পেলেকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ব্রাজিলে যাননি নেইমার
ফ্রান্সের পত্রিকা লেকিপ জানিয়েছিল, নেইমার পিএসজি থেকে ছুটি নিয়ে সাও পাওলো গেছেন পেলের শেষকৃত্যে যোগ দিতে। কিন্তু ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবো’ জানিয়েছে, তিনবার বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ব্রাজিলে যাবেন না পিএসজি তারকা।
নেইমারের পক্ষ থেকে তাঁর বাবা উপস্থিত আছেন পেলের শেষকৃত্যে। ব্রাজিলের ক্লাব সান্তোসের মাঠ ভিলা বেলমিরোয় পেলের কফিনবন্দী নিথর দেহ রেখে ২৪ ঘণ্টাব্যাপী শেষ শ্রদ্ধা জানানোর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।
পিএসজি তারকার বাবা নেইমার সিনিয়র ‘গ্লোবো’কে বলেছেন, ‘নেইমার আসবে না। তবে তার মন খুব খারাপ। সে আমাকে এখানে তার পক্ষ থেকে উপস্থিত থাকতে বলেছে। কাউকে হারানো কত কষ্টের সেটা আমরা বুঝি। আমরা শুধু একজন খেলোয়াড়কেই হারাইনি, একজন মানুষকেও হারিয়েছি।’
প্রজন্মের পর প্রজন্মকে পেলে কতটা অনুপ্রাণিত করেছেন, সে কথাও বলেছেন নেইমার সিনিয়র, ‘ফুটবল পেলের কাছে অনেক ঋণী। আমার মনে হয়, ব্রাজিলিয়ানদের এই দুঃখের সময়ে তাকে এভাবেই শ্রদ্ধা জানানো উচিত। তার পরিবারের জন্যও এটা দুঃখের সময়। তিনি অনেকের প্রেরণা। তার কারণেই আজ আমরা এতটা উঠে আসতে পেরেছি। শুধু আগের প্রজন্ম নয়, বর্তমান প্রজন্মের জন্যও তিনি প্রেরণা।’
নেইমার আজ পিএসজিতে অনুশীলনের একটি ছবি পোস্ট করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বিশ্বকাপ শেষে পিএসজিতে ফিরেই অবশ্য স্ত্রাসবুর্গের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে লাল কার্ড দেখেন নেইমার। পেলের সঙ্গে বরাবরই অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছিল নেইমারের। পেলের মতো নেইমারেরও তারকা হয়ে ওঠা সান্তোসের আঙিনায়। সান্তোস থেকেই নেইমার নাম লেখান বার্সেলোনায়, সেখান থেকে পিএসজিতে। দুজনই সান্তোসের হয়ে জিতেছেন লাতিন ক্লাব শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা কোপা লিবার্তোদোরেস।
পেলেকে কফিনবন্দী নিথর দেহ মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত সান্তোসের মাঠেই রাখা হবে। এরপর শুরু হবে শেষযাত্রা। সান্তোসের বিভিন্ন রাস্তায় ঘোরানো হবে তাঁর কফিন। পেলেকে নিয়ে যাওয়া হতে পারে তাঁর পৈতৃক ভিটাতেও। সেখানে থাকেন তাঁর শতবর্ষী মা ডোনা সেলেস্তে আরান্তেস। তিনি খুব অসুস্থ। স্মৃতিভ্রষ্ট হয়েছেন আরও আগেই।