৭৪ শতাংশ বলের দখল রেখে গোলে ১৯টি শট নিয়েও জিততে পারল না ব্রাজিল
শুধু গোলটাই পেল না ব্রাজিল! ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রদ্রিগো, লুকাস পাকেতা, রাফিনিয়ারা মিলে কোস্টারিকার রক্ষণে ৯০ মিনিট জুড়েই আতঙ্ক ছড়িয়ে গেছেন। মাঝমাঠে ব্রুনো গিমারেজ-জো গোমেজরাও দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়েছেন। ৭৪ শতাংশ বলের দখল রেখেছে ব্রাজিল, কোস্টারিকার বক্সে ৫০ বারের বেশি বল স্পর্শ করেছে তারা, গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছে ১৯টি। এমন পারফরম্যান্সের পরও কোপা আমেরিকার শুরুটা জয় দিয়ে করতে পারেনি দরিভাল জুনিয়রের দল। কোস্টারিকার বিপক্ষে আজ নিজেদের প্রথম ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করে মাঠ ছেড়েছে ব্রাজিল।
জানুয়ারি মাসে ব্রাজিলের দায়িত্ব নেওয়ার পর দরিভাল জুনিয়র আজকের আগ পর্যন্ত চার ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়িয়েছেন। সেই চার ম্যাচের একটিতেও হারেনি ব্রাজিল, দুটি জয় আর দুটিতে করেছে ড্র। ব্রাজিলের নতুন কোচের আসল বড় পরীক্ষা তো আসলে এবারের কোপা আমেরিকাই।
লস অ্যাঞ্জেলেসের ইঙলেউড স্টেডিয়ামে সেই পরীক্ষার শুরুটা জয় দিয়ে করতে পারেননি দরিভাল জুনিয়র। ফুটবল বিশ্বের লাখো চোখ ছিল আজ এই ম্যাচে। সবাই দেখার অপেক্ষায় ছিলেন দরিভাল জুনিয়রের অধীনে ব্রাজিলের নতুন যুগের শুরুটা কেমন হয়। কোস্টারিকার বিপক্ষে জয় না পেলেও ব্রাজিলের সমর্থকেরা হয়তো খুব একটা হতাশ হবেন না। কারণ, পুরো ম্যাচেই যে কোস্টারিকার ওপর ছড়িয়ে ঘুরিয়েছে ব্রাজিল। উপহার দিয়েছে সুন্দর ফুটবল। শুধু গোলটাই পায়নি তারা।
ভাগ্যও আসলে ব্রাজিলের সহায় হয়নি। পোস্ট, ভিএআর আর অফসাইডের ফাঁদে আটকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি তারা। ৩০ মিনিটে তো কোস্টারিকার জালে বল পাঠিয়েছিলেন মার্কিনিওস। রাফিনিয়ার ফ্রি-কিক থেকে দুর্দান্ত এক ফ্লিকে রদ্রিগো বক্সের মধ্যে বল দেন মার্কিনিওসকে। তিনি বল জালে পাঠালেও ভিএআরের সাহায্য নিয়ে সেটা বাতিল করেন রেফারি। দেন অফসাইডের সিদ্ধান্ত।
এরপর কোস্টারিকার রক্ষণে পুরোটা সময় আতঙ্ক ছড়িয়ে গেছে ব্রাজিল। কিন্তু গোলে ১৯টি শট নিলেও লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে মাত্র ৩টি। সেই তিন শটের মধ্যে পাকেতার নেওয়া একটি আবার পোস্টে লেগে ফিরে আসে। একবার তো রদ্রিগো গোলকিপারকে কাটিয়েও পোস্টে বল রাখতে পারেননি।
‘ডি’ গ্রুপে দিনের আরেক ম্যাচে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে কলম্বিয়া। প্যারাগুয়েকে তারা হারিয়েছে ২-১ গোলে। এই জয়ে ১ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে আছে কলম্বিয়া। ১টি করে পয়েন্ট নিয়ে ব্রাজিল দ্বিতীয় ও কোস্টারিকা আছে তৃতীয় স্থানে। কোনো পয়েন্ট না পাওয়া প্যারাগুয়ে আছে চার নম্বরে।