গোলে সহযোগিতায় ডি ব্রুইনা–সালাহদের ছাড়িয়ে গেছেন যিনি
ফুটবল মাঠে যিনি গোল করেন তাঁকেই মনে রাখা হয় সবচেয়ে বেশি। কদাচিৎ এমন হয় যে গোলদাতাকে ছাপিয়ে বড় হয়ে ওঠেন যিনি, গোলটি বানিয়ে দিয়েছেন তিনি। চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালে যেমন ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে দুর্দান্ত এক গোল বানিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছিলেন টনি ক্রুস। যারা কিছুটা গভীরভাবে ফুটবল অনুসরণ করেন, তাঁরা জানেন গোল বানিয়ে দেওয়ার গুরুত্ব কেমন! দারুণ কোনো পাস, ক্রস কিংবা ফ্লিকে বদলে যেতে পারে ম্যাচের দৃশ্যপট।
প্রিমিয়ার লিগে এ মৌসুমে গোল বানিয়ে দেওয়ার এ কাজটাই সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন অ্যাস্টন ভিলার ওলি ওয়াটকিনস। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ১২টি গোলে সহায়তা করেছেন এ ইংলিশ স্ট্রাইকার। তবে সামগ্রিক হিসেবে এ তালিকায় নতুন মাইলফলক গড়ে দুই নম্বরে উঠে এসেছেন ম্যানচেস্টার সিটির বেলজিয়ান মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইনা। শীর্ষে উঠতে হলে অবশ্য এখনো লম্বা পথ পাড়ি দিতে হবে ডি ব্রুইনাকে।
এ মৌসুমে সবচেয়ে বেশি গোলে সহায়তা
গোলে সহায়তায় এ মৌসুমে সবার ওপরে ওয়াটকিনসের থাকার কথা তো আগেই বলা হয়েছে। এ তালিকায় ১০ গোলে সহযোগিতা করে যৌথভাবে দুই নম্বরে আছেন ছয়জন। নিউক্যাসলের কিয়েরান ট্রিপিয়ার এবং অ্যান্থোনি গর্ডনের সঙ্গে আছেন লিভারপুলের সালাহ ও ব্রাইটনের পাসকাল গ্রস। অন্য দুজন হলেন নটিংহামের মরগান গিবস-হোয়াইট এবং চেলসির কোল পালমা। চোটের কারণে এ মৌসুমে বেশ কিছু ম্যাচ মিস করেছেন ডি ব্রুইনা, যিনি সহায়তা করেছেন ৯ গোলে।
২০২৩-২৪ মৌসুমে গোলে সহায়তায় সবার ওপরে যাঁরা
এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি সহায়তা
ওয়াটকিনস এ মৌসুমে ১২ গোলে সহায়তা করলেও তিনি কিন্তু এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি গোলে সহায়তার তালিকায় বেশ পিছিয়ে আছেন। এই রেকর্ডটি যৌথভাবে দখল করে আছেন থিয়েরি অঁরি এবং কেভিন ডি ব্রুইনা। ২০০২-০৩ মৌসুমে একাই ২০ গোলে সহায়তা করেছিলেন আর্সেনালের ফরাসি কিংবদন্তি অঁরি।
এই রেকর্ড ২০১৯-২০ মৌসুমে স্পর্শ করেছিলেন ডি ব্রুইনা। ওয়াটকিনসের সামনে এখন ম্যাচ আছে ২টি। এ দুই ম্যাচে ৮ গোলে সহায়তা করা বেশ কষ্টকল্পনাই বটে।
সব মিলিয়ে সবার ওপরে যাঁরা
গতকাল রাতে ফুলহামের বিপক্ষে ম্যাচের ১৩ মিনিটে ইউস্কো গাভারদিওলের করা প্রথম গোলে সহায়তা করেন ডি ব্রুইনা। এর মধ্যে দিয়ে প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে গোলে সহায়তায় সেস ফাব্রেগাসকে স্পর্শ করেছেন এ বেলজিয়ান মিডফিল্ডার। ফাব্রেগাস ও ডি ব্রুইনা যৌথভাবে ১১১ গোলে সহায়তা করেছেন। সামনের ম্যাচগুলো দিয়ে ফাব্রেগাসকে ছাড়িয়ে যাওয়া এককভাবে দুই নম্বরে ওঠার সুযোগ আছে ডি ব্রুইনার।
কিন্তু শীর্ষে ওঠাটা তাঁর জন্য প্রায় অসম্ভব। সবার ওপরে থাকা রায়ান গিগসকে পেরিয়ে যেতে হলে হলে ডি ব্রুইনাকে আরও ৫১ গোলে সহায়তা করতে হবে। অর্থাৎ ছন্দ ও বয়সকে নিয়ন্ত্রণে রেখে আরও অন্তত ৪-৫ মৌসুম গোলে সহায়তা করে যেতে হবে ডি ব্রুইনাকে, যা বেশ কঠিন একটি কাজই বটে।