১৪ মাস পর জামিন পেলেন ধর্ষণ মামলায় দণ্ডিত আলভেজ
ধর্ষণ মামলায় দণ্ডিত ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার দানি আলভেজকে জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ বার্সেলোনার একটি আদালত ১০ লাখ ইউরো (প্রায় ১২ কোটি টাকা) মুচলেকায় তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। জামিনে থাকা অবস্থায় আলভেজ স্পেন ছাড়তে পারবেন না। এ ছাড়া মামলার বাদী বা তাঁর আবাস ও কর্মস্থলের এক হাজারের মিটারের মধ্যেও প্রবেশ নিষেধ। ব্রাজিল ও স্পেনের পাসপোর্ট জমা দিয়ে প্রতি সপ্তাহে আদালতে হাজিরা দিতে হবে আলভেজকে।
৪০ বছর বয়সী আলভেজ গত মাসে ধর্ষণের দায়ে সাড়ে চার বছরের জন্য দণ্ডিত হন। রায় ঘোষণার পর আলভেজ সাজা মওকুফের জন্য এবং প্রসিকিউশন সাজার মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য আপিল করেছে। আপিল শুনানির পর চূড়ান্ত রায় পর্যন্ত জামিনে থাকবেন আলভেজ।
ইএসপিএন জানিয়েছে, আলভেজের জামিন আবেদন নিয়ে গতকাল বার্সেলোনার আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে তাঁর আইনজীবী ইনেস গার্দিওলা বলেন, ‘জামিনে থাকলে আলভেজ স্পেনের বাইরে যাবেন না। মামলার কোনো আলামত-প্রমাণও ধ্বংস করার চেষ্টা করবেন না।’ এ সময় ভিডিও কলে যুক্ত হয়ে আলভেজ বলেন, ‘আমি ন্যায়বিচারে বিশ্বাসী। আমি কোথাও পালিয়ে যাব না। শেষ পর্যন্ত আদালতের হাতেই থাকব।’
আজ আদালত শর্ত সাপেক্ষে আলভেজের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। জামিনের রায়ের বিরুদ্ধে বাদী, বিবাদী এবং প্রসিকিউশন তিন দিনের মধ্যে আপিল করতে পারবেন।
আলভেজের বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রমের উৎস ২০২২ সালের ডিসেম্বরের এক ঘটনা। বার্সেলোনার নৈশ ক্লাবে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে মামলা হয় আলভেজের নামে। ওই মাসেই আটক হন তিনি। দীর্ঘ ১৩ মাসের তদন্ত শেষে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিন দিনের বিচারিক কার্যক্রম শেষে রায় ঘোষণা করা হয়।
রায়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে আলভেজের ৯ বছরের কারাদণ্ড চেয়ে আপিল করেন প্রসিকিউশন। আর সাজা মওকুফের আবেদন করেন আলভেজের আইনজীবী।
দুই দশকের বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে ব্রাজিল, বার্সেলোনা, জুভেন্টাস ও পিএসজির হয়ে ৪৩টি ট্রফি জিতেছেন আলভেজ। বার্সেলোনায় ২০০৮ থেকে ২০১৬ এবং ২০২১-২২ মেয়াদে খেলার সুবাদে স্পেনে নিয়মিত যাতায়াত ছিল তাঁর। ধর্ষণ মামলায় জড়িয়ে যাওয়ার সময় মেক্সিকান ক্লাব পুমাসে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন আলভেজ, যদিও সেই চুক্তি বাতিল করা হয়। কারাগারে থাকতে তাঁর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটান স্ত্রী হোয়ানা সাঞ্জ।