোই ঘুরে দাঁড়িয়েছি। আক্রমণে গিয়েছি। কিন্তু প্রতি-আক্রমণে ওরা আমাদের খুন করেছে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আবার গোল খেয়েছি। শেষ দিকে ওদের সঙ্গে লড়াই করা অনেক কঠিন হয়ে যায়। শেষটায় এসে আবার বলব, খেলোয়াড়দের উদ্বুদ্ধ করতে হবে।’
হাভিয়ের কাবরেরা তাঁর খেলোয়াড়দের উদ্বুদ্ধ করুন। তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু গতকাল রাতে লেবাননের সঙ্গে ৪-০ গোলে উড়ে যাওয়ার পর উদ্বুদ্ধ করার আর কি বাকি আছে? জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমে দোহার খলিফা স্টেডিয়ামে (যেখানে ২০২২ বিশ্বকাপের ম্যাচ হয়েছে) স্রেফ উড়ে গেছে বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে কাবরেরা তোতাপাখির মতো সেই ভুলের গল্পেরই বয়ান দিয়ে গেছেন বাফুফের পাঠানো ভিডিও বার্তায়।
ভুল হতেই পারে। বাংলাদেশের ফুটবলাররা ভুল করবেন, প্রতিপক্ষের কাছে গোল হজম করবেন, সেটাতেও আশ্চর্যের কিছু নেই। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, এই যুগেও লেবাননের কাছে চার-চারটি গোলের ভারী বোঝা নিয়ে মাঠ ছাড়া। বাংলাদেশ হঠাৎ হঠাৎ একটু হয়তো ঝলক দেখায়, তা-ও সেটা দেশের মাটিতে। সবাই উল্লসিত হয়। এ নিয়ে টক শো বসে যায়। ফুটবলারদের প্রশংসা করেন সবাই। কিন্তু কোনো ধারাবাহিকতা কি তাঁদের আছে? ছিটেফোঁটাও নেই।
বাংলাদেশের চেয়ে লেবানন ৬৪ ধাপ এগিয়ে। কিন্তু এঁদের সঙ্গেই কিছুদিন আগে ঘরের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করেছে বাংলাদেশ। গত বছর ভারতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ২-০ গোলে হেরেছে। সেদিন অনেক ঘাম ঝরাতে হয়েছে লেবানিজদের। কিন্তু গতকাল কিছুই করতে হয়নি। বল নিয়ে বাংলাদেশের রক্ষণে ঢুকে গোল করেছে।
বাংলাদেশের রক্ষণের বলিহারি! কে কোথায় ছিলেন, কার কী দায়িত্ব ছিল, বোঝা মুশকিল! হ্যাঁ, লেবাননের ফুটবলাররা দ্রুতগতির, লম্বা, দক্ষতায়ও ভালো। তাই বলে গোলের রাস্তাগুলো তাঁরা এত সহজে বের করে ফেলবেন! বাংলাদেশ সেই সুযোগ করে দিয়েছে। ছন্নছাড়া রক্ষণকে দেখে মনে হলো তপুরা বুঝি বাঘের মুখে পড়েছেন। লেবাননের ৪ গোলের ৩টিই করেছেন দলটির সবচেয়ে পুরোনো মুখ হাসান মানতুক। হ্যাটট্রিকে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছেন আনন্দচিত্তে।
বাংলাদেশের গোল হজমগুলো ভীষণ দৃষ্টিকটু। দ্বিতীয় গোলটার সময় তপু বর্মণের সামনে থেকে বল নিয়ে গোল করেছে। শাকিলও ছিলেন সেখানে। এমন ম্যাচও এ ধরনের ভুল করলের মাশুল দিতেই হবে। সমস্যা হলো, ডিফেন্ডাররা আজ ম্যাচ খেলার পর কাল জানেন না একাদশে থাকবেন কি না। কোচ রক্ষণে এত বদল করেন যে ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাসে টলতে বাধ্য। রাইট ব্যাক বিশ্বনাথকে ঠিকই পরে নামিয়েছেন কোচ। কেন তাহলে প্রথমে নামানো হলো না?
লেবাননের সঙ্গেও কোচ পাঁচ ডিফেন্ডার খেলান। কিন্তু তিন সেন্টার ব্যাকে অনেকেই একটু অবাক। তার ওপর নামিয়েছেন নতুন মুখ শাকিলকে। শাকিল শুরুই করেন বড় ভুল দিয়ে। বক্সের ভেতর পেছন থেকে ট্যাকল করেন। যেটি না করলেও চলত। এমন না যে ওটা নিশ্চিত গোল ছিল। হঠাৎ এত বড় একটা ম্যাচে এমন খেলোয়াড় নামালে এমন ভুল হবেই। এত দিনেও আসলে কাবরেরা সেন্টার ব্যাকদের তৈরি করতে পারেননি। একেক ম্যাচে একেক রক্ষণ নিয়ে নামলে দল ভেঙে পড়বেই।
বিশ্ব ফুটবলে দেখা যায়, প্রায় প্রতি দলেই দুজন সেন্টার ব্যাক নির্দিষ্টই থাকেন। এই পজিশনে এত ওলট-পালট করা ঝুঁকিপূর্ণ। ৬ জুন অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে সেন্টার ব্যাকে কোচ তারিক কাজী, তপু ও মিঠুকে খেলান। গতকালের ম্যাচে মিঠুকে বাদ দিয়ে আনেন শাকিলকে। এই বিশ্বকাপ বাছাইয়ে রাইট ব্যাক বিশ্বনাথকেও সেন্টার ব্যাকে খেলতে দেখা গেছে। এত বদল দলের জন্য ক্ষতিকরও অনেক সময়। সেন্টার ব্যাক গুরুত্বপূর্ণ পজিশন, অথচ বিশ্বনাথ থাকতে নামানো হলো শাকিলকে।
নিজের আড়াই বছরের দায়িত্বকালে কতজন সেন্টারব্যাক , কতজন লেফট ব্যাক-রাইট ব্যাকে কোচ নানা জনকে দাঁড় করিয়েছেন, সেই হিসাব কষা কঠিন। একইভাবে মাঝমাঠ, আক্রমণে কোনো রকম খেলোয়াড়কে সুযোগ দেন। বলতে খারাপ শোনাতে পারে, বাংলাদেশের জার্সি গায়ে তোলার সামর্থ্য অর্জনের আগেই অনেকের গায়েই তা উঠে যাচ্ছে। তাঁদের নিয়ে ঘরোয়া ফুটবলে টানাটানি চলে। ২০ লাখ টাকার খেলোয়াড় ৮০ লাখ হাঁকান। এই হলো দেশের ফুটবল।
ফুটবলাররা ৮০ লাখ কেন, ১ কোটি ৮০ লাখ পান, তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু দেশে জার্সিতে আরেকটু ভালো তো খেলবেন! সেটাই হচ্ছে না। কোচ লিগের খেলা নিয়মিত দেখেছেন। মাঠে গেছেন। যেদিন যাঁকে একটু ভালো লেগেছে, জাতীয় দলে তাঁকে ডেকেছেন। না খেলিয়ে বাদও দিয়েছেন। মুড়ি-মুড়কির মতো জাতীয় দলের জার্সি বিলিয়েছেন। তারপরও মাঝের সময়ে কাবরেরা প্রশংসিতও হয়েছেন। দলটার মধ্যে একটা লড়াকু মানসিকতা তিনি এনেছিলেন—কথাটা মিথ্যা নয়। ১৪ বছর পর গত বছর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিতে খেলা, ঘরের মাঠে আফগানদের সঙ্গে ড্র, মালদ্বীপকে হারিয়ে ২০২৬-এর বাছাইয়ে ঢোকা—সবই ঠিক ছিল।
কিন্তু বিশ্বকাপ বাছাইয়ে হলো ভরাডুবি। ৬ ম্যাচে কোনো জয় নেই। জয় অনেক দলই পায়নি। কিন্তু তাদের পারফরম্যান্স কি যাচ্ছেতাই হয়েছে? ফিলিস্তিনের মতো দলের সঙ্গে অ্যাওয়েতে ৫-০ গোলে উড়ে যাওয়া সবাইকে কষ্ট দিয়েছে। বাকি রইল লেবানন। যাদের সঙ্গে ঢাকায় ১-১ হওয়ার পর গত রাতে দোহায় ৪-০ হওয়াটা ভীষণ হতাশার।
এই ম্যাচ দিয়েই ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইয়ের সাঙ্গ হলো বাংলাদেশের। কিন্তু অর্জনের খাতায় ৫ হার আর ১টি মাত্র ড্র। ৬ ম্যাচে গোল মাত্র ১টি। চার দলের গ্রুপের চতুর্থ।
গোলটা করবে কে? দলে কোনো প্রথাগত স্ট্রাইকার নেই। দেশেই তো স্ট্রাইকার নেই, কোচ তো আকাশ থেকে নামিয়ে এনে কাউকে স্ট্রাইকারে খেলিয়ে দেবেন না! এটা আবতেই অদ্ভুত লাগে যে একটা জাতীয় দলে কোনো নাম্বার নাইন নেই। যা-ও একজন ছিল, সেই সুমন রেজাকেও ছেঁটে ফেলছেন কোচ। কারণ, পারফরম্যান্স নেই।
আমিনুর রহমান সজীব ঘরোয়া লিগে মুক্তিযোদ্ধার হয়ে গোটা চারেক গোল করে জাতীয় দলে এসেছিলেন। কিংসে জায়গা পেয়েছেন। কিন্তু সারা বছর প্রায় বসেই থাকতে হলো। স্ট্রাইকার ছাড়া খেলতে হচ্ছে এখন জাতীয় দলকে। ইগোর সমস্যায় নাবিব নেওয়াজ জীবনকে দলেই বাতিলের খাতায় খেলেছেন কোচ। অবশ্য প্রথাগত স্ট্রাইকার নিয়ে নামলেই-বা কী! এমন মন করেন তাঁরা।
শেখ মোরছালিনে মধ্যে ঝলক দেখা গিয়েছিল। কিন্তু তাঁর ধারাবাহিকতা নেই। ফলে আক্রমণে চাপ গিয়ে পড়ছে রাকিব হোসেনের ওপর। বাংলাদেশের একমাত্র খেলোয়াড় যিনি ক্ষমতা রাখেন প্রতিপক্ষের দু-তিনজন খেলোয়াড়কে ঘোল খাইয়ে বারে একটা শট নিতে। রাকিব কাল চেষ্টা করেছিলেন একাই। পারলেন না।
দ্রুতগতির মাঠও বাংলাদেশের জন্য একটা বড় সমস্যা। প্রতিপক্ষের সঙ্গে তাল মেলাতে পারে না। কিন্তু দেশের মাঠ অতিরিক্ত পানি দিয়ে ভিজিয়ে কিছুটা কাদাময় করে খেলতে পারলে তপুদের জন্য ভালো। এটাই বরাবার দেখা গেছে। অস্ট্রেলিয়া, লেবানন, ফিলিস্তিন ম্যাচে তাই দেখা গেছে। কিন্তু মুশকিল হলো, ঘরের সুবিধা বাইরে গিয়ে মিলবে না।
মনে পড়ছে ২০০৮ সালে দিল্লিতে নেহরু কাপে বাংলাদেশ কোনো একটা দলের সঙ্গে বাজেভাবে হেরেছে। হারের দায় মাঠের ওপরও চাপান বাংলাদেশ দলের স্ট্রাইকার আলফাজ আহমদ। এই প্রতিবেদককে সেদিন দিল্লির আম্বদকর স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘এত ভালো মাঠে তো আমরা খেলতে অভ্যস্ত নই। এটাই সমস্যা।’ কথাটা নিয়ে হাসাহাসি করতে পারেন। কিন্তু ভুল কিছু বলেননি আলফাজ। দেশে খানাখন্দে ভরা মাঠে খেলে বিদেশে মসৃণ মাঠে প্রতিপক্ষ যত দ্রুত বল চালাচালি করে, সেটা থামাতে বিপদে পড়েন বাংলাদেশের ছেলেরা। দোহা খলিফা স্টেডিয়ামেও তা-ই হলো।
এত কিছুর পরও লেবানন ম্যাচে বাংলাদেশের বল পজেশন ৫১ শতাংশ। লেবানন ৪৯। কিন্তু বাংলাদেশ গোলকিপার মিতুল মারমাকে সেভ করতে হয়েছে ৪টি, লেবানন কিপারকে ১টি। পোস্টে বাংলাদেশ ৭টি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে ২টি, লেবানন ১০টির মধ্যেই ৮টিই!
ট্যাকলে দুই দলই সমান ৪৭। বাংলাদেশ ৯টি ফাউল করেছে। লেবানন ৪টি। এগুলো নিছকই কিছু অঙ্ক। কিন্তু আসল কথা হলো, বাংলাদেশ বাজে খেলে দাঁড়াতেই পারেনি।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এর আগেও বাংলাদেশ জয়হীন ছিল। ২০২২ বিশ্বকাপের (২০২১ সালে) প্রথম রাউন্ডে জয়হীন থেকে চার দলে চতুর্থ হয়েছে। ২০১৮ (২০১৫) সালেও পাঁচ দলে পঞ্চম। জয় নেই। ২০২২ বিশ্বকাপের প্লে-অফে লাওসকে হারিয়ে গ্রুপ পর্বে গিয়ে কোনো জয় নেই। কিন্তু একটা সময় তো বিশ্বকাপ বাছাইয়ে জয় এসেছে।
১৯৮৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্রথম খেলে বাংলাদেশ, চার দলের গ্রুপের চতুর্থ হলেও ঘরের মাঠে ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ২-১ ও থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ১-০ গোলে জয় আছে। ১৯৯০ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে (১৯৮৯) চার দলে বাংলাদেশ তৃতীয়। বাংলাদেশ ঘরের মাঠে থাইল্যান্ডকে হারায় ৩-১ গোলে। ১৯৯৪ বিশ্বকাপে (১৯৯৩) পাঁচ দলে চতুর্থ। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে দুটি ম্যাচেই আসে জয়। অ্যাওয়ে ১-০, দেশে ৩-০।
১৯৯৮ বিশ্বকাপের বাছাইয়েও জয় আছে বাংলাদেশের। ১৯৯৭ সালে চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে তাদেরই মাঠে আসে ২-১ গোলে জয়। প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশ চার দলে চতুর্থ। ২০০২ বিশ্বকাপ বাছাই কাপটা কেটেছে জয়হীন। ২০০৬ বিশ্বকাপের প্লে-অফে তাজিকিস্তানের কাছে দুটি ম্যাচে ০-২ গোলে হেরে বিদায়। ২০১০ বিশ্বকাপেও একই গল্প। এবার তাজিকিস্তানের কাছে ১-১ ও ৫-০ গোলে হেরে বিদায়। ২০১৪ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্লে-অফে পাকিস্তানকে হারালেও দ্বিতীয় রাউন্ডে লেবাননের কাছে ৪-০ ব্যবধানে হেরে ও ২-০ গোলে জিতে বিদায়।
লেবাননের কাছে এই বিশ্বকাপ বাছাইয়েই ২০১১ সালে ৪ গোল খেয়ে এসে ঢাকায় ২-০ গোলে জিতেছে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচের অন্যতম মুখ ও একটি গোল করা স্ট্রাইকার জাহিদ হাসান এমিলি দুঃখ করে বলছিলেন, ‘জানেন, লেবাননে ৪ গোল এসে আমরা লজ্জায় লাল। বাদল রায় ছিলেন জাতীয় দল কমাটির প্রধান। তিনি রেগেমেগে বাংলাদেশ দলকে হোটেলে পর্যন্ত তোলেননি। বাফুফে ভবনে তোলা হয়। ফিরতি ম্যাচে আমরা ২ গোলে জিতি। দেশের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিই আসল।’
অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, কাবরেরার দলে একজন স্ট্রাইকার নেই। শেখ মোরছালিন অনুজ্জ্বল। লিগেও অনিয়মিত। ফলে তাঁর তো খেলাই ভুলে যাওয়ার কথা! কেউ কেউ বলেন, ‘মাঠে নামলাম আর ‘শো অফ’ করলাম, তাতে লাভ নেই। মাঝমাঠে সিনিয়র সোহেল রানাকে প্রতি ম্যাচে খেলানো হয়। কিন্তু ব্যাক পাস ছাড়া দলে তাঁর অবদান কি? এমনও হয়, বাংলাদেশ দল আক্রমণে ওঠে আবার ব্যাক পাস খেলে। এই হলো বাংলাদেশ।
এখন তো কেউ কেউ বলছেন, অস্ট্রেলিয়া কিংস অ্যারেনায় বাংলাদেশকে ২-০ গোলে হারিয়েছে, মেলবোর্নে ৭-০। ভালো মাঠ পেলে ঢাকায়ও গোলের ব্যবধান ৭-৮টা হতো। সেই অস্ট্রেলিয়াই অবশ্য কাল ফিলিস্তিনকে পার্থে ৫ গোল দিয়েছে।
বাফুফের টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান কে জানেন? সহসভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মহি। তাঁর দল প্রিমিয়ার লিগ থেকে আবার অবনমিত হয়েছে। জাতীয় দল কমিটির প্রধানের দায়িত্বে কাজী নাবিল আহমেদ। তিনি মাঠে গিয়ে খেলা দেখেন বলে শোনা যায়নি। তাঁদের অনেক ব্যস্ততা। কিন্তু বলতে পারেন জাতীয় দলের জন্য সুযোগ-সুবিধা তো দেন।
সেটাই কি সব? মাঠে যেতে হবে, খেলা দেখতে হবে। দেশের ফুটবল-কাঠামো বদলাতে হবে। ফুটবলারদের শুধু কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা গুনলে হবে না। দলের কথা ভাবতে হবে। নইলে এভাবেই চলতেই থাকবে।