পাপু গোমেজের পায়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে মার্তিনেজের সেই সেভের উল্কি
৩৬ বছর পর ঘরে বিশ্বকাপ শিরোপা, উপলক্ষ্যটাকে স্মরণীয় করে রাখতে আর্জেন্টাইনরা কত কী–ই না করছে! যাঁরা আর্জেন্টাইনদের এমন আনন্দের উপলক্ষ এনে দিয়েছেন, সেই খেলোয়াড়েরাও ক্যারিয়ারের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্তকে চিরস্থায়ী করে নিতে নানা কিছু করছে। কেউ বিশ্বকাপ ট্রফির উল্কি আঁকাচ্ছেন পিঠে, কেউ আবার অন্য রকম উদ্যোগে মুহূর্তটি স্মরণীয় করে রাখার ব্যবস্থা করছেন।
কাতারের লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারানো ফাইনালে খেলেননি পাপু গোমেজ। তাতে কী, তিনিও তো বিশ্বকাপজয়ী। আর বিশ্বকাপ জয়ের মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে আরও কয়েকজন সতীর্থের মতো বিশ্বকাপ ট্রফির উল্কি আঁকিয়েছেন পাপু গোমেজ।
সেভিয়ার মিডফিল্ডার আরও একটি মুহূর্তকে স্থায়ী রূপ দিয়েছেন উল্কির মাধ্যমে, সেটি ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজের একটি অসাধারণ সেভ।
অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ফাইনাল ম্যাচটি ১২০ মিনিট শেষে ৩-৩ গোলে অমীমাংসিত ছিল। উত্থান-পতনের অসাধারণ এক ফাইনালে ২৩ মিনিটে লিওনেল মেসি ও ৩৬ মিনিটে আনহেল দি মারিয়ার গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।
৮০ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচ এভাবেই হেলে ছিল আর্জেন্টিনার দিকে। কিন্তু দেড় মিনিটের এক ঝড়ে কিলিয়ান এমবাপ্পে ম্যাচ নিয়ে যান অতিরিক্ত সময়ে। ফরাসি ফরোয়ার্ড জোড়া গোল করেন ৮০ ও ৮১ মিনিটে।
অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচে মেসির ১০৮ মিনিটের গোলে আবার এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু ফ্রান্সকে রক্ষা করতে আবার এগিয়ে আসেন এমবাপ্পে। ১১৮ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে ম্যাচ নিয়ে যান টাইব্রেকারে।
সেখানে মার্তিনেজ ঠেকিয়ে দেন কিংসলি কোমানের পেনাল্টি আর অরেলিয়াঁ চুয়ামেনি মারেন বাইরে। সব মিলিয়ে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে ৪-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা জয়ের উচ্ছ্বাসে ভাসে আর্জেন্টাইনরা।
অনেকের মতে, ম্যাচটি টাইব্রেকারেই হয়তো যেত না, যদি ১২২ মিনিটে মার্তিনেজ দুর্দান্ত একটি সেভ না করতেন। ম্যাচের ঠিক তখন ১২২ মিনিট ৪৩ সেকেন্ড। আর্জেন্টিনার বক্সের ভেতর মার্তিনেজকে একা পেয়ে যান কোলো মুয়ানি। নিচু শটও নেন তিনি। কিন্তু দুই দিকে হাত ছড়িয়ে দেওয়া মার্তিনেজের বাঁ পায়ের উরুতে লাগে বল। এতে ফ্রান্সও গোল পায়নি।
পাপু গোমেজ সেই সেভের মুহূর্তটিকেই স্মরণীয় করে রাখার ব্যবস্থা করেছেন উল্কিতে। মার্তিনেজের পায়ে বল লেগেছে, এমন একটি ছবি আঁকিয়েছেন নিজের পায়ে। সময়টা দিতেও ভুল করেননি সেভিয়ার মিডফিল্ডার পাপু গোমেজ। মার্তিনেজের সেভের সেই মুহূর্তের ছবিটির নিচে লিখিয়েছেন ১২২’৪৩’’, যার মানে ১২২ মিনিট ৪৩ সেকেন্ড!