কলম্বিয়ার সমর্থকদের সঙ্গে মারপিটে জড়ালেন নুনিয়েজরা
ব্যাংক অব আমেরিকা স্টেডিয়ামে শেষ বাঁশি বেজেছে। এরপর হঠাৎ করেই মাঠের এক প্রান্তে ধরা হলো ক্যামেরা। গ্যালারির সে প্রান্তে বেশ বড় জটলা।
বোঝা যাচ্ছিল, গ্যালারিটি কলম্বিয়ান সমর্থকদের। আর গ্যালারির মধ্যে ঠিক সামনেই দাঁড়িয়ে উরুগুয়ের খেলোয়াড়েরা। হলুদ জার্সি পরা কলম্বিয়ার কিছু সমর্থক সেখানে উত্তেজিত। একপর্যায়ে শুরু হলো হাতাহাতি! আর তাতে উরুগুয়ের খেলোয়াড়দের লক্ষ্য কলম্বিয়ার সমর্থকেরা এবং কলম্বিয়ার সমর্থকদের লক্ষ্য উরুগুয়ের খেলোয়াড়েরা। কোপা আমেরিকায় আজ উরুগুয়ে-কলম্বিয়া ম্যাচ শেষে এমন বাজে দৃশ্যই দেখা গেল যুক্তরাষ্ট্রের শার্লোটে ব্যাংক অব আমেরিকা স্টেডিয়ামে।
উরুগুয়ের খেলোয়াড়েরা এবং কলম্বিয়ার সমর্থকদের মধ্যে মারামারির এই দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে। টিভি ফুটেজে দেখা গেছে, উরুগুয়ের তারকা স্ট্রাইকার দারউইন নুনিয়েজ এ মারামারিতে বেশ উৎসাহী ছিলেন। গ্যালারিতে ঢুকে কলম্বিয়ার সমর্থকদের তাক করে একের পর এক ঘুষি মেরেছেন। যদিও বেশির ভাগই লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে।
চোটের কারণে সেমিফাইনালে খেলতে না পারা উরুগুয়ে সেন্টার-ব্যাক রোনাল্ড আরাউহোও এ সময় নুনিয়েজের পাশে ছিলেন এবং ঘুষি মেরেছেন।
আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘ক্লারিন’ জানিয়েছে, উরুগুয়ে দলের খেলোয়াড়দের বেশ কিছু আত্মীয়-স্বজন গ্যালারির ওই অংশে ছিলেন। তারা বাজে আচরণের শিকার হয়েছেন, এমন অভিযোগ ওঠার পর থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত।
উরুগুয়ের ডিফেন্ডার হোসে মারিয়া হিমিনেজ জানিয়েছেন, স্বজনদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই তারা গ্যালারির ওই অংশে ঢুকেছিলেন। আতলেতিকো মাদ্রিদের এ খেলোয়াড় পরে বলেছেন, ‘এটা বিপর্যয়। আমাদের পরিবার বিপদে পড়েছিল। সে জন্য গ্যালারিতে ঢুকে স্বজন ও বাচ্চা শিশুদের বের করে আনতে হয়েছে। একজন পুলিশ কর্মকর্তাও ছিলেন না সেখানে...আমি আশা করি আয়োজকেরা (খেলোয়াড়দের) পরিবারগুলোর ব্যাপারে আরও সতর্ক হবেন।’
হিমিনেজ এরপর বলেছেন, ‘প্রতি ম্যাচেই এমন হচ্ছে কারণ একটু ড্রিংক করে কীভাবে নিজেকে সামলাতে হবে সেটা কিছু লোক জানে না।’
প্রায় ৭৫ হাজার আসনের ব্যাংক অব আমেরিকা স্টেডিয়ামে বেশির ভাগই ছিলেন কলম্বিয়ার সমর্থক। তবে উরুগুয়ের সমর্থকদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়নি। পুলিশের হস্তক্ষেপের আগে এই মারামারি কয়েক মিনিট স্থায়ী হয়। তবে তার আগে দুই দলের খেলোয়াড় ও স্টাফদের মধ্যেও উত্তেজনা দেখা গেছে। শেষ বাঁশি বাজার পর মাঠে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন উরুগুয়ে ও কলম্বিয়ার দলের স্টাফ এবং খেলোয়াড়েরা।