সৌদি আরবের প্রস্তাবে ‘না’ মরিনিওর
সৌদি আরবের ক্লাবগুলো পেট্রো ডলারের থলে নিয়ে শুধু ফুটবলারদের পেছনেই নয়, ছুটছে বিখ্যাত সব কোচদের পেছনেও। জিনেদিন জিদান, জোসে মরিনিও, স্টিভেন জেরার্ড—সৌদি ক্লাবের প্রস্তাব পেয়েছেন। তবে কোচদের ক্ষেত্রে সৌদির প্রস্তাব খুব আকর্ষণীয় না হওয়াতেই সম্ভবত কারণেই জিদান মানা করে দিয়েছেন। এবার ‘না’ করে দিলেন জোসে মরিনিও। যদিও লিভারপুলের সাবেক কিংবদন্তি স্টিভেন জেরার্ড সৌদি আরবের ক্লাব আল ইত্তিফাকের কোচ হতে যাচ্ছেন বলে খবর বেরিয়েছে।
মরিনিওর কাছে প্রস্তাব ছিল দুটি ক্লাবের। একটি আল হিলাল ও অন্যটি আল আহলি। আল আহলির সভাপতি সঙ্গে লন্ডনের চেলসি হারবার হোটেলে বৈঠকও করেছেন রোমা কোচ মরিনিও। তবে সেই বৈঠকেই আল আহলির চেয়ারম্যানকে বিনয়ের সঙ্গে মরিনিও জানিয়ে দিয়েছেন, আপাতত ইউরোপের চাকরি ছেড়ে সৌদি আরবের কোনো ক্লাবের দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত নন তিনি। গত এপ্রিলে সৌদি আরব জাতীয় দলের কোচ হওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল মরিনিওকে।
স্কাই স্পোর্টস জানিয়েছে, মরিনিও যদি আল আহলির প্রস্তাব গ্রহণ করতেন তাহলে খুব সহজেই ১২০ মিলিয়ন ইউরো পকেটে পুরতে পারতেন। তিনি সেটি না করে রোমাতেই থাকার পরিকল্পনা করেছেন। যদিও রোমার সঙ্গে তাঁর চুক্তি বাড়ানোর আলোচনায় গতি নেই। এর মধ্যেই মরিনিও পিএসজির কোচ হতে যাচ্ছেন, এমন খবরও বেরিয়েছে। টটেনহামও তাঁর দিকে হাত বাড়াতে চায়।
কিছু দিন আগে এএস রোমাকে ইউরোপা লিগের শিরোপা এনে দিতে ব্যর্থ হয়েছেন মরিনিও। যদিও এর আগে কনফারেন্স লিগের শিরোপা জিতিয়েছিলেন। কিন্তু ইউরোপা লিগের ফাইনালে সেভিয়ার কাছে হেরে যায় রোমা। রানার্সআপ কোচ হিসেবে পাওয়া পদকটি দিয়ে দেন এক খুদে দর্শককে। বুক ফুলিয়ে বলেন, ‘এ পদকের আমার কোনো প্রয়োজন নেই। তাই দিয়ে দিয়েছি।’ ব্যাপারটি বেশ আলোচিত হয়েছিল। শুধু তা–ই নয়, হেরে রেফারির দিকে আঙুল তুলে তাঁর ওপর চড়াও হন। ম্যাচে রেফারি কেন পেনাল্টি দেননি, মরিনিওর ক্ষোভের কারণ ছিল সেটিই।