কিংসের সেমিফাইনালের পথে বাধা হতে পারেনি রহমতগঞ্জ
বসুন্ধরা কিংসের চোখে চোখ রেখে লড়াই করেও দিন শেষে পরাজিত দল রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে আজ তাদের ২–০ গোলে হারিয়ে মোহামেডানের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনালে উঠে গেছে কিংস।
বৈশাখের প্রচণ্ড গরমের মধ্যে হওয়া এ ম্যাচ নিয়ে নিশ্চয়ই আক্ষেপ আছে রহমতগঞ্জের। সুযোগ পেয়েও তার সদ্ব্যবহার করতে না পারাই যে তাদের হারের অন্যতম কারণ! প্রথমার্ধের ২৪ মিনিটে বড় সোহেল রানার গোলে কিংস এগিয়ে যাওয়ার পর তাদের চেপে ধরেছিল রহমতগঞ্জ। কিন্তু বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেও গোল করতে পারেনি তারা।
বিদেশি দুই ফুটবলার দাউদা সিসে ও স্যামুয়েল কোনি যে সুযোগগুলো নষ্ট করেছেন, সেগুলো ছিল অবিশ্বাস্য। তবে কিংসের গোলকিপার মেহেদী হাসান একবার ত্রাতা হয়েছেন দলের। কোনির একটি দুর্দান্ত শট দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন তিনি।
কিংসের একাদশে আজ খেলেছেন নাইজেরীয় ফরোয়ার্ড এমফোন উদোহ। দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি তিনিই করেছেন। তবে প্রথমার্ধে এই উদোহই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবসন দা সিলভার দারুণ একটি ব্যাকহিলে একেবারে ফাঁকায় বল পেয়েও গোল করতে পারেননি। দুর্দান্ত সেভে রহমতগঞ্জের গোলকিপার মামুন আলিফ দেয়াল হয়ে দাঁড়ান তাঁর সামনে।
প্রথমার্ধের শেষ ৫ মিনিট কিংসের ওপর একপ্রকার আধিপত্যই বিস্তার করেছে রহমতগঞ্জ। কিন্তু তাদের হয়ে গোল করার কেউ ছিল না।
কিংস কিছুটা হালকা চালে খেলেই ম্যাচটা জিতেছে এবং সেটি অনুমিতই ছিল। রবসন দা সিলভা বারবারই রহমতগঞ্জের সীমানায় আক্রমণে উঠেছেন। দরিয়েলতন গোমেজও সুযোগ পেয়েছেন কয়েকটি। তাঁদের তাৎক্ষণিক কোনো ক্যারিশমার অপেক্ষাতেই হয়তো ছিল কিংস।
তবে বাজিমাত করেছেন এমফোন উদোহ। ৬৩ মিনিটে দারুণ এক সুযোগসন্ধানী গোল করে রহমতগঞ্জকে হতাশায় ডোবান তিনি। কিংসের তুলনায় রহমতগঞ্জের খেলা ছিল আক্রমণাত্মক। প্রেসিং করে খেলে বলের দখল তারা নিয়েছে নিয়মিতই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বড় দলের কৌশল আর নিজেদের সুযোগ হাতছাড়া করার কারণে হেরে গেছে দলটি।
টুর্নামেন্টের তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২৩ এপ্রিল। খেলবে বাংলাদেশ পুলিশ এফসি ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ৩০ এপ্রিল শেষ কোয়ার্টার ফাইনালে ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের প্রতিপক্ষ হবে ফর্টিস এফসি।