এমন শুরুর পর চ্যাম্পিয়ন? ১১৬ বছর আগের স্মৃতি ফেরাতে হবে লিভারপুলকে
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের গত মৌসুম দ্বিতীয় হয়ে শেষ করেছিল লিভারপুল। এবার নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচ শেষে সেই লিভারপুল কোথায়? ১৬তম!
হ্যাঁ, তিন ম্যাচের একটিও জিততে না পারা ইয়ুর্গেন ক্লপের দলের শুরুটা ভালো হলো না। কাল রাতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মাঠে ২-১ গোলে হারের পর লিভারপুল কোচ সে কথাই বোঝালেন, পয়েন্ট টেবিলে লিভারপুলের অবস্থান ‘ঠিক তাকানোর মতো নয়’
প্রিমিয়ার লিগ কেবল শুরু হলো। এখনো ৩৫টি ম্যাচ আছে লিভারপুলের। তাই ঘুরে দাঁড়াতে যথেষ্ট সময় আছে ইংলিশ ক্লাবটির। তবে ক্লপ ২০১৫ সালে কোচ হয়ে আসার পর এবারই সবচেয়ে বাজেভাবে মৌসুম শুরুর নজির গড়ল লিভারপুল। এর আগে প্রথম তিন ম্যাচের মধ্যে অন্তত একটিতে জয়ের মুখ দেখেছে ক্লপের লিভারপুল। কিন্তু এবার ৩ ম্যাচের দুটিতে ড্র, এক হার—মাত্র ২ পয়েন্ট লিভারপুলের ঝুলিতে।
ইউনাইটেডের মাঠে হারের পর পয়েন্ট টেবিলে লিভারপুলের অবস্থান নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল ক্লপের কাছে। সংবাদকর্মীদের লিভারপুল কোচ বলেছেন, কিছুটা বিকৃতমনা হতে চাইলে তাকানো যায়। অবস্থাটা ঠিক তাকানোর মতো না হলেও পরিস্থিতি এটাই। তবে হারের জন্য খেলোয়াড়দের দোষ দিচ্ছেন না ক্লপ। খেলোয়াড়েরা মাধ্যমতো চেষ্টা করেছে বলেই মনে করেন এই জার্মান কোচ, ‘পারফরম্যান্স ভালো ছিল, হয়তো জেতার মতো নয়। তবে আমরা সমতাসূচক গোল করলে সেটি অবাক হওয়ার মতো কিছু হতো না।’
চোটের কারণে নিয়মিত কিছু খেলোয়াড়কে পায়নি লিভারপুল। নবি কেইতা, ইব্রাহিম কোনাতে, জোয়েল মাতিপ, থিয়াগো আলকান্ত্রা, দিয়োগো জোতা, অ্যালেক্স অক্সলেড-চেম্বারলিনদের পাননি ক্লপ। এ ছাড়া নিষেধাজ্ঞার কারণে দারউইন নুনিয়েজকেও পাননি লিভারপুল কোচ।
ফুটবলের পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা ‘মিস্টারচিপ’ জানিয়েছে, ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগে প্রথম তিন ম্যাচে জয়বঞ্চিত থেকেও পরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সর্বশেষ নজির গড়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সেটি ২০০৮ সালে। লিভারপুল এমন কিছুর দেখা পেয়েছে একবারই, ১৯০৬ সালে। অর্থাৎ, এবার চ্যাম্পিয়ন হতে হলে ১১৬ বছর আগের সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে হবে লিভারপুলকে। তবে কাজটা যে মোটেও সহজ হবে না, সেটিও বুঝিয়ে দিচ্ছে পরিসংখ্যান।
ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগে এবারসহ মোট ১৩বার প্রথম তিন ম্যাচে জয়বঞ্চিত থেকে মৌসুম শুরু করল লিভারপুল। এর মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ওই একবারই। বাকি ১২বারের মধ্যে কখনো দ্বিতীয় হয়নি, তৃতীয় এবং চতুর্থ হয়েছে দুবার (১৯৯৮ ও ২০০৪), ৫ম থেকে ১০ম স্থানের মধ্যে থেকেছে ৪বার এবং ১০ম স্থানের নিচে থেকে মৌসুম শেষ করেছে ৫ বার। এবার কী হয়, কে জানে!