৭ গোলের রোমাঞ্চে আল হিলালের কাছে হার মেসি-সুয়ারেজের মায়ামির
নেইমার থাকলে বার্সেলোনার সেই ‘ত্রিরত্ন’কে অন্তত একসঙ্গে আরেকবার মাঠে দেখা যেত। চোটের কারণে আল হিলাল তারকা মাঠের বাইরে। বার্সেলোনার সাবেক দুই সতীর্থ লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজের সঙ্গে তাঁর পুনর্মিলনীটা তাই হলো না। তবে কিংডম অ্যারেনায় পয়সা উশুল দর্শকের। ৭ গোলের রোমাঞ্চ তো আর প্রতিদিন দেখা যায় না। মেসি-সুয়ারেজকে হারতে দেখাও তো মনে রাখার মতো অভিজ্ঞতা।
সৌদি আরবের দর্শকদের আল হিলাল তেমন মুহূর্তেরই দেখা পাইয়ে দিল। রিয়াদ সিজন কাপে মেসি-সুয়ারেজের দল ইন্টার মায়ামিকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে আল হিলাল। প্রথমার্ধ শেষে ৩-১ গোলে এগিয়ে ছিল সৌদি প্রো লিগের ক্লাবটি। বিরতির পর ঘুরে দাঁড়িয়ে দুই গোল শোধ করে ম্যাচে ফিরেছিল মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) দল মায়ামি। কিন্তু ৮৮ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ম্যালকমের গোলে জয় নিশ্চিত হয় আল হিলালের।
মায়ামির হয়ে প্রথমার্ধে গোল পেয়েছেন সুয়ারেজ। বিরতির পর পেনাল্টি থেকে ২০২৪ সালে নিজের প্রথম গোল করেন মেসি। তবে আল হিলাল ম্যাচের ১৩ মিনিটের মধ্যে ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল। ১০ মিনিটে দলীয় আক্রমণ থেকে জোরাল শটে গোল করেন আল হিলাল তারকা আলেক্সান্দার মিত্রোভিচ। ৩ মিনিট পরই মায়ামির ডিফেন্ডার অ্যালেনের ভুলের সুযোগ নিয়ে গোল করেন আল হামদান। শুরুতে ২ গোল করে এই প্রীতি ম্যাচকে জমিয়ে তুলেছিল আল হিলাল।
মায়ামির ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় প্রথম সাফল্যটা সুয়ারেজের। ৩৪ মিনিটে দলীয় আক্রমণ থেকে বল পেয়ে কোনাকুনি শটে গোল করেন উরুগুয়ে। ভিএআর প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে সেটি গোলের রায় দেন রেফারি। মায়ামির হয়ে এটি সুয়ারেজের প্রথম গোল, প্রাক মৌসুম সফরে ক্লাবটির প্রথম গোলও। তার আগে গোলের দুটি ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন সুয়ারেজ। একটি শট বাইরে মারেন। অন্যটি ঠেকান আল হিলাল গোলকিপার আলওতায়ান।
তবে হতাশা নিয়েই প্রথমার্ধ শেষে মাঠ ছেড়েছে মায়ামি। কারণ ৪৪ মিনিটে আল হিলালের মিশেল দেলগাদোর গোলে স্কোর লাইন দাঁড়ায় ৩-১। শুধু তাই নয়, গোলটি হজমের আগে মেসি আল হিলালের জালে একবার বল পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু সে যাত্রায় অফ সাইড ছিলেন সুয়ারেজ।
৫৪ মিনিটে ডেভিড রুইজ আল হিলালের বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় মায়ামি। স্পটকিক থেকে গোল তুলে নেন মেসি। এক মিনিট পরই রুইজের গোলে সমতায় ফেরে মায়ামি। এরপর দুই দলই যেন খেলায় ঢিল দিয়েছিল। ম্যাচটি যখন রোমাঞ্চকর ড্রয়ের দিকে এগোচ্ছিল তখনই ম্যালকমের গোলে! ৮৮ মিনিটে ইয়াসির আল শাহরানির ক্রস থেকে হেডে গোলটি করেন এই ব্রাজিলিয়ান।
প্রাক মৌসুমে ৩ ম্যাচ খেলেও এখনো জয়শূন্য মায়ামি। এল সালভাদরের সঙ্গে ড্রয়ের পর এফসি ডালাসের কাছে হেরেছিল তাঁরা। এবার হার মানতে হলো নেইমারের ক্লাব আল হিলালের কাছেও। বৃহষ্পতিবার আল নাসরের বিপক্ষে সৌদি আরবে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে মায়ামি।