লিগে মায়ামিকে জয়ে ফিরিয়ে যা বললেন মেসি
১৪ মে মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) সবশেষ জয় পেয়েছিল ইন্টার মায়ামি। সেই ম্যাচের পর টানা ১১ ম্যাচ জয়হীন ছিল ক্লাবটি। এরপর জুলাইয়ে লিওনেল মেসি পিএসজি ছেড়ে যোগ দেন ক্লাবটিতে। মেসি আসার পর ইন্টার মায়ামি আরও ৮ ম্যাচ খেললেও এর কোনোটিই লিগে ছিল না।
৮ ম্যাচের ৭টি ছিল লিগস কাপ এবং অন্য ম্যাচটি ছিল ইউএস ওপেন কাপের। অবশেষে আজ নিউইয়র্ক রেড বুলসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এমএলএসে অভিষেক হলো মেসির। আর মেসির অভিষেকের ম্যাচ দিয়ে লিগে দীর্ঘ জয়খরা কাটল ইন্টার মায়ামির।
এর মধ্য দিয়ে এমএলএসের প্লে–অফ খেলার কঠিন পথে যাত্রার শুরুটাও ভালোভাবে করলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক, তবে এটা মাত্র শুরু। পরের পর্বে যাওয়া নিশ্চিত করতে হলে বাকি ম্যাচগুলোয়ও দারুণ কিছু করে দেখাতে হবে মায়ামিকে। তবে আপাতত শুরুটা ভালোভাবে করতে পেরেই আনন্দিত মেসি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে নিজের অনুভূতিও প্রকাশ করেছেন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন মহাতারকা ।
নিউইয়র্কের মাঠ রেড বুল অ্যারেনায় মেসিকে বেঞ্চে রেখে একাদশ সাজান কোচ জেরার্দো মার্তিনো। ম্যাচের ৬০ মিনিটে দল যখন ১-০ গোলে এগিয়ে তখন লিওনার্দো কাম্পানার বদলে মাঠে নামেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। পরে অভিষেক রাঙিয়ে গোল করেন মেসি। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের দারুণ এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইন্টার মায়ামি। এই জয়ের পর মেসি বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেছেন ইনস্টাগ্রামে। আর ক্যাপশনে উচ্ছ্বাস জানিয়ে লিখেছেন, ‘এমএলএসে ফিরে ভালো একটি জয় পেলাম আমরা। ধন্যবাদ নিউইয়র্ক।’
এদিন মেসির খেলা দেখতে গ্যালারি তো বটেই, গ্যালারির বাইরেও ভিড় জমিয়েছেন অনেক মানুষ। টাইমস স্কয়ারে বড় পর্দায় খেলা উপভোগ অনেক মেসি–ভক্ত, যাঁদের অনেককেই শেষ মুহূর্তে মেসির গোলের পর উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়তে দেখা যায়। শুধু ভক্তরাই নন, মেসি–জাদুতে আচ্ছন্ন হয়ে আছেন তাঁর সতীর্থরাও।
মেসি-উন্মাদনা নিয়ে ইন্টার মায়ামি ডিফেন্ডার কামাল মিলার বলেছেন, ‘আমার মনে হয় মেসি যে দলেই যান সে দলকে তিনি টেনে নেন। তাই লোকে যখন বলে সে আমাদের টেনে নিচ্ছে, এতে আমি অপমানের কিছু দেখি না। সম্ভবত মেসি বিশ্বে একমাত্র মানুষ, যার কিনা এ ধরনের সম্মান প্রাপ্য। আমরা যেসব শহরে গেছি তার মধ্যে নিউইয়র্কই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি সম্মান দেখিয়েছে। বিশেষ করে মেসিকে। এটা পরাবাস্তব অনুভূতি।’
শুরুর দিকে মেসিকে ছাড়ার খেলাটা কেমন ছিল জানাতে গিয়ে কামাল বলেন, ‘যখন মেসি মাঠে ছিল না, সবাই জানত যে নিজেদের মান বাড়াতে হবে। এটা ভিন্ন একটা ব্যাপার। আর মেসি যখন মাঠে এল, তখন আমরা ধীরে ধীরে আক্রমণ তৈরি করতে শুরু করলাম। আজ আমাদের ভালো একটি পরীক্ষা হয়েছে। আমাদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যতটা সম্ভব ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ রেখে খেলা, সেটা বলসহ কিংবা বল ছাড়া। আমরা প্রতিপক্ষের অর্ধে খেলেছি। আমরা জানতাম, আমাদের শক্তি হচ্ছে আক্রমণ ও রক্ষণে।’