ঘড়ি উদ্ধারে সাবেক স্ত্রীর হ্যান্ডব্যাগ জিম্মি করেছেন টট্টি
স্ত্রী ইলারি ব্লাসির সঙ্গে ইতালির কিংবদন্তি ফুটবলার ফ্রান্সেসকো টট্টির ছাড়াছাড়ি হয় গত জুলাইয়ে। তবে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পরও শান্তি ফেরেনি দুজনের জীবনে। এবার অদ্ভুত এক লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছেন তাঁরা।
টট্টির অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী ইলারি দামি রোলেক্স ঘড়ি সঙ্গে নিয়ে গেছেন। আর সেই ঘড়ি উদ্ধার করতে ইলারির হ্যান্ডব্যাগ জিম্মি করে রেখেছেন সাবেক এই ফুটবল তারকা। নিজেদের সমস্যার সমাধানে এখন আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন তাঁরা।
২০ বছর আগে ইতালিয়ান মডেল ও টিভি উপস্থাপক ইলারির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান টট্টি। সম্পর্কের তিন বছরের মাথায় বিয়ে করেন দুজন। কদিন আগে সাবেক হওয়া এই দম্পতির তিনটি সন্তানও আছে। লম্বা সময় একসঙ্গে কাটানোর পর একে অপরের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছিলেন না।
৪৫ বছর বয়সী টট্টির দাবি, ২০১৭ সালে ফুটবলকে বিদায় বলার পর থেকে মানসিকভাবে সংগ্রাম করছেন। এরপর করোনায় ২০২০ সালে বাবাকে হারিয়ে আরও ভেঙে পড়েন সাবেক এই ফুটবল তারকা।
আর নিজের এমন ভঙ্গুর সময়ে স্ত্রী ইলারিকে কাছে পাননি তিনি। এর মধ্যে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইলারির সম্পর্কে বিশ্বস্ততা ভঙ্গের গুজবও কানে আসে টট্টির। এসব টানাপোড়েনের মধ্যেই এ বছরের জুলাইয়ে শেষ পর্যন্ত ভেঙে যায় দুজনের সম্পর্ক।
বিবাহিত জীবনের সম্পর্কে ছেদ টেনেও অবশ্য একে অন্যের কাছ থেকে সহজে মুক্তি পাচ্ছেন না। টট্টির দাবি, ইলারি তাঁর রোলেক্স ঘড়িটি সঙ্গে নিয়ে গেছেন। বিপরীতে টট্টি রেখে দিয়েছেন সাবেক স্ত্রীর ব্যাগ।
অবশ্য শুধু ব্যাগই নয়, টট্টির বিরুেদ্ধ ইলারির ৪ হাজার ইউরোর জুতা রেখে দেওয়ার অভিযোগও এসেছে। এ প্রসঙ্গে ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যম কোরিয়েরে দেল্লো সেরাকে টট্টি বলেছেন, ‘আমি আর কী করতে পারতাম? বিনিময়ের আশায় আমি ব্যাগ লুকিয়ে রেখেছিলাম।’
এদিকে ব্যাগ ফিরে পেতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ইলারি। একই সঙ্গে রোলেক্স নিয়ে টট্টিকে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি। সম্প্রতি রোলেক্সের একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ভিডিও করে সেটি তিনি ইনস্টাগ্রামে পোস্টও করেছেন।
এদিকে ইলারির সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন টট্টি। তবে সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে প্রতারণা করে সম্পর্কে জড়ানোর কথা অস্বীকার করেছেন ইতালিয়ান ক্লাব এএস রোমা কিংবদন্তি।
উল্টো স্ত্রীর বিরুদ্ধে অসততার অভিযোগ এনেছেন। টট্টি বলেছেন, ‘আমি আগে প্রতারণা করিনি। আমি বলেছিলাম, আমি কথা বলব না, বলিনি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আমি বেশ কিছু প্রতারণার ঘটনার কথা জেনেছি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রথম গুজবটি আমি শুনতে পাই।’