বোল্টকে চোখ রাঙানো এমবাপ্পের ‘কোচের সঙ্গে সমস্যা নেই’
২০০৯ সালে বার্লিনে বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে রেকর্ড ৯.৫৮ সেকেন্ডে ১০০ মিটার স্প্রিন্ট জিতে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন উসাইন বোল্ট। এমন গতিতে কোনো মানুষের দৌড়ানো অবিশ্বাস্য ব্যাপার। তবে গতির রেকর্ড ভাঙাই তো দৌড়বিদের কাজ। কিন্তু যখন একজন ফুটবলার স্প্রিন্টারের কাছাকাছি গতিতে দৌড়ান, তখন তো সেটি বিশেষ ঘটনাই। গতকাল রাতে কিলিয়ান এমবাপ্পে তেমনটাই করে দেখিয়েছেন।
রিয়াল সোসিয়েদাদের মাঠে এমবাপ্পে গতকাল ১০০ মিটার দৌড়েছেন ১০.৯ সেকেন্ডে—যা কিনা স্প্রিন্ট কিংবদন্তি উসাইন বোল্টের সেই বিশ্ব রেকর্ড গড়া দৌড়ের চেয়ে এক সেকেন্ডের সামান্য বেশি। ঘণ্টায় ৩৩.২৪ কিলোমিটার গতি তুলেছিলেন এমবাপ্পে।
এই ম্যাচে এমবাপ্পে অবশ্য দৌড়েই ক্ষান্ত হননি, জোড়া গোল করে পিএসজিকে তুলেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে। প্যারিসে প্রথম লেগে ২–০ গোলে জয়ের পর গতকাল দ্বিতীয় লেগে পিএসজি জিতেছে ২–১ গোলে। জয়ের পথে ১৫ ও ৫৬ মিনিটে গোল দুটি করেন এমবাপ্পে।
ম্যাচের আগে অবশ্য এই ম্যাচে এমবাপ্পের খেলা না খেলা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। এর আগে লিগেও টানা তিন ম্যাচে পুরো ৯০ মিনিট খেলার সুযোগ দেওয়া হয়নি তাঁকে। কোচ লুইস এনরিকেও এমবাপ্পেকে খেলানোর ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। লিগের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগেও তাঁকে বদলি করবেন কি না, জানতে চাইলে এনরিকের উত্তর ছিল, ‘হয়তো, হয়তো না।’ মাঠে অবশ্য ভিন্ন চিত্রই দেখা গেছে। এদিন পুরো ৯০ মিনিটই খেলেছেন এ পিএসজি তারকা। অবশ্য এভাবেও বলা যায়, পুরো ম্যাচ–টাইম তিনি নিজে আদায় করে নিয়েছেন।
ম্যাচ শেষে ব্রডকাস্টার ক্যানেল প্লাসে এনরিকের সঙ্গে বিরোধ নিয়ে কথাও বলেছেন এমবাপ্পে। ফরাসি তারকা বলেছেন, ‘তার সঙ্গে আমার কোনো সমস্যা নেই, যদিও মানুষ মনে করতে পারে আমাদের মধ্যে সমস্যা আছে। আমার সমস্যা আছে, তবে সেটা কোচের সঙ্গে নয়।’
দলকে শেষ আটে তুলতে পেরে উচ্ছ্বসিত এমবাপ্পে আরও বলেছেন, ‘কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে পেরে আমরা খুবই তৃপ্ত। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা। আমি সব সময় পারফর্ম করার চেষ্টা করি। কখনো ভালো হয়, আবার কখনো হয় না। তবে আমি নিজেকে কখনো আড়াল করে রাখি না।’
দলের জয় ও এমবাপ্পে ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন এনরিকেও। পিএসজি কোচ বলেছেন, ‘সব মিলিয়ে আমরা তৃপ্ত ও আনন্দিত। আমরা খুবই ভালো খেলেছি। আর এমবাপ্পের ব্যাপারে বলতে হয়, তাকে সামলানো লাগে না। সে নিজেই নিজেকে সামলাতে পারে। সাধারণত তার স্বাধীনতা থাকে। তবে আজ সে লেফট উইংয়ে ছিল, আমরা চেয়েছিলাম ফাইনাল থার্ডে সে ভালো পজিশনে থাকুক। কারণ, যখন আপনি তাকে গোল করতে যাওয়ার সুযোগ করে দেবেন, তখন সে ভয়ংকর।’