‘টানা চারটি পাসও দিতে পারিনি’
শুধু স্বাগতিক বলে নয়, এএফসি এশিয়ান কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিসেবেও কাতারকে এগিয়ে রেখেছিলেন অনেকে। তবে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে হতাশই করেছে কাতার। ছন্দহীন ফুটবলে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি দূরে থাক, উল্টো ইকুয়েডরের কাছে ০-২ ব্যবধানে হেরে অস্বস্তিকর এর রেকর্ডের ভাগীদার হয়েছে। ফিফা বিশ্বকাপে এই প্রথম স্বাগতিক দল শুরুর ম্যাচেই হারল।
২০১০ সালের ডিসেম্বরে বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে ফুটবল দলে বিশেষভাবে মনোযোগ দিয়েছে কাতার। ২০১৩ সালে কাতার অনূর্ধ্ব-১৯ দলে নিয়োগ দেওয়া ফেলিক্স সানচেজকে চার বছর পর দেওয়া হয় জাতীয় দলের দায়িত্ব। প্রায় এক দশক কাতার ফুটবলে কাজ করার সুবাদে দেশটির ফুটবলারদের ভালোমতোই চেনেন ফেলিক্স। তাঁরও আশা ছিল, ভালো কিছুই করবে শিষ্যরা।
কিন্তু ইকুয়েডরের কাছে ভুলে যাওয়ার মতো একটি ম্যাচ শেষে বাস্তবতার মাটিতে পা রাখলেন স্প্যানিশ এই কোচ, ‘যেভাবে ভেবেছিলাম এটা সেই ম্যাচ ছিল না। ম্যাচটা আমাদের ভুলে যেতে হবে। ইকুয়েডর যোগ্য দল হিসেবে জিতেছে।’
কাতার কোথায় কোথায় ভুল করেছে, সেটি ফেলিক্সের কাছে বেশ স্পষ্ট, ‘আমরা টানা চারটি পাসও দিতে পারিনি। রক্ষণে প্রচুর ফাঁকফোকর ছিল। ওদের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় সহজেই জায়গা পেয়ে গিয়েছিল। এমন একটি দলের বিপক্ষে যেমনটা খেলতে হয়, সেটা পারিনি। আর এটা স্বাভাবিক যে ভুল করলে আপনাকে তার শাস্তি ভোগ করতেই হবে।’
রক্ষণ-দুর্বলতায় কাতারের জালে বল প্রবেশ করে ম্যাচের ৩ মিনিটেই। তবে অফসাইডে সেটি বাতিল হলেও ১৫ মিনিটের সময় ঠিকই প্রথম গোল হজম করতে হয়। ইকুয়েডর তারকা এনার ভ্যালেন্সিয়া প্রথমার্ধে করেন আরও একটি গোল। প্রথমার্ধের ওই দুই গোল আর শোধ দিতে পারেনি কাতার।
হার থেকে কাতার কোচের পর্যবেক্ষণ বেশ স্পষ্ট, ‘নিজেদের সর্বোচ্চ মানটা আমরা দেখাতে পারিনি। দায়িত্ব নেওয়া, স্নায়ু ধরে রাখতে না পারা...এ সবে আমরা ভুগেছি। শুরুটা হয়েছে খুব বাজে, যা ম্যাচজুড়ে বজায় ছিল। আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক উপায়ে চাপ সামলাতে হবে।’
‘এ’ গ্রুপে কাতারের বাকি দুটি ম্যাচ, সেনেগাল ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। আজ রাত ১০টায় গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে সেনেগাল-নেদারল্যান্ডস।