কোর্তোয়ার বিশ্বস্ত হাত ধরে রিয়াল ফাইনালে

টাইব্রেকার রুখে নায়ক রিয়ালের গোলকিপার থিবো কোর্তোয়াছবি: টুইটার

ভ্যালেন্সিয়া কোচ জেনারো গাত্তুসো ইতালির ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে খুব শক্ত খেলোয়াড় ছিলেন। কড়া ট্যাকলিং করতেন, ভীষণ আগ্রাসী ছিলেন। খেলা ছাড়ার পর সেই আগ্রাসী মনোভাব থেকে গেছে কথায়। অন্তত সোজা কথাটা সোজা করেই বলেন।

সৌদি আরবের রিয়াদে কাল রাতে স্প্যানিশ সুপার কাপের সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হারের পর গাত্তুসো যেমন বলেছেন, ‘কোর্তোয়া বিশ্বের সেরা চার-পাঁচ গোলকিপারের একজন। তবে আমাদের গোলকিপারও চার-পাঁচটি ভালো সেভ করেছে। ভাগ্য আমাদের পক্ষে ছিল না। আমরা দুটি পেনাল্টি মিস করেছি।’

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

স্কোরকার্ড বলছে ম্যাচের অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত ১-১ গোলে সমতায় ছিল দুই দল। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলের জয়ে সুপার কাপের ফাইনালে ওঠে রিয়াল। টাইব্রেকারে বেলজিয়ান গোলকিপার থিবো কোর্তোয়া ভ্যালেন্সিয়ার হোসে গায়ার শট ঠেকিয়ে রিয়ালকে ফাইনালে তুলেছেন। তার আগে এডিনসন কাভানির শটসহ ম্যাচেও কয়েকটি ভালো সেভও ছিল তাঁর। বিশেষ করে অতিরিক্ত সময়ে ভ্যালেন্সিয়ার ফ্রান পেরেজের শটটি তিনি রোখেন অবিশ্বাস্য রিফ্লেক্সে।

টাইব্রেকারে এভাবেই জয়ের প্রার্থনায় ছিল রিয়াল
ছবি: রয়টার্স

ম্যাচটা অতিরিক্ত সময়ের মধ্যে জেতার সুযোগ পেয়েছিল রিয়াল। ৩৯ মিনিটে পেনাল্টি পায় কার্লো আনচেলত্তির দল। ভ্যালেন্সিয়ার বক্সে ফাউলের শিকার হন রিয়াল ফরোয়ার্ড করিম বেনজেমা। স্পটকিক থেকে গোল করে এগিয়ে দেন ফরাসি তারকা।

৪৬ মিনিটে টনি লাতোর ক্রস থেকে করা ভলিতে ভ্যালেন্সিয়াকে সমতায় ফেরান স্যামুয়েল লিনো। অতিরিক্ত সময়ে কাছ থেকে ভিনিসিয়ুসের শট রুখে দেন ভ্যালেন্সিয়ার গোলকিপার গিওর্গি মামারদাশভিলি। জর্জিয়ার এই গোলকিপার ম্যাচে আরও চারটি দুর্দান্ত সেখ করেছেন।

আরও পড়ুন

টাইব্রেকারে ভ্যালেন্সিয়ার হয়ে প্রথম মিসটা ছিল এরাই কোমের্তের। পোস্টের ওপর দিয়ে মারেন। স্প্যানিশ ক্লাবের পঞ্চম শট নিতে আসেন লেফটব্যাক হোসে গায়া। পোস্টের ঠিক মাঝে মারবেন এটা বোধহয় আগেই বুঝে গিয়েছিলেন কোর্তোয়া। শটটি ঠেকাতে কোনো সমস্যাই হয়নি। টাইব্রেকারে রিয়ালের হয়ে গোল করেছেন বেনজেমা, মদরিচ, ক্রুস ও আসেনসিও।

দুর্দান্ত গোলকিপিংয়ের পর ভ্যালেন্সিয়ার গায়ার পেনাল্টি রুখে দেওয়া নিয়েও বলেছেন রিয়াল গোলকিপার কোর্তোয়া। ‘মুভিস্টার’কে বলেছেন, ‘গোলকিপারকে অবশ্যই পেনাল্টি ঠেকানোর প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হয়। গায়া সেভিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ যে পেনাল্টিটি মিস করেছিল, সেটি বাঁয়ে মেরেছিল। সর্বশেষ যে পেনাল্টিতে গোল করেছে সেটি মাঝে মেরেছে। তাই আমরা জানতাম সে কোনদিকে মারবে।’

সেমিফাইনালে অন্য ম্যাচে বৃহস্পতিবার রিয়াল বেতিসের মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা। রোববার ফাইনালে এ ম্যাচে জয়ী দলের মুখোমুখি হবে রিয়াল। ফাইনালে প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবছেন না রিয়াল তারকা মার্কো আসেনসিও, ‘বার্সেলোনা কিংবা বেতিস—যে দলই হোক ভাবি না। ফাইনালে ওঠাটাই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’

আরও পড়ুন